সউদী আরব এবং বাংলাদেশ ঢাকায় একটি নতুন আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মধ্যপ্রাচ্যে কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক পেশাদারদের সাহায্যে সউদী আরবের শিক্ষার পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে চায়। সউদী আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস এবং কাজ করে। তারা দেশটির বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের বাইরে সবচেয়ে বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়।

সউদী আরবের ভিশন ২০৩০-এর অধীনে, তাদের মধ্যে আরো বেশি লোক সউদী আরবে কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে, বিশেষ করে যদি তারা দক্ষ পেশাদার হয়। এ সপ্তাহে ঢাকায় রিয়াদের রাষ্ট্রদূত ঈসা আল-দুহাইলান বাংলাদেশে আরবি প্রশিক্ষণের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরব নিউজকে বলেছেন, ‘এটি সউদী আরব এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্রের একটি দিক হবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করতে পেরে সম্মানিত এবং আমরা আরবি ভাষার প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি’।

‘আমরা এখন জানি যে, অনেক বাংলাদেশি এখানে বাংলাদেশে, বা সউদী আরব বা অন্যান্য আরব দেশে কিছু কলেজে আরবি ভাষায় কোর্স নিচ্ছেন, তবে বাংলাদেশে আপনার যদি এই প্রতিষ্ঠানটি থাকে তবে এটি একটি মাইলফলক হবে, আরবি ভাষাভাষীদের জন্য একটি মেরুদণ্ড।
রাষ্ট্রদূত বলেন যে, ইনস্টিটিউটটি হবে ‘সউদী আরব সরকারের একটি উপহার’। তিনি বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল হামিদ জমাদ্দারের সঙ্গে আরবি ইনস্টিটিউট ও পাঠদান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।

জামাদ্দার আরব নিউজকে বলেছেন, ‘ঢাকায় সউদী অর্থায়নে আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমরা একটি উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি’। তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি সম্ভাব্য প্রবাসী শ্রমিকদের উপকৃত করবে, যাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে, কারণ সউদী আরব তার শ্রমবাজারে কর্মীদের পেশাদার দক্ষতা উন্নত করার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সউদী আরব আমাদের ইনস্টিটিউটের জন্য পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে ... এটি একটি ইনস্টিটিউট হবে যা মূলত আরবি ভাষা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণায় ফোকাস করবে’। ‘এ ইনস্টিটিউট থেকে একটি প্রশংসাপত্র পাওয়ার পর আমাদের অভিবাসী কর্মীরা সউদীতে আরো ভাল চাকরির সুযোগ খুঁজে পাবেন, ইনস্টিটিউটটি একটি দুর্দান্ত সাহায্য হবে’। সূত্র : আরব নিউজ।