ঘোষিত হয় স্বাধীনতা-সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঘোষিত হয় স্বাধীনতা-সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রুপরেখা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সব রাজনৈতিক ও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এ দিনটিতেই।
পূর্ব সিদ্ধান্তের আলোকে এই দিনে ঘোষণা করা হয়- এ দেশের নাম হবে ‘বাংলাদেশ’, পতাকা হবে সবুজ জমিনের মাঝে লাল সূর্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা’ হবে জাতীয় সঙ্গীত, বঙ্গবন্ধু হবেন জাতির পিতা আর ‘জয় বাংলা’ হবে জাতীয় স্লোগান। বঙ্গবন্ধুকে বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক মনোনীত করে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধের সব রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণও হয় ঐতিহাসিক এই দিনে। গুলি করে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা, জেল-জুলুম-অত্যাচার ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবিতে এদিন সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্ত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর পূর্বঘোষিত এ হরতাল সফল করার জন্য সে দিন ক্ষুদ্ধ ও মুক্তিকামী লাখ লাখ মানুষ ভোর থেকে বাঁশের লাঠি হাতে রাজপথে নেমে পরেন। অন্যদিকে এই দিনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল ইয়াহিয়া খান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের (সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী) ১০ জন নেতার বৈঠক আহ্বান করেন।
আওয়ামী লীগ, পিপলস পার্টি, মুসলিম লীগ, ন্যাপ, জামায়াতে ওলামায়ে পাকিস্তান, জামায়াতে ইসলামী ও পিডিপির নেতাদের বৈঠকে আহ্বান করা হলে আওয়ামী লীগ প্রধান ও বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু ওই বৈঠককে ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেন। বিকালে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ আয়োজিত পল্টনের বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, দু’দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বহু নিরপরাধ বাঙালিকে হত্যা করেছে। এ দেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় কেনা অস্ত্র দিয়ে নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো করে স্বাধিকারের আন্দোলন-সংগ্রাম স্তব্ধ করা যাবে না। ৪ থেকে ৬ মার্চ দেশব্যাপী ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু দেশের খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি ঘরে ঘরে সংগ্রাম কমিটি ও মুক্তিবাহিনী গঠনেরও আহ্বান জানান।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম খান, শ্রমিক নেতা আবদুল মান্নান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সভায় ঘোষণাপত্র ও প্রস্তাব পাঠ করেন ছাত্রলীগ নেতা এমএ রশীদ এবং ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রলীগ নেতা শাজাহান সিরাজ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারসমূহের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন : সাইফুল হক
দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে : আইজিপি
নব-নির্বাচিত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা-কে বাংলাদেশ ন্যাপ'র অভিনন্দন
ছাত্র - জনতার গনবিপ্লবে সংগঠিত সকল গনহত্যায় জড়িত শেখ হাসিনার বিচার চাই [ সৈয়দ ফজলুল করিম ]
লেবাননে ইসরাইলের হামলা যুদ্ধবিস্তারের প্রচেষ্টা : এরদোগান
সীতাকুণ্ডে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত জামায়াত নেতার জানাজা সম্পন্ন
সিংগাইরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ৩ দিনপর এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রপ্তানিতে বাংলাদেশকে বড় সুখবর দিলো চীন
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম ও ইসলামী স্কলার অন্তর্ভুক্ত করুন
প্রবাসী কর্মী ও রাষ্ট্রকে জিম্মি করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে রুহুল আমিন স্বপন
বগুড়ায় এক পশলা বৃষ্টি, জনমনে স্বস্তি...
পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার চক্রান্ত সম্মিলিত ভাবে রুখে দিতে হবে
নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে চীনের ব্যাপক সাফল্য
যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ‘ছাত্র হত্যাকারী চেয়ারম্যান’কে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা
মির্জাপুরে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসলে নেমে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ গ্রেপ্তার -ছড়িয়ে নিতে সন্ত্রাসীদের থানায় হামলা
ভ্রমণে সঙ্গী সাপ! হুলুস্থুল কাণ্ড চলন্ত ট্রেনে
এপিসি থেকে ফেলা ইয়ামিনকে হত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
যবিপ্রবির ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. জাকিরের মতবিনিময়
ফ্যাসিবাদের দোসর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি উপদেষ্টা নাহিদের কড়া বার্তা