ভালোবাসা বোঝে না দলমত-জাতিধর্ম, প্রেমের কাছে পরাজিত হলো রাজনীতি। চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনাও। কুষ্টিয়ায় প্রেমের টানে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির হাত ধরে অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন বিএনপি নেতার এক কলেজপড়ুয়া মেয়ে। এ ঘটনায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীদের দাবি, একজন নেতার অপরাধের কারণে পুরো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণায় তারা অবাক এবং হতাশ হয়েছেন। যদিও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে সাংগঠনিক গতিশীলতা ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সদ্য বিলুপ্ত কমিটি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বেশকিছু দিন ধরে সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমানের কলেজপড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রামের। ওই কলেজছাত্রী ও সংগ্রামকে একসাথে একাধিকবার দেখেছেন তারা। দুজন নিজ ইচ্ছায় পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। এই কারণেই বিলুপ্ত করা হয়েছে কমিটি।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন শেখ হিমেল জানান, কমিটি বিলুপ্তির বিষয়ে আমি নিজেও জানতাম না। ফেসবুকে ও লোকমুখে শুনেই জেনেছি। তবে একজন নেতার অপরাধের কারণে পুরো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণায় অবাক এবং হতাশ হয়েছি। এর বেশিকিছু বলার ইচ্ছা নাই।
এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

কলেজছাত্রীর স্বজনরা জানান, আজ কলেজছাত্রীর বিয়ের কথা ছিল। গত রোববার সদর উপজেলা হরিনারায়ণপুর বেড়বাড়াদি এলামপাড়া থেকে ওই কলেজছাত্রীকে জোর করে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যান ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রাম। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে কলেজছাত্রীর ভাই আসিফ করিম প্রাপ্ত বাদী হয়ে আদিপুজ্জামান সংগ্রামসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অপহরণের একটি লিখিত অভিযোগ দিলে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগ।