নির্বাচন বর্জন করেছেন চট্টগ্রামবাসী
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
৭ জানুয়ারির একতরফা প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিবেকবান লোকও ভোট দিতে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই নির্বাচন ছিল বিগত দুটি নির্বাচনের মতো আরেকটি নজিরবিহীন ভোটবিমুখতার জাতীয় নির্বাচন। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি এতটাই কম ছিল যে কোথাও কোথাও মসজিদ থেকে মাইকিং করেও ভোটার আনা যায়নি। ঐদিন ভোট উৎসবের পরিবর্তে চট্টগ্রামে ভোট বর্জনের এক নীরব প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টা পরেও ভোট দেয়ার হার ছিল ৩ শতাংশ, কোথাও ৫ কিংবা ৮ শতাংশ। এতো জাল ভোট দেওয়ার পরও চট্টগ্রাম নগরীর ৮ সংসদীয় আসনে ২৬ শতাংশ, ১০ আসনে ২১ শতাংশ, ১১ আসনে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে দেখানো হয়েছে। এসব আসনে নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীর সাথে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আনার একটা চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল চট্টগ্রাম-৯ আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থীর সাথে শক্তিশালী কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল না। তাই ভোটারদের কেন্দ্রে আনার জন্য কারোর চেষ্টাও ছিল না। ভোট কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীর পোলিং এজেন্টও দেখা যায়নি। তেমন গণসংযোগও করেনি কোন প্রার্থী। তারপরও এই আসনে ভোট পড়েছে দেখানো হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। অন্য তিন আসনের চেয়ে চট্টগ্রাম-৯ আসনে ভোটারের সংখ্যাও কম। তারপরও সেখানে নৌকার প্রার্থীকে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে দেখানো হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলের প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে ১৯৮২ ভোট। এই ভোটের তারতম্য থেকে বুঝা যায়, এই আসনেই সবচেয়ে বেশি জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের জাল ভোটই যে একমাত্র সম্বল সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন। কম ভোটার উপস্থিতি ছাড়াও চট্টগ্রামে দিনভর ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই, এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, আন্দোলনরত বিএনপিসহ সমমনা দল ও অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাক্সক্ষা ও দাবিকে অগ্রাহ্য করে তামাশার নির্বাচন করেছে সরকার। এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। জালিয়াতির নির্বাচনে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে অপমান করা হয়েছে। বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গরু ছাগল দেখা গেছে, এবারের ভোটের দিন যুক্ত হয়েছে বানর ও কুকুর। চট্টগ্রামের অনেক কেন্দ্রে ৭/৮ বছরের শিশুদেরও ভোট দিতে দেখা গেছে। প্রহসনের তামাশার ভোট, যেখানে নিজেরা নিজেরা ভোট করছে সেখানেও এ অবস্থা। বিএনপি কী কারণে ভোট বর্জন করেছে, তা প্রমাণিত। তিনি ভোট বর্জন করায় চট্টগ্রামবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ