মাদক না পেয়ে আলমারিতে থাকা ৪ লাখ টাকা নিয়ে যায় ওরা
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ববি বিন ডিয়াজ। একজন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট। বসবাস করেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। ঘটনা গত ২৯ ডিসেম্বরের। ওই দিন রাত আটটার দিকে অভিযানে যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই শাহ আলমসহ তার টিমের ৭ সদস্য। বাসায় মাদক আছে দাবি করে তল্লাশি শুরু করেন তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা তল্লাশি করে তারা কিছু পাননি। তবে বাসার একটি আলমারিতে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেখতে পান তারা। তখন ওই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে টাকাগুলো নিয়ে চলে আসেন তারা।
এর পরেও গত ২ জানুয়ারি আরও ১৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খিলগাঁও অঞ্চলে কর্মরত এসআই শাহআলম। আর এর পরেই ঢাকার ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছেন ব্যবসায়ী ববি বিন ডিয়াজ। মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই শাহ আলম, কনস্টেবল বাবর এবং ফয়জুল ইসলাম নামে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ফয়জুল ইসলামকে গ্রেফতার করে এক দিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকি দিয়ে ব্যবসায়ীর বাসা থেকে ৪ লাখ টাকা ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ববি বিন ডিয়াজ বলেন, তিনি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। মাদক মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এসআই শাহ আলমসহ অন্যরা সেদিন তার বাসা থেকে টাকা নিয়ে যান। পরে মুঠোফোনে তারা আরও টাকা চাচ্ছিলেন। সে কারণে বাধ্য হয়ে তিনি থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেও একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ( গোয়েন্দা) কাজী আল আমিন। তিনি বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপপরিচালক মো. মাসুদ হোসেন বলেন, এসআই শাহ আলমসহ ৭ সদস্য সেদিন ববি ডিয়াজের বাসায় যাবার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই বাসায় মাদক পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও সঠিক নয় বলে দাবি করছেন শাহআলম।
এসআই শাহ আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার এসআই শামীম হোসেন। জানতে চাইলে পুলিশের বাড্ডা জোনের এসি রাজন কুমার সাহা জানান, শাহ আলমসহ অপর আসামিদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ওই ব্যবসায়ীর বাসার আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়ায় দুই হাত কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সম্পাদক মামুন
খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আদেশ স্থগিতে ১৮টি রাজ্যের মামলা
টেলিকমে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করা হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারচালক নিহত
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
বন্দরে বকেয়া বেতন দাবিতে পারটেক্স শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : ইউজিসি
ধামরাইয়ে ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইজিবাইক চালকের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত
গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা -নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল পবিস কর্মীরা
উত্তরা উলামা আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন
ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল হলেও অধরা রূপগঞ্জের রুবেল
সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে অভিযুক্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
পদ্মা ব্যাংকের ১২২তম পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত
ভারতের ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ২০ মাওবাদী নিহত