ঢাকা   বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
ধ্বংসকাণ্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির চেয়েও ভয়াবহ : ইইউ ইসরাইলি বাহিনী গাজায় স্থায়ীভাবে থাকবে না : প্রতিরক্ষামন্ত্রী :: জাতিসংঘ তার কাজ করতে ব্যর্থ : রাশিয়া :: হিজবুল্লাহ, হামাস সহজেই ইউক্রেন থেকে অস্ত্র কিনতে সক্ষম : ইরান

গাজায় সবাই ক্ষুধাতাড়িত

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা পরিস্থিতির আরও অবনতির কথা জানিয়েছে সহযোগিতা সংস্থাগুলো। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া পোস্টে বলেছে, গাজায় সবাইকে তাড়া করছে ক্ষুধা। অন্যদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, গাজার অর্ধেক মানুষ অভুক্ত।

গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। প্রস্তাবটিতে ভেটো দেয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। এতে গাজায় রক্তক্ষয় থামানোর প্রয়াস ব্যর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও কয়েক শ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ১৮ হাজার ২০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ৫০ হাজার।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক্সে দেয়া পোস্টে বলেছে, গাজা উপত্যকায় এখন অনেক মানুষ দু-তিন দিন ধরে না খেয়ে আছে। গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানিকে পদ্ধতিগতভাবে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানকার সবাইকে ক্ষুধা তাড়া করছে। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর বেশির ভাগই বাড়িঘরছাড়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় এই ছিটমহলে আশ্রয় বা খাবার পাওয়া অসম্ভব। গাজাবাসী বলছেন, বারবার পালাতে বাধ্য হওয়া লোকজন ক্ষুধা ও ঠান্ডার পাশাপাশি ইসরাইলি বোমাবর্ষণে মারা যাচ্ছেন। ত্রাণবাহী ট্রাকে লুটপাট হচ্ছে। পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।
এদিকে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিবিদ জোশেফ বোরেল বলেছেন. গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ‘বিপর্যয়কর, প্রলয়ঙ্করী’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি যে ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল, গাজায় তার চেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পশ্চিম তীরে চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারদের সহিংসতায়ও’ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আতঙ্কিত। তিনি জেরুসালেমে আরো ১,৭০০ বাড়ি ইউনিট নির্মাণের ইসরাইলি সরকারের সিদ্ধান্তেরও নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ব্রাসেলস মনে করে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। হামাসের আক্রমণটির কারণে গ্রুপটিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় স্থান পাওয়ার উপযুক্ত- এমন কথা উল্লেখ করে বোরেল বলেন যে, বেসামরিক মৃত্যু এবং বেসামরিক সম্পত্তি ও অবকাঠামো ধ্বংসের আলোকে ইসরাইলি সামিরক বাহিনীর অভিযানও আনুপাতিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী গাজায় স্থায়ীভাবে থাকবে না : ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে ইসরাইলি বাহিনীর থেকে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। ইসরাইলি বাহিনী চলে আসার পর গাজা নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, তা নিয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রয়েছে। তবে গাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা ইসরাইলের প্রতি বিরূপ মনোভাবের হবে না।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলকে এসব কথা বলেছেন ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি আরও বলেন, গাজায় কয়েক শ হামাস সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন কিংবা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সঙ্গে জড়িত হামাস সদস্যরাও আছেন। ইয়োভ গ্যালান্ট আরও বলেন, জাবালিয়া ও শেজাইয়াতে হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি ঘেরাও করা হয়েছে। এসব ঘাঁটিকে অপরাজেয় মনে করা হতো। বছরের পর বছর ধরে এসব ঘাঁটিকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই এসব ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। হামাসের সদস্যদের সতর্ক করে ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের সঙ্গে একধরনের আচরণ করা হবে। আর যারা তা করবেন না, তাদের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করবে ইসরাইল।

জাতিসংঘ তার কাজ করতে ব্যর্থ : জাতিসংঘ তার কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে কারণ এর সদস্য দেশগুলো কোনো বিষয়ে একমত হতে পারে না, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বলেছেন।

‘জাতিসংঘের কথাই ধরুন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, কারণ (সদস্য) রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান খুবই ভিন্ন। এবং এমন কিছু রাষ্ট্র আছে যারা আসলে আন্তর্জাতিক আইন ব্যবস্থার ঊর্ধ্বে, তাদের ইচ্ছাকে নির্দেশ করার চেষ্টা করে এবং তাদের নিজস্ব কিছু ধারণা চাপিয়ে দেয়। যার কোনো কোনোটির আদৌ কোনো আইনি মাত্রা নেই,’ মেদভেদেভ বলেছেন। তিনি একটি উদাহরণ হিসাবে মার্কিন শাসন মতবাদ প্রদান করেছেন, ‘যা অলিখিত, এবং আদেশটি সেই নিয়মের উপর ভিত্তি করে’। ‘যখন আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করি: এটি কী, আমাদের দেখান, তারা বলে - দেখানোর মতো কিছুই নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের কল্পনায় এটি এমনই হয়: আমরা যা বলি আন্তর্জাতিক আইন, আমরা যা মনে করি তা সঠিক আদেশ।’

তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত শতাব্দীর আন্তর্জাতিক আইন ব্যবস্থার বিশাল সংকট এখন সুস্পষ্ট। ‘আন্তর্জাতিক আইন মারা যায়নি, তবে আমরা আন্তর্জাতিক আইনে একটি বিশাল সংকট দেখতে পাচ্ছি। এখন যা কিছু ছিল তা চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে কারণ জীবন পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলি যেভাবে কাজ করা উচিত সেভাবে কাজ করে না,’ মেদভেদেভ বলেন। মেদভেদেভ উল্লেখ করেছেন যে, আইনটি নমনীয় এবং এটি পরিবর্তন হতে পারে। ‘যদি আমরা একে অপরের সাথে বন্দুকের ভাষায় কথা বলতে না চাই, এবং এটি সবচেয়ে কঠিন উপায় যা কখনও কখনও এড়ানো অসম্ভব, তাহলে আমাদের আন্তর্জাতিক আইন ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে,’ মেদভেদেভ বলেছেন।

হিজবুল্লাহ, হামাস সহজেই ইউক্রেন থেকে অস্ত্র কিনতে সক্ষম : লেবানন-ভিত্তিক শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং গাজা-ভিত্তিক কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাস অবৈধ কেনাকাটার মাধ্যমে ইউক্রেনে তাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। সোমবার এ কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।
‘আপনি দেখেন, অতীতে আমরা আন্তর্জাতিক আইন এবং দখলদারের মোকাবিলা করার শর্তগুলি বিবেচনায় রেখে হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করতাম,’ আবদুল্লাহিয়ান দোহা ফোরামে এই সংস্থাগুলির প্রতি তেহরানের সমর্থন সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় বলেছিলেন। ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে তারা কোথায় অস্ত্র পেতে পারে, তাহলে একটি কালো বাজার যেখানে তারা সেগুলি পেতে পারে তা হল ইউক্রেন। খুব সহজেই, খুব বেশি প্রচেষ্টা ছাড়াই তারা ইউক্রেনে (তাদের যা প্রয়োজন) পেতে পারে,’ শীর্ষ কূটনীতিক বলেছিলেন। তার মতে, হিজবুল্লাহ এবং হামাস বর্তমানে তাদের নিজস্ব ‘প্রয়োজনীয় অস্ত্র তৈরি করতে পারে’। সূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরা, রয়টার্স, তাস।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগিতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব ড. ইউনূসের
ইনু-সাদেক খান ও সলিমুল্লাহ নতুন মামলায় গ্রেফতার
কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে : মাহফুজ আলম
এই সরকারকে সব সংস্কারে হাত দেওয়ার দরকার নেই : মির্জা ফখরুল
আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
আরও

আরও পড়ুন

জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগিতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব ড. ইউনূসের

জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগিতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব ড. ইউনূসের

ঝিকরগাছায় নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাঁশ বাগানে

ঝিকরগাছায় নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাঁশ বাগানে

যশোরে ডা. শামা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

যশোরে ডা. শামা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

ইনু-সাদেক খান ও সলিমুল্লাহ নতুন মামলায় গ্রেফতার

ইনু-সাদেক খান ও সলিমুল্লাহ নতুন মামলায় গ্রেফতার

"খুনসুটি" নিয়ে ছোট পর্দার ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং খায়রুল বাসার"

"খুনসুটি" নিয়ে ছোট পর্দার ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং খায়রুল বাসার"

কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে : মাহফুজ আলম

কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে : মাহফুজ আলম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছীতে সবুজ নামের এক যুবককে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছীতে সবুজ নামের এক যুবককে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যা

টাঙ্গাইলে নিরাপদ সড়কের দাবীতে রাস্তায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী

টাঙ্গাইলে নিরাপদ সড়কের দাবীতে রাস্তায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী

ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করেছে, আমরা বিভক্তি দুর করে এক্যবদ্ধ জাতী চাই- ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব

ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করেছে, আমরা বিভক্তি দুর করে এক্যবদ্ধ জাতী চাই- ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব

আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে অস্ট্রেলিয়া-বালি ফ্লাইট বন্ধ

আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে অস্ট্রেলিয়া-বালি ফ্লাইট বন্ধ

১০০০ গোলের স্বপ্ন এখনও দেখছেন রোনালদো?

১০০০ গোলের স্বপ্ন এখনও দেখছেন রোনালদো?

কুয়াকাটায় রাস উৎসবের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, সাজ সাজ রব

কুয়াকাটায় রাস উৎসবের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, সাজ সাজ রব

কাপ্তাইয়ের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সীতাকুণ্ড হতে গ্রেপ্তার

কাপ্তাইয়ের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সীতাকুণ্ড হতে গ্রেপ্তার

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে ৩ নারী আটক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে ৩ নারী আটক

এই সরকারকে সব সংস্কারে হাত দেওয়ার দরকার নেই : মির্জা ফখরুল

এই সরকারকে সব সংস্কারে হাত দেওয়ার দরকার নেই : মির্জা ফখরুল

পাকিস্তানের উত্তরের ইন্দুস নদীতে বাস দুর্ঘটনা,অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের উত্তরের ইন্দুস নদীতে বাস দুর্ঘটনা,অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু

ফ্যাসিবাদী সাবেক মেয়র আতিক আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে

ফ্যাসিবাদী সাবেক মেয়র আতিক আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে

একসঙ্গে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ৪ ঘূর্ণিঝড়

একসঙ্গে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ৪ ঘূর্ণিঝড়

"হিনার আবেগঘন পোস্টে দুশ্চিন্তায় ভক্ত-অনুরাগী"

"হিনার আবেগঘন পোস্টে দুশ্চিন্তায় ভক্ত-অনুরাগী"

নারী পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় অপরাধীদের বিচার দাবি জাবি ছাত্রশিবিরের

নারী পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় অপরাধীদের বিচার দাবি জাবি ছাত্রশিবিরের