হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা কারিকুলাম বরদাশত করা হবে না
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
এদেশ থেকে এলমে ওহীকে বিদায় করার জন্য হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। একবিন্দু রক্ত থাকতে এদেশে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা কারিকুলাম বরদাশত করা হবে না। ইসলামকে ফু’দিয়ে এদেশে থেকে উড়িয়ে দেয়ার কারো খায়েশ পূরণ হবে না ইনশাআল্লাহ। শিক্ষা কারিকুলামকে ঢেলে সাজাতে হবে। ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতেই জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। তরুণদের মেধা শূন্য করার লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও অঙ্ক কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টনস্থ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের হলরুমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বর্তমান শিক্ষা সিলেবাসে বিতর্কিত অধ্যায় ও আমাদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলের আমীর শাইখুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রবন্ধ পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজীর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নুরুল হক নুর, এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা তারেকুল হাসান, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাহবুবুল হক, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আশিকুর রহমান জাকারিয়া, খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী বলেছেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার এদেশে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের স্বপ্ন এদেশে বাস্তবায়ন হবে না। তারা ইসলামকে মিটিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তার দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। তিনি বলেন, পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত ও ইসলাম বিরোধী পাঠ বাতিল না করলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। দেশের মানুষকে দুর্বল ভাববেন না। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ইসলাম বিরোধী কোনো আইন করবেন না। কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে যে ইসলাম বিরোধী লেখা ঢুকানে হয়েছে তা কি? সুতরাং মোনাফেকি বাদ দিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা চেতনার আলোকে শিক্ষা সিলেবাস তৈরি করতে হবে। অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না।
লিখিত প্রবন্ধে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, এখনো দেশে ইসলাম এবং মুসলমানদের আক্বিদা বিশ্বাস উপযোগী কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা ও সরকার কাঠামো তৈরি হয়নি। শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। এখানে মানুষ পাকিস্তানের জুলুম-নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের চিন্তা চেতনা বাস্তবায়নের কোনো প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়নি। বরং একটি কুচক্রী মহল স্বাধীনতা যুদ্ধকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মোড়কে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে দেশকে ধর্মহীন সেক্যুলার রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তার তিন মেয়াদে অভিন্ন কারিকুলাম নামে বারবার সিলেবাস প্রণয়ন করে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। শিক্ষা সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে ইসলামী সংস্কৃতি ও চেতনা পরিপন্থি অনেক অধ্যায় ও লেখা সংযোজন করা হয়েছে। যা আগামী প্রজন্মের ঈমান আক্বিদাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। এর মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার ও বিবর্তনবাদ ইস্যু দুটি সব থেকে বেশি জঘন্য। এ ছাড়াও বর্তমান শিক্ষা সিলেবাসের বিভিন্ন পাঠ্য বইয়ে আপত্তিকর এমন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে যেগুলো আবহমানকাল থেকে চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও রীতিনীতির সাথে সাংঘর্ষিক।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, আমাদের সন্তানদের ধর্মান্তরিত করার জন্য ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ঈমান আক্বিদা পরিপন্থি লেখা ঢুকানো হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশ থেকে হয়নি তা ইউরোপ আমেরিকা ও ভারত থেকে হয়েছে। ভারতের সংস্কৃতি বাংলাদেশে চলতে পারে না। এ শিক্ষা বাংলাদেশে চলতে দেওয় যায় না।
এনডিএম এর সভাপতি ববি হাজ্জাজ বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা থাকা অবান্তর। সবধরণের স্কলারদের দিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। বর্তমান ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষানীতি বাতিলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, মোদী বিরোধী আন্দোলনের কারণে অনেককে কারাবরণ করতে হয়েছে এখনও কারাবরণ করছে। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় বেকারত্বের কারখানায় পরিণত হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে শিক্ষা কারিকলাম ঠিক করতে হবে। সরকার তা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে তা তাদের জন্য কল্যাণ হবে অন্যথায় শিক্ষার দাবি সরকার পতনের দাবিতে পরিণত হবে।
সেমিনারে আগামী প্রজন্মের ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কচুয়ায় যুবলীগ নেতার ৪টি দোকান পুড়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
লেবানের বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
রাঙামাটিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল, পরিস্থিতি শান্ত
পরমাণু দূষিত পানি নিয়ে চীন ও জাপানের কিছু ঐকমত্য
ঝিকরগাছায় বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুসহ ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার
হিজবুল্লাহর ভয়ে ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার নির্দেশ
ভারতের ঘুম হারাম করে পাকিস্তানকে ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দিচ্ছে চীন
পাকিস্তানে সেনানিবাসে আত্মঘাতি হামলা, সেনাসহ নিহত ১৮
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গ্রেফতার
বিচারবিভাগ নিয়ে আজ রোডম্যাপ দেবেন প্রধান বিচারপতি
নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল
নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায় চীন: শি জিনপিং
পতিত স্বৈরাচারের দোষর মিডিয়া আর স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে
পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টও মুলতানে
৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইআইই-তে অংশ নেবে
সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে
৩ হাজার কয়েদির সাজা মওকুফ অথবা হ্রাস করতে যাচ্ছে ইরান