‘রাতের ভোট’ প্রমাণ করতে ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করুন
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছে তা প্রমাণ করতে ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করতে বলেছেন হাইকোর্ট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রিটের শুনানিকালে আদালত এ কথা বলেন। বিচারপতি সোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন পিটিশনার অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
শুনানিতে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ভোট হয়েছে। আদালত তখন বলেন, রাজনৈতিক বা গণমাধ্যমের কোনো বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো অভিযোগ আদালত আমলে নিতে পারে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে কী হয়েছে সেগুলো আমরা দেখব না।
ইউনূছ আলী আকন্দ তখন বলেন, আমি ২০১৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। নিজেই এ ঘটনার সাক্ষী। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এসব ঘটনার সাক্ষী।
এ সময় বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইউনূছ আলী আকন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। বিচারপতি আরো বলেন, রাতের আঁধারে ভোটের অভিযোগ প্রমাণ করতে ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করেন। যেদিন ১৮ কোটি সাক্ষীকে হাজির করতে পারবেন, সেদিন পর্যন্ত আমরা আপনার রিট আবেদন স্থগিত রাখব।
রিটের তীব্র বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
তারা হাইকোর্টকে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় কোনো আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আদালতের কাছে রিট আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানান। তারা বলেন, তিনি (ইউনুছ আলী আকন্দ) অগ্রহণযোগ্য রিট দায়ের করে আদালতের মূল্যবান সময়ই নষ্ট করেছেন। শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে ওই দিন ইউনুছ আলী আকন্দকে লিখিতভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে বলেন। প্রসঙ্গত: ড. ইউনুছ আলী আকন্দ গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনে আদালতের কাছে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে পুনঃতফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একটি সংসদ বহাল রেখে আরেকটি সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার রিট করেন ইউনুছ আলী আকন্দ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয় রিটে। এতে বলা হয়, বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশনা চাইছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত