পদ্মার বুকে জেগে ওঠা ডুবো চর যেন অতিথি পাখির মিলনমেলা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম পদ্মা অধ্যুষিত উপজেলা হরিরামপুর। পঞ্চাশ দশক থেকে অনবদ্য পদ্মার ভাঙনের সাথে অনরত লড়াই করে জীবনযাপন করছে উপজেলার ভাঙনকবলিত ৯টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বর্ষায় পদ্মার ভয়ংকর রূপে দিশেহারা পদ্মাপাড়ের জনগণ। আবার বর্ষার পানি চলে যেতে না যেতেই পদ্মার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জেগে ওঠে ডুবো চর। এতে করে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমিতেও পরিণত হয়। প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই সব চরাঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে।
শুধু মানুষই নয়, শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পদ্মার বুকে জেগে ওঠা নতুন চরে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে দল বেঁধে ছুটে আসে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পদ্মাচর।
সুদূর হিমালয় থেকে সাইবেরিয়ার তীব্র ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতেই একটু উষ্ণতার সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অতিথি পাখিরা ছুটে আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাওড়, বাওড় ও জেগে ওঠা নদীর চরে।
শুধুমাত্র শীতের সময়ই বাংলাদেশে এ সব পাখির দেখা মেলে। সে জন্যই আমাদের দেশে এদেরকে বলা হয়ে থাকে অতিথি পাখি। পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই চোখ জুড়ানো তাদের খুনসুটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই হরিরামপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মার মাঝে অনেক এরিয়া জুড়ে নতুন নতুন ডুবো চর জেগে উঠলে এসব অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এতে করে বালু বাতান, জোড়ালী, কাদা খোঁচা, বাবু বাতানসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা মিলে এই চরেগুলোতে। কখনো জলে ডুব-সাঁতার দিচ্ছে, কখনো ঝাঁক বেঁধে মুক্ত আকাশের নীলে উড়ে বেড়াচ্ছে তারা।
উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার ট্রলার ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূর গেলেই চোখে পরে পদ্মায় জেগে ওঠা নতুন চর অতিথি পাখির মিলনমেলা। সন্ধ্যার গোধূলি আভায় যেন পাখিদের কিচিরমিচির বেড়ে যায়। সূর্য ডোবার সাথে সাথেই পাখিরা দলবেঁধে মিলিয় যায় দূরে কোথাও। আবার ভোরে সূর্যের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই নেমে পড়ে নদী কিংবা বিল বাওড়ে।
স্থানীয়রা অনেকে দাবি করে বলেন, প্রতি বছরই এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠে এবং বিদেশি এসব পাখিদের আনাগোনাও দেখা যায়। অনেকেই নৌকা নিয়ে চরে গিয়ে খুব কাছে থেকে পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। অনেকে শখের বশবর্তীতে শিকারও করেন। তাই এ সময়টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটু খোঁজখবর রাখা উচিত যেন প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদের দেশের অতিথিদের যেন কেউ ধ্বংস না করতে পারে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নূর এ আলম বলেন, অতিথি পাখি আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এদের ধ্বংস করা মানেই পরিবেশকে ধ্বংস করা। অতিথি পাখিরা যেন মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওড়-বাওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে, সে দিকে আমাদের সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি সৌখিনতার বশেও যেন পাখি শিকার না করে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর রয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে
ফ্রিজের ভেতর থেকে মিলল তরুণীর ৩০ টুকরা লাশ
খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্তারা, সফরের আগেই অস্বস্তিতে মোদি
আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’
বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের
যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১
বজ্রপাতে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু
রফিকের রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব
লেবাননে ভয়ঙ্কর পেজার বিস্ফোরণ, নেপথ্যে হাত ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!
ছাগলনাইয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত,আহত ১
তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক
শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান