ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামের সৌন্দর্য জাতির কাছে তুলে ধরে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের এবং মানবতার ধর্ম। ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে বিজয়ের জন্য। ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় ইসলামের সৌন্দর্য জাতি দেখতে পাচ্ছে না। যদি ইসলাম একবার প্রতিষ্ঠিত হতো তাহলে মানুষ অন্যকোন দিকে ছুটতো না। কাজেই ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয়ী করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সুধীদেরকে দেশ, ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখতে হবে। কারো শ্রম, কারো মেধা, কারো অনুদান সবমিলে একটি দেশ ও একটি জাতি গড়ে উঠে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রামপুরাস্থ একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি আরমান হোসাইন, মহম্মদ ইব্রাহিম শেখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশ বিদেশী নির্ভর হয়ে গেছে। এখন আমাদের দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের দেশের কোমলমতিদের শিক্ষার্থীদের ব্রেইনওয়াশ করছে। চলমান শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোট করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। আমরা জানি একটি পশুও সমলিঙ্গের পশুর সাথে মেলামেশা করে না। আর মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এধরনের জাতি বিধ্বংসী কোন কার্যক্রম এদেশে চলতে পারে না। তিনি বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে। ৯২ ভাগ মানুষের চিন্তা চেতনার আলোকে নতুনভাবে প্রণয়ন করতে হবে।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে

তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়

গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়

সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫

ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ

সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন

আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন

কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা

কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা

অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ

অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ

তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড

তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড

ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার

ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার

১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন

১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন

গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু

গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ