ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ভারতের কথা মতে দেশের সকল সেক্টর ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশের কোন বিভাগে কে নিয়োগ পাবে সেটাও ভারত ঠিক করে দেয়। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিতর্কিত ও ইসলাম বিরোধী পাঠ অর্ন্তভূক্ত করে আগামী প্রজন্মের ঈমানহারা করার চক্রান্ত। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পরে না। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। না হয় এ দেশ বিলীন হয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মাওলানা মামুনুল হককে রাজনৈতিকভাবে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে। এ ধরনের মামলায় হাজার হাজার লোক মুক্তি পেলেও মামুনুল হক কেন মুক্তি পাচ্ছে না। জাতির আর বুঝতে বাকি নেই। মামুনুল হকসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি করাসহ বহুমুখী সঙ্কট থেকে দেশকে উত্তোরণ করতে হলে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
গত রোববার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত দেশকে বহুমুখী সঙ্কট থেকে উত্তোরণ, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও পাঠ্য পুস্তক থেকে বিতর্কিত লেখা বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশকে বহুমুখী সঙ্কট থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে সরকারের পতনে জনগণকে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। দেশের জনগণ ভোট দিয়ে এ সরকারকে নির্বাচিত করেনি। এ সরকার অবৈধ। একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে অহরহ মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি লজ্জিত।
সেগুন বাগিচাস্থ রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ-ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাছুম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববী হাজ্জাজ, গণ-অধিকার পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল হক নুর (সাবেক ভিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এবং সমর্থক সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারগারে বন্দি রয়েছেন। অবিলম্বে মাওলানা মামুনুল হকসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না।
গোলটেবিল বৈঠকে নগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সুষ্ঠু হয়েছে বলে স্বীকৃতি না দেওয়ায় সরকারের আশা ভরসা চুরমার হয়ে গেছে। মানুষ আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চায়। তিনি মামুনুল হকের মুক্তি দাবি করে বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তিরা মুক্তি পেলেও মাওলানা মামুনুল হক কেন মুক্তি পায় না? সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি করা যাবে না। সুতরাং আদর্শগত ভেদাভেদ ভূলে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামতে হবে।
গণ-ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইসলামী বইয়ে দুর্গার ছবি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বই ভারতে ছাপা হয়। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশে খাদ্য সামগ্রীর অভাব নেই তাহলে জিনিসপত্রের এতো দাম কেন? ছাত্রলীগে সোনার ছেলেরা দেশের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে কিন্তু তাদেরকে কিছু করতে পারছে না সরকার। নির্বাচনে দেশের জনগণ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে এখন আমাদেরকে আরো জোরালো ভূমিকা রেখে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
গণ-অধিকার পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল হক নুর (সাবেক ভিপি) বলেন, বিডিআর হত্যার মাধ্যমে এদেশে ভারতের আগ্রাসন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে পুলিশ, বিডিআরসহ বিভিন্ন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগে ভারত সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। ভারতের খেয়াল খুশি মতো করেই এ সরকার টিকে আছে। ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট আশরফ আলী আকন্দ বলেন, যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোট চুরি করে তারা বাঙ্গালী হতে পারে মানুষ হতে পারে না। দেশকে সংকট থেকে উত্তোরণ করতে হলে এ সরকারকে হঠাতে হবে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রতিবেশি দেশ বংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই। সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে ভারতের স্বার্থেই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখে। ভারত তাদের স্বার্থ ছাড়া কাউকে সমর্থন করে না। সুতরাং ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। না হয় দেশের স্বাধীনতা ভুলূন্ঠিত হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জাপানকে হারিয়ে উত্তর কোরিয়ার রেকর্ড
তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক: আলোচনায় যে সব বিষয়
ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
১,০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ফিরল হারানো বিড়াল!
গাজীপুরে নারী নিহত : বাসে আগুন
চোটে মৌসুম শেষ রদ্রির
পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত হচ্ছে শাংহাই
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৬
ভারতীয় পেসাররা এখন আকরাম-ইউনিসের সমতুল্য
লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৪৯২
নতুন স্পাইমাস্টার নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিয়াম গ্রেপ্তার
বার্সা চাইলে ফিরতে প্রস্তুত ব্রাভো
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া
চোটে পড়ে মৌসুম থেকে ছিটকেই গেলেন টের স্টেগেন
ইন্টার মায়ামি ছাড়ছেন মেসি?
ডেভিস কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরছেন নাদাল
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান