বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। মির্জা ফখরুল জামিন পেয়েছেন রাজধানীর পল্টন থানায় দায়েরকৃত ‘নাশকতা’র একটি মামলায়। এটিসহ ১০টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন হলো। আরেকটি মামলায় জামিন হলেই তারা কারামুক্তিতে বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন পৃথক ৯টি মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচচেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন দেয়া হয়েছে নাশকতা ও পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায়।
আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন দেন পল্টন থানার এসআই সুমিত কুমার। পরে পরবর্তী সময়ে গত ১৮ ডিসেম্বর দুই নেতার উপস্থিতিতে এই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। পাশাপাশি রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া, কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরে তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।