বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, জনপ্রিয় আলেম ইসলামি আলোচক ও বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি ব্রেনস্ট্রোক করে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রোববার দুপুর দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি।

মাওলানা লুৎফর রহমানের জামাতা চর লামচি তালিমুল কোরআন নূরানী মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল্লাহ মাহমুদ বলেন, আমার শ্বশুর কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন। তার রুহের মাগফিরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। মাওলানা লুৎফর রহমানের বাড়ির সামনে তাকে দাফন করা হবে। ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মাওলানা লুৎফুর রহমান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের ছেলে। বক্তা হিসাবে দেশব্যাপী তার পরিচিতি রয়েছে। জনপ্রিয় এই ইসলামি আলোচকের ইন্তেকালের খবরে অনেকেই তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।

করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা বলেছেন, লুৎফুর রহমান হুজুর খুব ভালো মানুষ ছিলেন। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার প্রিয় মানুষ। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।
আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।