সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অত্র মন্ত্রণালয়ের বিগত ১২/০৬/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৪৬ নং, ১৯/১০/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর /২০০৯-৮৬ নং ও ০৭/০৭/২০১৯ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৬৩ নং স্মারকে প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাদের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বরখাস্তকৃত তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির অনুসারী বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে কাজী বশির ও জাকির হোসেন মাসুদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

গত ৯ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরদিন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানস্ত বাসায় পুলিশ তল্লাশী চালায়। এ সময় ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও যুথীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়।