বৈরী আবহাওয়া চাপে অর্থনীতি
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ঘন কুয়াশায় ঢাকা সারা দেশ। রাত থেকে সকাল এমনকি দুপুর পেরিয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে গ্রাম-জনপদ, মাঠ-ঘাট, শহর-নগর-বন্দরের চারিদিক। তার উপর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গিয়ে খুবই কাছাকাছি অবস্থান করছে। দিনের বেলায়ও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিচে অবস্থান করছে। হাঁড় কাঁপুনি নিয়ে ধেয়ে আসছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকের হিমেল হাওয়া। পৌষ মাসের শেষে মধ্য-শীত ঋতুতে এখন শুষ্ক ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকার কথা, সেখানে বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের হার রয়েছে অস্বাভাবিক বেশিই।
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯১, সন্ধ্যায় ৭৮ শতাংশ! এরই মধ্যে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি অর্থাৎ মাঘ মাসের শুরুতেই ‘অসময়ে’ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি থেকে কুয়াশার দাপট হ্রাসের সাথে আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। ‘অকাল’ মেঘ-বৃষ্টি হলে শীত মৌসুমের সবচেয়ে অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ আলুসহ বিভিন্ন শাক-সবজি এবং পেঁয়াজের ফলন ক্ষতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ।
বিশেষত আলু, পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হলে আসন্ন মাহে রমজানে ঘাটতির শঙ্কা রয়েছে। এর ফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে দ্রব্যমূল্যের চলমান লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে। অবশ্য কৃষিবিদরা বলছেন, বৃষ্টিতে সেচের পানির চাহিদা পরিপূরণ হয়ে উপকার বয়ে আনবে বোরো-ইরি ফসল আবাদ উৎপাদনে। আবহমান বাংলাদেশের কৃষি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এ মুহূর্তে মাঠে রয়েছে আলু, পেঁয়াজ-রসুন, আদা, হলুদ ছাড়াও গম, সরিষা, তেলবীজসহ ৩১ ধরনের ফল-ফসল, খাদ্যশস্য ও শাক-সবজি। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও অকাল বর্ষণ হলে আলুর লেইট ব্লাইট রোগ-বালাই সংক্রমণের শঙ্কা নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায়। সেই সঙ্গে অসহ্য ঠাণ্ডা কুয়াশা ও হিমেল দমকা হাওয়ার কারণে দুর্বিষহ অবস্থায় দিনে এনে দিনে খাওয়া মজুর, জেলে, মাঝি-মাল্লা, ভাসমান হকার, কৃষিকর্মী, শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিরূপ আবহাওয়ায় বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কমে গেছে সার্বিক গড় উৎপাদনশীলতা। বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতিতে অধিকতর চাপে ও সঙ্কটে পড়েছে দেশের অর্থনীতি।
প্রাচীন বাংলার কৃষি পূর্বাভাস মনীষী খনার বচনে বলা হয়েছে- ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ- ধন্যি রাজা পুণ্য দেশ’। অর্থাৎ মাঘ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত হলে তা ফসল ফলনে উপকারি। পৌষও বৃষ্টির দরকার বলা হয়েছে। কিন্তু মাঘের গোড়ার দিকে ‘অকাল বর্ষণে’র প্রভাবে কৃষি-খামার, জনস্বাস্থ্য, উৎপাদনশীলতার নিরিখে অর্থনীতির ওপর লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। একথা বলছেন কৃষিবিদ ও কৃষকগণ।
‘অসময়ে’ মেঘ-বৃষ্টির পূর্বাভাস : গতকাল আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দেশের অনেক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তার আগে ১৬ ও ১৭ তারিখে আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে এই মেঘ-বৃষ্টির আবহ তৈরি হতে পারে। পশ্চিমা বায়ুর সাথে পূবালী বায়ুর সংযোগ ঘটলে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাছাড়া আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা প্রচুর জলীয়বাষ্পের কারণে মেঘ-বৃষ্টির আবহ তৈরি হয়েছে। দেশে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে।
তিনি জানান, গতকাল রাতের তাপমাত্রা আরেক ধাপ কমেছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও অস্বাভাবিক আবহাওয়াগত দিকটি হচ্ছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও সারা দেশে স্থানভেদে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি হ্রাস পেয়েছে। রাতের তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি এসে গেছে। ঠাণ্ডা অনুভূতির এটি অন্যতম কারণ। যেমন- গতকাল বগুড়া, সৈয়দপুর ও ডিমলায় দেশের দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন, যা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সে.। এই তিন জায়গায় রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১১.৫, ৯ এবং ১০.১ ডিগ্রি। রাজধানী ঢাকায়ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭.৬ এর বিপরীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬.৮ ডিগ্রি সে.। তিনি বলেন, অকাল মেঘ-বৃষ্টি যদি এক বা দুই দিন পর্যন্ত সীমিত থাকে তাহলে আলু, পেঁয়াজসহ ফসল ও সবজির ক্ষতির তেমন আশঙ্কা নেই।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলীপুর আবহাওয়া দফতরও ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি মেঘ-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। পশ্চিমা ঝঞ্ঝার (শক্তিশালী লঘুচাপ) জেরে এই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিতে আলু ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কা আছে। বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিতেই মাথায় হাত পশ্চিমবঙ্গের চাষিদের।
কানাডার সাস্কাচেয়ান বিশ^বিদ্যালয়ের আবহাওয়া-জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেইসবুক পেজে জানান, আমেরিকান ও ইউরোপীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো বলছেÑ শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবোরণে ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এই বৃষ্টির পরে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি আরো তীব্র হতে পারে। ঘন কুয়াশা চাদরে সপ্তাহ ধরে পুরো দেশ ঢেকে যেতে পারে। তার পরামর্শ আলু চাষিদের ১৫ জানুয়ারির পরে জমিতে সেচ আর না দেয়া এবং পানি নিষ্কাশনের আগাম প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন।
এদিকে বৈশি^ক আবহাওয়া-জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস প্রতিষ্ঠান ‘আকু ওয়েদার’, ‘ওয়েদার চ্যানেল’সহ বিভিন্ন সংস্থা আগামী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশে কুয়াশা হ্রাস পেয়ে মেঘের আনাগোনা বৃদ্ধি এবং ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘাচ্ছন্নসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। বলা হয়, এ সময়ে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
‘অকাল মেঘ-বৃষ্টিতে’ যা শঙ্কা : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নাসির উদ্দিন মাঘের শুরুতে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ও বর্তমানে বাতাসে অস্বাভাবিক বেশি হারে আর্দ্রতা থাকা প্রসঙ্গে ইনকিলাবকে বলেন, হালকা সাময়িক বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে না। তবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও এতে পানি জমে থাকলে আলু, পেঁয়াজসহ সবজির জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া যদি টানা কয়েকদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে ও হালকা বা গুঁড়ি বৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে আলু ক্ষেত লেইট ব্লাইট রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে কোল্ড ইনজুরি হতে পারে। তবে বোরো ফসলের ফলনের জন্য এখন বৃষ্টি হলে উপকার বয়ে আনবে। কেননা সেচের প্রয়োজন হবেনা, কৃষকের খরচ বাঁচবে।
একই বিভাগের চট্টগ্রাম জেলা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আবদুচ ছোবহান বলেন, এবারে বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে দেরিতে বীজআলু বপন করা হয়েছে। দোহাজারীসহ এখানে কিছু কিছু এলাকায় আলু ও পেঁয়াজ চাষ হয়। স্বল্প বৃষ্টি হলে ক্ষতির শঙ্কা নেই। আবহাওয়ার আলোকে করণীয় সম্পর্কে উপজেলা, ইউনিয়নসহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত গাইড লাইন দেয়া হচ্ছে।
অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসাইন তালুকদার বলেন, অল্প স্বল্প বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে না। শীতকালীন বৃষ্টি বোরো ফসলের জন্য উপকারি। গম, সরিষার জন্যও ভালো হবে। এখন হালকা সেচের যে প্রয়োজন তা হালকা বৃষ্টিতে পূরণ হবে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আলুর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
শীতকালীন ফসল বা সবজির মধ্যে বাংলাদেশে আলু চাষ হয় ব্যাপক। সামনেই টানা মেঘ-বৃষ্টিতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়লে আলুর লেট ব্লাইট বা ঝলসে যাওয়ার রোগবালাই ছড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে আলু উৎপাদনে ধস হতে পারে। দেশে বার্ষিক প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। বেশিরভাগ তুলে আনা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। বর্তমানে এমনিতেই আলুর মূল্য কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকায় আকাশছোঁয়া। বৃষ্টিতে ফলন ব্যাহত হলে ঘাটতি হবে। বিশেষত মাহে রমজানে অতিরিক্ত চাহিদার সময়ে সঙ্কট তীব্র হতে পারে।
আলুর লেট ব্লাইট রোগের শঙ্কা : আলুর লেট ব্লাইট রোগবালাই সম্পর্কে কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. মাহফুজ আলম এক নিবন্ধে জানান, দেশে প্রতিবছর লেট ব্লাইট রোগের কারণে আলু উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এটি আলু ও টমেটোর সবচেয়ে মারাত্মক রোগ। প্রাাথমিক রোগ নির্ণয় ও দমন করে এর প্রাদুর্ভাব কমানো যায়। বাংলাদেশে সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি যে কোন সময়েই নিম্ন তাপমাত্রা (রাতে ১০ থেকে ১৫.৫ এবং দিনে ১৫.৫ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস), অতিবেশি আর্দ্রতা (৮০ শতাংশের বেশি), কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আবহাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে এ রোগ মহামারী আকার ধারণ করে। বাতাস, বৃষ্টি ও সেচের পানির মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু দ্রুত আক্রান্ত একটি আলু গাছ বা চারা থেকে সুস্থ গাছে গাছে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে পারপল ব্লচ পেঁয়াজের মারাত্মক রোগবালাই। আক্রান্ত বীজ, বাতাস ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত কুয়াশা, শিশিরপাত, আর্দ্র আবহাওয়া, মেঘ ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসের মাধ্যমে এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়ায়।
এদিকে বৈশি^ক উষ্ণতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশঘাতি কর্মকাণ্ড, শীতের বিস্তৃতি হ্রাস, অকাল বৃষ্টি, মেঘাচ্ছন্ন ও সার্বিক এলোমেলো আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দেশে গমের উৎপাদন ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদনের এলাকাগুলোও সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। বৈশি^ক তথ্য মতে, ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গম উৎপাদন তীব্র হ্রাস পেয়েছে। গম উৎপাদন ১৯৯৯ সালে যেখানে ছিল ১৯ লাখ মেট্রিক টন, সেখানে ২০২১ সালে ১১ এগারো লাখ টনে নেমে গেছে।
পূর্বাভাস : শীত-কুয়াশা শেষে বৃষ্টি
আজ রোববারসহ এ সপ্তাহের আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ, সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বিঘ্নিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় একই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। এর পরের ৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ‘শীত নামানো বৃষ্টি’ শেষেই মাঘের শুরুটা হবে তীব্র শীতের দাপট দিয়ে। টানা কয়েকদিনের শীত-কুয়াশার বৈরী আবহাওয়ায় প্রায়ই ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, জ¦র, হাঁপানি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরেনের রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ঠাণ্ডায় ও দিন-রাত ঘন কুয়াশায় আয়-উপার্জন কমে গেছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী লোকজনের।
এদিকে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে। এর মাধ্যমে একটি শীত-কুয়াশার বলয় তৈরি হয়েছে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাঁপছে সৈয়দপুরসহ উত্তরের জেলা নীলফামারী। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির। পাঁচদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে বিভিন্ন অঞ্চল। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ায়ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এমন তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন থাকবে। সৈয়দপুরের আকাশে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলু ক্ষেত। এতে দিশেহারা হয়ে। পড়েছেন কৃষকরা। এখানে গবাদিপশুরাও ঠাণ্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। এ প্রাণীগুলো শীতজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না।
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ে অব্যাহত রয়েছে ঘনকুয়াশা হাঁড় কাঁপানো শীত। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার একই সময়ে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সর্বোচ তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্।
স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চগড়ে গত সোমবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। শুক্রবার বিকালে সূর্য দেখা গেলেও তাপমাত্রা তেমন বাড়েনি। অব্যাহত রয়েছে হাঁড় কাঁপানো শীত, ঘনকুয়াশা। হিমালয় থেকে বরফ গলা ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে আসায় এখানে শীতের প্রকোপ বেশি। দিন যতই যাচ্ছে ততই ঠাণ্ডা বাড়ছে। বৃষ্টিরমতো ঝড়ছে কুয়াশাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন শহর ও গ্রামের জনপদ।দিনাতিতে পড়ছে বৃষ্টিরমতো কুয়াশা।বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ শিশু ও বয়স্ক মানুষের। বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। সকাল ৯টায় হেডলাইট জ্বালিয়েও চলাচল করছে যানবাহন। অনেকে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে গতকাল শনিবার ভোর ৫টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহের। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়ার অবজারভার রাজিব খঁ ান বলেন, জানুয়ারির এ সময়ে শীতের প্রকোপ বাড়ে। এখন শীতের প্রকোপ বেশি। আকাশে মেঘ ছিল। সেটা কেটে গেছে। এখন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা ভীড় জমাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোয়। প্রতি শুক্রবার রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার এলাকায় বসে পুরোনো গরম কাপড়ের দোকান। এখানেও প্রচণ্ড ভীড়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ডের বেডগুলিতে একটুও জায়গা নেই। রোগীরা মেঝেতে এবং বারান্দায় অবস্থান করছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার সাথে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের প্রায় দেড় ডিগ্রী নিচে নেমে যাওয়ায় সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। গত শুক্রবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামার পরে গতকাল শনিবার তা ১০.৭ ডিগ্রীতে হ্রাস পেয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১.৫৫ সূর্য উকি দিলেও রোদের তেমন তেজ ছিলনা। সাথে হিমেল হাওয়া আর মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপন্ন।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে আগামী দুদিন দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির কথা জানিয়ে ১৫ জানুয়ারীর পরবর্তী ৫ দিনে বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টির সম্ভবনার কথাও বলা হয়েছে।
বগুড়া ব্যুরো ও আদমদীঘি উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বগুড়ায় তাপমাত্রার পারদ কমতে কমতে ১১.৫ এ নেমে এসেছে। শীতে কাহিল মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেনা। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের ডিউটিরত পর্যবেক্ষক বিমল চন্দ্র রায় বলেন, গতকাল শনিবার বগুড়ায় মিনিমাম তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ম্যাক্সিমাম ১৪. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার ছিল মিনিমাম ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমে শুক্রবার দিনটিতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তিনি জানান, সহসাই তাপমাত্রার উন্নতির সম্ভাবনাতো নাই বরং অবনতির আশঙ্কা আছে।
এদিকে শীতের কারণে মানুষ কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব করছে বা যাচ্ছেনা। দোকানপাট খুলছে দেরিতে আবার বন্ধ হচ্ছে সন্ধ্যার পরপরই। হোটেল রেস্টুরেন্টে ক্রেতা নেই। সব ব্যবসাতেই বেচাকেনায় ধস নেমেছে। তবে লেপ তোষক, কম্বল, জ্যাকেট চাদরসহ সব ধরণের শীত বস্ত্রের বেচাকেনা বেড়েছে। বেড়েছে রুমহিটার, ওয়াটার হিটার, ফ্লাক্স , গিজার মেশিনের বেচাকেনা।
ঝুঁকিতে রয়েছে আলুর চাষ। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইট বা পচাড়ী রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বোরো (বিচন) ধানের চারা তৈরির জমি লালচে রং ধারণ করছে যা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে চাষিদের কাছে। চরে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগোষ্টি এবং শহরের শ্রমজীবীরা কম্বল ও শীতের কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। তবে শীতবস্ত্র বিতরণে উৎসাহ খুব কম বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগীর ভীড় বেড়েছে।
এদিকে বগুড়ার সান্তাহার জংশন শহরে প্রচণ্ড শীতে আয়েজ উদ্দিন নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সে সান্তাহার শহরের পাশের নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা। হতদরিদ্র ও বাস্তহারা এই বৃদ্ধ কয়েক দিন ধরে সান্তাহার জংশন স্টেশন এলাকায় অবস্থান করতে দেখেন এলাকাবাসী। শীতের দিন হলেও তার গায়ে পাতলা একটা চাদর ও কম্বল পড়ে থাকতেন। গত শুক্রবার রাতে তাকে স্টেশন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের গলিতে প্রচণ্ড শীতে কাঁপতে দেখে এক ব্যবসায়ী নতুন কম্বল বৃদ্ধকে দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। গতকাল শনিবার সকালে এলাকার লোকজন ওই বৃদ্ধকে মৃত দেখতে পায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পযর্বেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গতকাল শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক সাপ্তাহে থেকে এই জেলায় সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে না। রাতে ঠাণ্ডার প্রকোপ আরো বেড়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে এবং সকাল বেলা চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যায়।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত নিউমোনিয়া আক্রান্ত বেশি শিশু ভর্তি হচ্ছেন। লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘন কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমলেও তীব্র শীতের সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিলো ৯৩ শতাংশ। এতে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে।
দৌলতখান (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দৌলতখান উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বশির আহম্মদ বলেন, শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। দৌলতখান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, শীতার্ত মানুষের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পৌষের শেষে শীতের দাপটে কাঁপছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার সাধারণ মানুষ। কয়দিন যাবত প্রচন্ড ঠান্ডা ও আজ সারাদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই এই অঞ্চলে। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। এর সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়ায় দুই হাত কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সম্পাদক মামুন
খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আদেশ স্থগিতে ১৮টি রাজ্যের মামলা
টেলিকমে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করা হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারচালক নিহত
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
বন্দরে বকেয়া বেতন দাবিতে পারটেক্স শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : ইউজিসি
ধামরাইয়ে ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইজিবাইক চালকের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত
গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা -নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল পবিস কর্মীরা
উত্তরা উলামা আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন
ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল হলেও অধরা রূপগঞ্জের রুবেল
সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে অভিযুক্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
পদ্মা ব্যাংকের ১২২তম পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত
ভারতের ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ২০ মাওবাদী নিহত