সামনের দিনগুলোতে সত্যিকার বড় পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে বাংলাদেশ
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম
প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করায় শেখ হাসিনা ওয়াজেদের আওয়ামী লীগ বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে বিপুল জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন। আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসনে জিতেছে। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল- জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, যারা নিজেদের দলের টিকিট পাননি। তারা ৬১টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
ফলাফল স্পষ্ট হলেও আগামী কয়েক দিন, সপ্তাহ আর মাস বাংলাদেশকে সত্যিকারের বড় পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির সরকার কেমন আচরণ করে তার প্রভাব পড়বে দেশটির প্রতিবেশীদের এবং ভারতের মতো বন্ধু দেশের উপরও। ৪০ শতাংশের স্বল্প ভোটারের উপস্থিতি এটাই বলছে যে, ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি বিএনপির আহ্বান কাজ করেছে। এটিই প্রথম নয় যে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ (১৯৯৬ সালে) কিংবা বিএনপি (২০১৪) দ্বারা বয়কট করা নির্বাচনে কম ভোটদানের হার দেখেছে।
তবে ভোটারদের অসন্তুষ্টির অন্যান্য লক্ষণও রয়েছে: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং অন্যান্য সমালোচকদের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোর নিন্দার মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
নয়াদিল্লির পুরনো বন্ধু আওয়ামী লীগের (ক্ষমতায়) ফিরে আসা ভারতের কৌশলগত স্বার্থের পক্ষে গেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে মজবুত হয়েছে।
যাই হোক, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের স্বার্থে দেশের নতুন প্রশাসনকে অবশ্যই গত কয়েক মাসের ক্ষত সারাতে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে পৌঁছাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভয়ের পরিবেশ সরিয়ে ফেলতে হবে যার জেরে বিরোধী দলের অনেক সদস্য আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিরোধীদেরও রাজনৈতিকভাবে পুনরায় যুক্ত হওয়ার জন্য গঠনমূলক উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এসবকিছুই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য অত্যাবশ্যক। এটা অপরিহার্য কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে সেটা এমনভাবে বিস্ফোরিত হতে পারে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। বন্ধু হিসেবে ভারতকে অবশ্যই ঢাকাকে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে, যাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে না পড়ে। স্বাধীন দেশ হিসেবে ৫২ বছরে বাংলাদেশ গর্ব করার মতো অনেক কিছু অর্জন করেছে। এখন ঢাকার সেই অর্জনগুলোকে একীভূত করার সময়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুদ্ধবিরতি চললেও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলায় আহত ১২
সাভারে রূপালী ব্যাংকের এটিএম বুথ উদ্বোধন
মোরেলগঞ্জে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করণে ডরপ’র মতবিনিময় সভা
কৃষক জামালের ক্ষেতে রঙিন ফুলকপি, উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অন্য কৃষকরাও
জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল
কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের
কলকাতায় প্রকাশ্যে মুরগির মাংস বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় ফেনীতে সুদানের নাগরিক আটক
ক্ষমতা গ্রহণ করেই বাইডেন আমলের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের
পেকুয়ায় প্রাচীন খাল উদ্ধারে পদক্ষেপ জনমনে স্বস্তি
ঢাকার বাতাস ২৪৬ স্কোর নিয়ে আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘সেকেন্ড লেডি’
গাজা একটি ‘বিশাল ধ্বংসস্তূপ’, পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন: ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির প্রথম পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্পের শপথ : যোগ দেন চীনের হ্যান ঝেং ভারতের জয়শঙ্কর
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
সত্যিই কি মারা গেছেন ম্যাশ? কি বলছে রিউমর স্ক্যানার?
সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৯০০ টাকা চুরির মামলা
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা ট্রাম্পের