দ্রব্যমূল্য বাড়ে মিডিয়ার কারণে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
মিডিয়ার ভূমিকার কারণেও অনেক সময় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। গতকাল সোমবার ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন ও আদালত সাংবাদিকতা (এলআরএফ) ওয়ার্কশপ-২০২৪’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ‘কিশোর গ্যাং’কে একটি সামাজিক সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, সাম্প্রতিককালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার হচ্ছে। আমাদের সমাজে কিশোর গ্যাং আসলেই একটা সমস্যা। কিশোর গ্যাং কেন হয় কি কারণে হয় সমাজ বিজ্ঞানীরা আছেন তারা ভালেভাবে দেখতে পারবেন কিভাবে প্রিভেন্ট করা যায়। কিন্তু আইন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিকোণ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছেন এ ধরণের কিশোর গ্যাংদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন। মানুষ কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় ভীষণ অতিষ্ঠ। আমি যখন বিভিন্ন জায়গায় যাই আমাদেরকে বলে এই কিশোর গ্যাং আসলে কেউ কিশোর না। হতে পারে সবাই কিশোর না, ১৫/১৬ বছর বয়স। আমাদের শিশু আইনে ১৮ বছর। শিশু আইন ও হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, শিশুদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পরিচয় যাতে প্রকাশ না করা হয়। কিন্তু আমি কয়েকদিন ধরে দেখছি আইন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর মধ্যে প্রবণতা আছে কে কতটুকু কাজ করছে তা তুলে ধরার। তারা হয়তো ডাকলো, ডেকে মিডিয়ায় ব্রিফ করলো। প্রাথমিকভাবে ধরে নিতে হবে, এরা কিশোর। কারো যদি বয়স কম বেশি হয় সে বিষয়ে প্রশ্ন আসলে সেটা আদালত নির্ধারণ করবে।
কিশোর গ্যাংয়ের গ্রেফতার হওয়া বা ধরা আইনগত বাধা নেই। এটা করতেই পারে। কিন্তু এদের ছবি দেয়া মিডিয়ায়, পত্রিকায় সেভাবে পরিচয় প্রকাশ করা, এটা কিন্তু আইনে বারিত করছে। এখন আপনাকে (সাংবাদিকদের) ডেকে ব্রিফ করলো। করলেই কি আপনি ছবিসহ নাম প্রকাশ করে দিবেন? সে ক্ষেত্রে আপনাকে সংযত হয়ে আইনটা মেনে সংবাদ পরিবেশন করবেন ছবি যাতে প্রকাশিত না হয়।
আদালত সাংবাদিকতার বিষয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, যতটুকু সত্য ততটুকু আপনি (সাংবাদিক) করবেন। ততোটুকু দিবেন যতটুকু আপনি প্রমাণ করতে পারবেন। যদি আপনার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়, অবশ্যই ডিপেন্ড করবেন। আমি মনে করি এ ধরণের সাহসী সাংবাদিকতা অবশ্যই থাকা দরকার। কারণ আমরা কেউই আইনের উর্ধে নয়। বিচারক হই, যেই হই। আমাদের জবাবদিহীতা আছে জনগণের কাছে, আইনের কাছে, সংবিধানের কাছে। তবে সাবধানতার সাথে করতে হবে, যাতে বিচারকের মানহানি না হয়।
সংবাদ প্রকাশে মিডিয়ার দায়িত্বশীলতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এই বিচারপতি আরো বলেন, অনেক সময় মিডিয়ার কারণে আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আমি যখন সকাল ৮টায় যেকোনো একটা চ্যানেল খুলি, তখন তারা বলে যে, আজকে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সংকট। সকাল ৮টায় যদি এ নিউজ করেন, সকাল ১০টায় দেখবেন কারওয়ানবাজারে ৩০ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে। বিকেল বেলা যাবেন শ্যামবাজারে, দেখবেন ৪০ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে। ফলে একটা হাহাকার বেড়ে গেল। এই নিউজগুলো তো টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। কেননা পেপারগুলোতো একদিন পর প্রকাশিত হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক: আলোচনায় যে সব বিষয়
ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
১,০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ফিরল হারানো বিড়াল!
গাজীপুরে নারী নিহত : বাসে আগুন
চোটে মৌসুম শেষ রদ্রির
পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত হচ্ছে শাংহাই
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৬
ভারতীয় পেসাররা এখন আকরাম-ইউনিসের সমতুল্য
লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৪৯২
নতুন স্পাইমাস্টার নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিয়াম গ্রেপ্তার
বার্সা চাইলে ফিরতে প্রস্তুত ব্রাভো
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া
চোটে পড়ে মৌসুম থেকে ছিটকেই গেলেন টের স্টেগেন
ইন্টার মায়ামি ছাড়ছেন মেসি?
ডেভিস কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরছেন নাদাল
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায়হানের দোষ স্বীকার