ভিক্ষুক বাড়ছে রাজধানীতে
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম
রাজধানীতে বেড়েই চলেছে পেশাদার ভিক্ষুকের সংখ্যা। মূলস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উধ্ব্র্গতি, আয় কমে যাওয়া, কর্মহীন হয়ে পড়া, ব্যবসায় পুঁজি হারানোসহ নানা কারণেই বেড়েছে ভিক্ষাবৃত্তি। সারাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বাড়লেও রাজধানী এবং আশপাশের জেলাশহরগুলোতে ভিক্ষুতের উৎপাত বেড়েছে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। জীবন নির্বাহের ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় বিক্ষুকের খাতায় নাম লেখাচ্ছে অনেক কর্মক্ষম নিম্ন ্আয়ের মানুষ। ফলে তালিকায় নিত্যদিন যুক্ত হচ্ছে হাজার হাজার নতুন ভিক্ষুক। যা নগরীরর সামাজিক সঙ্কটকে তীব্রতর করে তুলেছে। যদিও ভিক্ষুকের সংখ্যা নিরূপনে হালনাগাদ সমন্বিত কোনো জরিপ নেই। সর্বশেষ ২০২১ সালে তৎকালিন সমাজকল্যাণমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার জরিপ বলছে, প্রকৃত সংখ্যা ২০ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি পেশাদার ভিক্ষুক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, বিগত বছরগুলোতে করোনার প্রভাবে শহর থেকে গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় এ সংখ্যা এখন আর কোনো শুমারির মধ্যে নেই । সরকারের পক্ষ থেকে দেশে বেকারের সংখ্যা ২১ শতাংশে নামিয়ে দাবি করা হলেও বর্তমানে বেকরাত্বের হার ৪২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ বেকারত্ব থেকেও সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য নতুক ভিক্ষুক এবং অপরাধীর সংখ্যা।
ভিক্ষাবৃত্তির নিয়ন্ত্রণও সিন্ডিকেটের হাতে :
সরকারি পুনর্বাসনের আওতায় কেন ভিক্ষুকরা আসতে চায় না-এর কারণ অনুসন্ধানে মিলেছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্য সাধারণ পেশা থেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে আয় বেশি। ভিক্ষাবৃত্তি ‘পেশা’ হিসেবে স্বীকৃত না হলেও এটির ধর্মীয় ও সামাজিকভিত্তি বেশ মজবুত। এ পেশায় ঝুঁকি নেই বললেই চলে। মর্যাদা এবং সামাজিক লাজলজ্জ্বা বিসর্জন দিয়ে হাত বাড়াতে পারলেই হলো, মিলতে থাকে ভিক্ষার টাকা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায়ই চলে ভিক্ষাবৃত্তি।
হালে ভিক্ষাবৃত্তি চলে গেছে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রণ করছে ভিক্ষুক-বিচরণ এলাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামাঞ্চল থেকে থেকে বিকলাঙ্গ, শিশু-কিশোরসহ হতদরিদ্র ও বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ রাজধানীতে এনে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োগ করছে এ সিন্ডিকেট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় চলে এই সিন্ডিকে। সিন্ডিকেটভুক্ত না হয়ে কেউ নির্বিঘ্নে ভিক্ষা করতে পারে না। সিন্ডিকেট অবুঝ শিশুদের কোলে নিয়ে, কখনওবা শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। এমনকি সুস্থ মানুষকেও কৃত্রিম উপায়ে প্রতিবন্ধিত্বের কবলে ফেলে ভিক্ষা-ব্যবসা। সরকারি হিসেবে ঢাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যা ৫০ হাজার বলে দাবি করা হলেও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসেবে এ সংখ্যা ৩ লাখের বেশি। সারা দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ দাবি করা হলেও এ সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে বেশ আগে।
রাজধানীতে দৈনিক অন্তত: ২০ কোটি টাকার ভিক্ষা-বাণিজ্য হয়। এ হিসেবে মাসে লেনদেন হয় ৬শ’ কোটি টাকা। বিপুল এই ‘অর্থনৈতিক লেনদেন’র খাত বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয় মাত্র সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। নগণ্য পরিমাণ এ অর্থ দেশের ভিক্ষাবৃদ্ধি বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রণে হাস্যকর বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রাজধানীতে ভিক্ষুকের উৎপাত দিন দিন বাড়ছে। তবে এ বাস্তবতার কথা মানে না, রাজ-সমাজসেবা অধিদফতর। সংস্থাটি জানায়, রাজধানীর ভিক্ষাবৃদ্ধি রোধে সরকার নগীরর বেশ কিছু এলাকা ‘ভিক্ষুকমুক্ত’ ঘোষণা করেছে। বিমানবন্দরে প্রবেশপথে পূর্ব পাশের চৌরাস্তা, বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ও এর আশপাশ এলাকা, হোটেল রেডিসন সংলগ্ন এলাকা, ভিআইপি রোড, বেইলী রোড, হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্ট সংলগ্ন এলাকা ও কূটনৈতিক জোনসমূহ। এলাকাগুলোকে ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এসব এলাকায় ভিক্ষুকের জন্য চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। রাজধানীর ফুরওভারগুলোর গোড়ায় পথচারীদের দু’পাশ দিয়ে রীতিমতো আগলে দাঁড়ায় ভিক্ষুক। বিপনী বিতান, শপিং কমপ্লেক্স, বাজারে, সবজি, গোশতের দোকান,মাছবাজার, আড়ৎ, হোটেল- রেস্টুরেন্টের সামনে, মাজার-মসজিদের গেট, আদালত প্রাঙ্গণ,ব্যস্ততম গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, সদরঘাট, কমলাপুর স্টেশন, বাস টার্মিনাল, খাবারের দোকানের সামনে, গাড়িবহুল রাস্তার প্রতিটি ট্রাফিক সিগনাল, বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান- কোথায় নেই ভিক্ষুক ? মসজিদের নগরী এখন যে পরিণত হয়েছে ভিক্ষুকের নগরীতে।
২০২০-২১ অর্থ বছরে ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকাগুলোতে একবার ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৮০ জন পেশাদার ভিক্ষুক আটক করা হয়। এর মধ্যে ৭২ জনকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে বিভিন্ন মেয়াদে আটক রেখে প্রশিক্ষণ প্রদান ও পুনর্বাসন করা হয়। অবশিষ্ট ১০৮ জনকে পরিবারে পুনর্বাসন করা হয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কাজটি পদ্ধতিগতভাবে করার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভিক্ষাবৃত্তি রোধ এবং ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে নেয়া একটি উদ্যোগ ‘এক্সপেরিমেন্ট’ পর্যায়েই ব্যর্থ হয়। ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানীর অন্তত ২ হাজার ভিক্ষুককে জরিপের আওতায় আনা হয়। পাইলট কর্মসূচি বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১০টি এনজিওকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এনজিওগুলো রাজধানীকে ১০টি জোনে ভাগ করে। ১০ হাজার ভিক্ষুকের ওপর জরিপ পরিচালনা করে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করা করে। কর্মসূচির পাইলটিং পর্যায়ে ভিক্ষুকের পুনর্বাসনে সংখ্যা বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও জামালপুর জেলাকে নির্বাচন করে জেলাওয়ারি ৫শ’ জন করে ২ হাজার ভিক্ষুক পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেবছর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে ময়মনসিংহের ৩৭ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১২ জনকে ১২টি রিকশা, ১৭ জনকে ১৭টি ভ্যান ও ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য ৫ হাজার করে টাকা করে দেয়া হয়। ৮ জনকে ৫ হাজার করে টাকা দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ভিক্ষুকরা রিকশা এবং ভ্যানগুলো বিক্রি করে দিযেছে। নগদ টাকাগুলোও খরচ করে ফেলেছে। তারা অন্য এলাকায় গিয়ে পুনরায় ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলাফলে ব্যর্থ হয় ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্প।
আইন কী বলে ? :
ভিক্ষাবৃত্তি বিরোধী সরাসরি কোনো আইন এখনও প্রণীত হয়নি। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ কিংবা পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে ‘ভবঘুরে নিয়ন্ত্রণ আইন’র আওতায়। যদিও ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কাজে আসছে না ভবঘুরে নিয়ন্ত্রণ আইনও। প্রণয়নের একযুগের বেশি অতিক্রান্ত হলেও এর কোনো সুফল মেলেনি। ২০১১ সালে প্রতীত হয় ‘ভবঘুরে পুনর্বাসন আইন’। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ আইনটি এখন পর্যন্ত কার্যকর করা যায়নি।
আইনটির পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভবঘুরে নিয়ন্ত্রণে আইন থাকলেও পুনর্বাসনের প্রশ্নে রয়েছে অস্পষ্টতা। পেশাদার ভিক্ষুক সংখ্যা বৃদ্ধির এটি বড় একটি কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনের খসড়া প্রণয়নকারীদের অদূরদর্শিতা, আইন কার্যকরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদিচ্ছা এবং বিধি না হওয়ার কারণেই আইনটিতে মিলছে না সুফল।
ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১ তে বলা হয়েছে, যে নিজে বা কারও প্ররোচনায় ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত, সে ভবঘুরে হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে ভবঘুরেদের আটক করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, ভবঘুরেকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে। আর আটককৃত ব্যক্তি ভবঘুরে হলে ম্যাজিস্ট্রেট যেকোনো আশ্রয়কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ বছর তাকে আটক রাখার জন্য অভ্যর্থনা বা আশ্রয়য়কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেবেন। আইনে ভাসমান জনগোষ্ঠীকে ‘ভবঘুরে’ এবং ‘আশ্রয়হীন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও তাদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসনে স্পষ্ট কোনো বিধান রাখা হয়নি। ২০১১ সালে প্রণীত ‘ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি পুনর্বাসন আইন’র ১০(৩)(খ) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ভবঘুরে হিসেবে প্রমাণিত হলে, তাকে অনধিক ২ বছরের আটকাদেশ দেয়া যাবে। কিন্তু পুনর্বাসনের বিষয়ে আইনটির ১৮(১) ধারায় সংক্ষেপে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত ভবঘুরে ব্যক্তির পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়নের উদ্দেশে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এখানে ‘নির্ধারিত পদ্ধতি’ বলা হলেও আইনের কোথাও কোনো পদ্ধতি নির্ধারণ করা নেই। এছাড়া ধারায় উল্লেখিত ‘যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ’ বলতে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটিও স্পষ্ট নয়। আইনের দৃষ্টিতে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ শব্দটি অনির্ধারিত ও অস্পষ্ট বলেই বিবেচিত। আইনে আটককালিন মেয়াদে তার শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের কোনো বিধান রাখা হয়নি। এমনকি আটকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে সরকারি বা বেসরকারি সহায়তায় পুনর্বাসনের কোনো বিধান রাখা হয়নি। ফলে আটককৃত ভবঘুরেদের আটকের মেয়াদ শেষে বৈধ কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ নেই। এতে আটককৃত ভিক্ষুকরা তাদের আটকের মেয়াদ শেষে আবারো ভিক্ষাবৃত্তিতেই ফিরে যায়। মোবাইল কোর্ট তাদের বারবার আটক করলেও ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হচ্ছে না। ফলে ভবঘুরে নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকাই রাখছে না।
‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আইনটি জনগুরুত্বপূর্ণ অথচ অসম্পূর্ণ। খসড়ায় অদূরদর্শিতা রয়েছে। বিধান করা না হলে শুধু আইন কখনো সফলতা আনতে পারে না। নগরবাসী ভিক্ষুকদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। অথচ সরকার নাকি কোনো ভিক্ষুকই খুঁজে পাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষীয় এ ধরণের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই অসাধু ব্যক্তিরা ভিক্ষাবৃত্তিতে নিত্যনতুন মাত্রা যোগ করছে।
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের সভাপতি অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের মতে, দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির ফলে বাসা-বাড়িতে যারা কাজ করতো তাদের সেই নির্ধারিত বেতনে পোষাচ্ছে না। বাড়তি আয়ের জন্য তারা এখন ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমে পড়েছেন। তারা যে সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসবেÑ তাও সম্ভব হয়নি। কারণ, এদের নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, অনেকেই রাত কাটায় রাস্তাঘাটে। কেউ বা বস্তি এলাকায় কয়েকটি ফ্যামিলি মিলে থাকে। সরকারি আর্থিক সমর্থন না পাওয়া এবং সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ভিক্ষক সংখ্যা বাড়ছেই। ভিক্ষুকের সংখ্যা ক্রমবর্ধিষ্ণু। ভিক্ষাবৃত্তির মতো সামাজিক সঙ্কট থেকে মুক্ত হতে হলে, তাদের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়ায় দুই হাত কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সম্পাদক মামুন
খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আদেশ স্থগিতে ১৮টি রাজ্যের মামলা
টেলিকমে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করা হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারচালক নিহত
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
বন্দরে বকেয়া বেতন দাবিতে পারটেক্স শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : ইউজিসি
ধামরাইয়ে ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইজিবাইক চালকের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত
গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা -নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল পবিস কর্মীরা
উত্তরা উলামা আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন
ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল হলেও অধরা রূপগঞ্জের রুবেল
সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে অভিযুক্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
পদ্মা ব্যাংকের ১২২তম পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত
ভারতের ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ২০ মাওবাদী নিহত