বিজয়ের দ্বারপ্রাপ্তে বাংলাদেশ
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বরের এই দিনে সমগ্র বাংলায় সরবে যুদ্ধ চলছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। কোথায় মুক্তিবাহিনী আবার কোথায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় যৌথবাহিনী পাক হানাদারদের ঘাটিতে আক্রমণ করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করছে। এর মধ্য দিয়ে একের পর এক বাংলাদেশের জনপদ পাকিস্তানী হানাদারমুক্ত হচ্ছে। এই দিনেই পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ, মাগুরা, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর। এদিনে ‘ইন্দোনেশিয়া রায়া’ পত্রিকা লিখেছিল, ‘পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশকে মেনে নেওয়া এবং নিজেদের ভুল সংশোধন করা।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টেলিগ্রাফ ও টাইমস পত্রিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মত প্রকাশ করে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বাস্তবতা হলো, সদিচ্ছা ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।
অন্যদিকে পশ্চিম রণাঙ্গনে ভারতীয় জঙ্গী বিমান করাচিতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল। পাকিস্তানের আকাশে তাদের অবাধ তৎপরতায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউসের নীচে ভূ-গর্ভস্থ বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। যুদ্ধ পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে জেনারেল নিয়াজি রাওয়ালপিন্ডি হেড কোয়ার্টার্সে পাঠানো গোপন বার্তায় বলেন, ‘চারটি ট্যাংক রেজিমেন্ট সমর্থিত আট ডিভিশন সৈন্য নিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে ভারত। তাদের সাথে আছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬০ থেকে ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা। তিনি লেখেন, স্থানীয় জনগণও আমাদের বিরুদ্ধে। দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লাকসাম, চাঁদপুর ও যশোর প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরও লেখেন, ‘গেল নয় মাস ধরে আমাদের সৈন্যরা কার্যকর অপারেশন চালিয়েছে এবং এখন তারা তীব্র যুদ্ধে অবতীর্ণ। গেল ১৭ দিনে যেসব খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে, তাতে জনবল ও সম্পদের বিচারে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে গেছে। রাজাকারদের অস্ত্রসহ শটকে পড়ার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের নিজেদের ট্যাংক, ভারী কামান ও বিমান সমর্থন না থাকার ফলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে।’
গোপন এ বার্তায় হেডকোয়ার্টার থেকে ৭ ডিসেম্বর সম্মুখসমরের সৈন্যদের পিছিয়ে এনে প্রতিরোধ ঘাঁটিতে সমবেত করার জন্য নিয়াজির পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়। তবে ৬ ডিসেম্বর রাতেই ঘাঁটি ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়। একদল যায় ফরিদপুর-গোয়ালন্দের দিকে। বড় দলটি যায় খুলনার দিকে। ব্রিগেডিয়ার হায়াৎ তখন ঢাকার দিকে না গিয়ে বস্তুত খুলনার দিকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফুডি অ্যাপে ডোমিনোজের পিৎজা অর্ডার করলেই ৪০% ছাড়!
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আজকের বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি
এসবের জন্য এতো মানুষ রক্ত আর জীবন দেয়নি : সারজিস
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার নিয়ে যা জানালেন দুই উপদেষ্টা
ভোরে মিলল রাস্তার পাশে শিশু সাফওয়ানের লাশ
রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও আইএসপিতে ভ্যাট আরোপ থেকে পিছিয়ে আসতে পারে সরকার
লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুন টর্নেডোর’ আশঙ্কা
দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
মোংলায় ভটভটি উল্টে ২ জন নিহত, আহত ২
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রকাশ
নাম ভাঙিয়ে তদবির-টেন্ডারবাজি: সতর্ক করলেন সারজিস
গুলশান থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত ছেলে’ গ্রেফতার
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
বায়ুদূষণে আজ সবার শীর্ষে ঢাকা
শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়
ব্যাংক খাত নিপুন কারিগরের মতো যেভাবে ধ্বংস করেন এসকে সুর
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠক বর্জন করবে লেবার পার্টি
দেশে ফিরতে চান মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া অভি
দুর্নীতির মাধ্যমে পুতুলের ডব্লিউএইচও'র পদ পাওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু