ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
৭৫ জন প্রার্থীকে শোকজ : প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিনে ৪২ জনের আপিল

আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে পারছে না ইসি

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকানো যাচ্ছে না। আমরা একের পর এক শোকজ করে যাচ্ছি, সময় যত গড়াচ্ছে তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে ৭৫ জনকে শোকজ করেছি। কয়েকজন প্রার্থীকে একাধিকবারও শোকজ করেছি। অনেকের শোকজের জবাব সন্তোষজনক হয়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন আবার কোনো কোনো প্রার্থীর শোকজের জবাব ‘সন্তোষজনক নয়’ বলেও জানিয়েছে কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য গত ২৮ নভেম্বর বিচার বিভাগীয় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইসি। এরপর থেকেই বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে মনোনয়ন ফিরে পেতে ৪২ জন প্রার্থী আপিল করেছেন। এ প্রার্থীদের অধিকাংশই ছিলেন স্বতন্ত্র। মনোনয়ন বাতিল হওয়া বেশির ভাগের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে জটিলতা ছিল।
গতকাল পযন্ত অনুসন্ধান কমিটি বর্তমান সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সিটি মেয়রসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ৭৫ জন প্রার্থীকে শোকজ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে একের পর এক ‘কঠোর’ হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হলেও নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়টি অনেক প্রার্থীই আমলে নিচ্ছেন না। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত অনেক প্রার্থীকেই বিভিন্ন অভিযোগে শোকজ করেছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকানো যাচ্ছে না। আমরা একের পর এক শোকজ করে যাচ্ছি, সময় যত গড়াচ্ছে তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে ৭৫ জনকে শোকজ করেছি। কয়েকজন প্রার্থীকে একাধিকবারও শোকজ করেছি। অনেকের শোকজের জবাব সন্তোষজনক হয়নি। এবারের সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং বাকি ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে কমিশন। ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বিষয়ে আপিল আবেদন গ্রহণ শুরু। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণ আদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন। আপিল আবেদন গ্রহণের জন্য আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে দেশের ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে। এসব বুথে থাকা ১০ জন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০টি করে আপিল আবেদন ক্রমানুসারে নিষ্পত্তি করা হবে।

প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিনে ৪২ জনের আপিল॥
গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে মনোনয়ন ফিরে পেতে ৪২ জন প্রার্থী আপিল করেছেন। এ প্রার্থীদের অধিকাংশই ছিলেন স্বতন্ত্র। মনোনয়ন বাতিল হওয়া বেশির ভাগের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে জটিলতা ছিল। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে বেশি আবেদন এসেছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে মোট ৩২৭ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এরমধ্যে ৮৪ জনের বাতিল হয়েছে।
##


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত