ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

চট্টগ্রামে হেলে পড়লো আরো দুটি ভবন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

এবার নগরীর পাহাড়তলীতে হেলে পড়লো আরো দুটি তিনতলা ভবন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাগোয়া একটি ড্রেনের চলমান সংস্কার কাজের কারণে ভবনটির ভিত দুর্বল হয়ে আরেকটি ভবনের দিকে হেলে পড়েছে। তাতে দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি এড়াতে ভবনের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। নালার মাটি সরিয়ে নেওয়ায় আশপাশের ভবনের দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর সরাইপাড়া এলাকায় যায়। এর আগেই দুই ভবনের মালিদের পক্ষ থেকে হেলে পড়ার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, এখানে পাশাপাশি দুটি তিনতলা ভবন। একটি আরেকটির দিকে সামান্য হেলে পড়েছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। ভবনের একেবারে কাছেই একটি ড্রেন থেকে মাটি ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ চলছে। এটা অনেক বড় একটা ড্রেন। সব মাটি একসঙ্গে তুলে নেওয়ার কারণে ভবনের ভিত দুর্বল হয়ে গেছে।
হেলে পড়া ভবনের মালিক আমির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৬ সালে আমাদের বিল্ডিং নির্মাণ হয়েছে। আমরা এখানে থাকি না, ভাড়াটিয়া আছে। আমাদের বিল্ডিং এবং পাশের বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৬ ইঞ্চি গ্যাপ ছিল। এখন দেখছি সেটা একেবারে লেগে গেছে। পাশের ভবন মালিকের প্রতিনিধি উম্মে মারিয়া বলেন, সোমবার রাতেই আমরা বুঝতে পারি যে, পাশের বিল্ডিংটা একেবারে আমাদের বিল্ডিংয়ের সঙ্গে ঘেষে পড়েছে। রাতেই আমরা বিষয়টি সিডিএ, ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করি। এটার কারণে আমাদের বিল্ডিংও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদে একটি চারতলা ভবন ছয়তলার উপর হেলে পড়ে। তাতে তিনটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানেও ভবনের পাশে খালের খনন ও সংষ্কার কাজ চলছিল।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত