পাতানো নির্বাচনে জড়িতদের বিচার করা হবে : রিজভী
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
একতরফা পাতানো নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজকে দেশ-জাতি ও আন্তর্জাতিক মহলের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রহসনের নির্বাচন করার যে জেদ অব্যাহত রাখছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠি। জনরোষ এবং আন্তর্জাতিক মহল সবদিক থেকে আজকে এই সরকারের বিষয়ে যে ওয়াকিবহাল এবং মানুষের জনরোষ কত তীব্রতর হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কত বিরুপ এই পাতানো নির্বাচনের জন্য। তারা মনে করছেন যে, আমরা সব কিছু মিলিয়েই বৈতরণী পার হয়ে যাবো। আমরা বলতে চাই, সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং দালালরা, এরা কেউ কিন্তু ছাড় পাবেন না। জনগণের আদালত গঠিত হচ্ছে এবং এই আদালতে তাদের প্রত্যেকটি অপকর্মের জবাব দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কি হবে, বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? এর কোনো খেয়াল তারা রাখতে চান না, রাখছেন না। আজকে গার্মেন্টস শিল্প ধবংসের দ্বার প্রান্তে। শেখ হাসিনা নির্বিকার। এরপর যদি গার্মেন্টেস পণ্য রপ্তানির ওপরে স্যাংশন আসে, কত মানুষ যে বেকার হবে, কত নারী যে বেকার হবে? ১৮০ মিলিয়ন মানুষ, তাদের কর্মসংস্থান যদি না থাকে, গার্মেন্টস শিল্পের ওপর যদি আঘাত আসে তাহলে কি পরিণতি হবে শেখ হাসিনা সেটা ভাবছেন না।
রিজভী বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পকে একটা ধবংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। উনি দেশ চান না, উনি দেশের মানুষ চান না, দেশের অর্থনীতি মজবুত হোক সেটা তিনি চান না। তার দরকার হচ্ছে অমল-ধবল। আর সেই কারণেই খেল-তামাশার নির্বাচন করার জন্য তিনি মরিয়া। আর এটা করতে গিয়ে এদেশকে কি পরিমান খেসারত দিতে হচ্ছে এবং হবে তার কোনো ঠিকানা নেই।
সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বন্দি রেখেছেন কিসের কারণে? একতরফা নির্বাচন নিশ্চিত করার কারণে শেখ হাসিনা আপনি করেছেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যিনি সবচাইতে আপোষহীন জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছেন কিসের জন্য? একতরফা নির্বাচন করার জন্য, পথের কাঁটা দূর করার জন্যে, নির্বিঘ্নে আপনার অপশাসন-অপকীর্তি-দুর্নীতি-অনাচার যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্যে? আর এটার জন্য কথা বললে সেটা হয়ে যায় ষড়যন্ত্র। চক্রান্তকারীর চক্রান্তের বিরুদ্ধে কথা বললে সেটাকে মনে করে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা সেটাই মনে করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব মন্ত্রী, তার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী তারা তো চক্রান্তের সফল। জনগণ, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করার ফল হচ্ছে আজ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আর ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মন্ত্রিত্ব করছেন।
গত ১৫ বছর যাবত সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নিরুদ্দেশ করে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।
অবরোধ সফল করুন করার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলছে। ৪৮ ঘন্টার অবরোধ শুরু বুধবার সকাল ৬টা থেকে, চলবে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। সকল জনগণ এই অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা জনগণের সমর্থনে বিশ্বাস করি, আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমাদের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে জনগণ। আমরা বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভর করি না, একে বকা, ওকে ঝকা এগুলো করি না। আমরা জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের দাবিগুলোর জন্য এই আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সকলকে আগামী ৪৮ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জনগণ যার পক্ষে থাকে, জনশক্তি যার সাথে থাকে তারা কোনোদিন পরাজিত হয় না। হয়ত সাময়িকভাবে আমরা উৎপীড়িত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। কিন্তু নিপীড়ন-নির্যাতনের সমস্ত আঘাত একদিন প্রতিঘাত হিসেবে এই অত্যাচারি শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে, প্রত্যাঘাত করবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় হবে।
আসন্ন নির্বাচনকে ভাগাভাগি ও ভাগিয়ে নেওয়ার নির্বাচন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে দুয়েকদিনের মধ্যে তাদের আসন ভাগাভাগি শেষ হবে। আসলে এটা তো ভাগাভাগির নির্বাচন। তারা নেতাদের ভাগিয়ে নিয়ে আসছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে। আর তাদের তথাকথিত জোটের মনঃক্ষুণ্ন কিছু নেতাদের হালুয়া-রুটির অংশ দিচ্ছেন। তারা একটি নির্বাচনী ঘোষণা দেবেন ৭ জানুয়ারি, পাঠ করবে নির্বাচন কমিশন সেটারই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, এটাই বলার চেষ্টা করেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। এখানে জনসাধারণ কোনো ফ্যাক্টর না, ফ্যাক্টর শেখ হাসিনার ইচ্ছা।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত