৪ মার্চ থেকে দেশ কার্যত চলেছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম
৪ মার্চ ১৯৭১ থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানী সামরিক জান্তার বদলে কার্যত চলেছিল বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এ দিন থেকে অফিস- আদালত, ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা মত কাজ করেন। এর আগেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু। যেন ‘হ্যামিলনের বংশীবাদক’ রুপে অর্বিভূত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। এর মধ্য দিয়ে ভেঙ্গে পড়েছিল তৎকালীন পাকিস্তানের বে সামরিক প্রশাসন। এদিন এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, হরতালের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যে সব কর্মচারী বেতন পাননি তাদের সুবিধার্থে প্রতিদিন দু’ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে। বাংলাদেশের জন্য অনধিক পনের শ’ টাকা পরিমাণ বেতনের চেকই কেবল ক্যাশ করা যাবে। স্টেট ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বাংলাদেশের বাইরে কোনো টাকা পাঠানো যাবে না।
এ দিন থেকে শোষিত ও বিক্ষুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিটি নারী, পুরুষ তেজদীপ্ত সাড়া দেওয়ায় জনতাকে অভিনন্দন জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেসামরিক, নিরস্ত্র শ্রমিক, কৃষক ও ছাত্রজনতা বুলেটের সামনে যে সাহস ও প্রত্যয়ের সঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে লক্ষণীয়। তাই বাংলার সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের প্রতি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
পৃথক এক বিবৃতিতে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেন, ‘ওরা সাম্রাজ্যবাদের দালাল। ওদের শোষণ-নির্যাতনে ৮৫ ভাগ বাঙালি আজ প্রায় মৃত্যুর সম্মুখীন। সুতরাং যে ব্যক্তি, যে রাজনৈতিক দল অথবা যে রাজনৈতিক নেতা পশ্চিমাদের সাথে কিংবা সাম্র্রাজ্যবাদীদের সাথে কোনো রকমের আঁতাত করবে বা করতে যাবে সে যে শুধু তার নিজস্ব ক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত হবে, তা নয়, বরং তার জানমালও বিপন্ন হবে।
এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সারা দেশে পালিত হয় স্বত:স্ফূর্ত হরতার। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত রাখার প্রতিবাদে প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ২টা হরতাল পালনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে বাঙালি জাতি।
বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সামরিক আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সাংবাদিকরাও। এ দিন সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানায় পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন। ইউনিয়নের সভাপতি আলী আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়, মার্চের গণআন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যার বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে এবং হতাহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ওপর যে সব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় ৪ মার্চের সভায়। সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার না দিলে সাংবাদিকরা বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রওশন, জিএম কাদের ও মজিবুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি এলডিপি মহাসচিবের
কুড়িগ্রামের উলিপুরে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা
সাবেক শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ভানু লাল রায় কারাগারে
ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে, উপহার নয় : রিজওয়ানা হাসান
কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করেনি বর্তমান সরকার: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন
মাগুরায় মাজলিসুল মুফাসসীরিনের জেলা সম্মেলনে ১১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
সাকিবের চোট নিয়ে যা বললেন হান্নান
গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা-কামালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ভোলার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা। ভোগান্তিতে গ্রাহকরা।
ছুটির দিনসহ সপ্তাহে ৭ দিনই শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে ‘হাফ ভাড়া’
রাজবাড়ীতে সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাই কারাগারে
শিবগঞ্জে যুব-স্বেচ্ছাসেবকদলের ২ নেতা জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
চৌগাছায় প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা
মজিব সভাপতি, সাইফুল সম্পাদক নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে একদিনে ৮৭০ মামলা, জরিমানা ৩৫ লাখ ৮০ হাজার
তারাকান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দর্শনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক অবরোধ
কেপিএম নতুন এমডি মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ যোগদন
কালীগঞ্জে রাস্তার পাশে পড়ে ছিল অজ্ঞাত লাশ
চীনের মধ্যাঞ্চলের সেতুতে দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, আহত ৭