কেন্দুয়ায় মেয়রপুত্র-ভাতিজিকে অতিরিক্ত সময় দেয়ার অভিযোগ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়ায় সায়মা শাহজাহান একাডেমি এসএসসির পরীক্ষা কেন্দ্রে গত রোববার গনিত পরীক্ষায় স্থানীয় মেয়রপুত্র ও তার ভাতিজিকে ‘অতিরিক্ত সময়’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে রতন চন্দ্র দেবনাথকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত রোববার গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিলো বেশ কঠিন। কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়ার ছেলে ও ভাতিজির জন্য রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অতিরিক্ত ২০ মিনিট দেখে লেখার সুযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি একাধারে সায়মা শাহজাহান একাডেমির ম্যানেজিং কমিটিরও সভাপতি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদ মিয়া কোন প্রতিবাদ করার সাহস না পেলেও প্রতিবাদী হয়ে উঠেন অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ। এসময় তারা হট্টগোল শুরু করলে কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষার খাতা তুলতে বাধ্য হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবক চিরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এর কাছে অভিযোগ করেন। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে একজন কেন্দ্র সচিবকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়।
কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র ও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আসাদুল হক ভূঁইয়ার ছেলে ও ভাতিজি সেই কক্ষের পরীক্ষার্থী হওয়ায় ওই অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও নীতিমালা পরিপন্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দুয়াবাসী বলেন, সাবেক এমপির আস্থাশীল মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়া এবং তার বড় ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ভূঁইয়া কেন্দুয়া পৌর এলাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। সংক্ষুব্ধ একজন অভিভাবক বলেন, অভিযোগকারীকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে এবং ইউএনও অফিসে নিজে গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দুয়াবাসী নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায়।
কেন্দুয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব হোসেন জানান, ১ নম্বর হলের দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলারের সাথে কথা বলে ওই কেন্দ্রের সীটগুলোও পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল আলম জানান, তদন্ত কমিটির গঠন করা হয়েছে। আমি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সার্বক্ষণিক ছিলাম। তদন্তে প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই। কারো সুবিধার জন্য তো বলতেই পারে। তদন্ত নিজস্ব গতিতে চলবে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংখ্যা এবং ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক: আলোচনায় যে সব বিষয়
ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
১,০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ফিরল হারানো বিড়াল!
গাজীপুরে নারী নিহত : বাসে আগুন
চোটে মৌসুম শেষ রদ্রির
পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত হচ্ছে শাংহাই
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৬
ভারতীয় পেসাররা এখন আকরাম-ইউনিসের সমতুল্য
লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৪৯২
নতুন স্পাইমাস্টার নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিয়াম গ্রেপ্তার
বার্সা চাইলে ফিরতে প্রস্তুত ব্রাভো
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া
চোটে পড়ে মৌসুম থেকে ছিটকেই গেলেন টের স্টেগেন
ইন্টার মায়ামি ছাড়ছেন মেসি?
ডেভিস কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরছেন নাদাল
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায়হানের দোষ স্বীকার