ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর শহরে সিলিন্ডারের গ্যাস থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছে। গুরুত্ব আহত অবস্থায় তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোর রাতে সেহরি রান্না করার সময় ধামরাই পৌরশহরের মোকামটোলা মহল্লায় ইব্রাহিম হোসেনের লিয়াকতের বাসায় ভাড়াটিয়ার ফ্যাটে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধরা হলেন- নূরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), মেয়ে সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। এরমধ্যে সুফিয়া বেগম ও নান্নুর অবস্থা আশঙ্কা জনক। আহত নূরুল ইসলাম নান্নু উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। তিনি ইব্রাহিম হোসেন লিয়াকতের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নূরুল ইসলাম নান্নুর স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় রান্না ঘরে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলায় অটোসুইচ অন করার সাথে সাথে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অন্যান্য রুমে থাকা সবার বুঝে উঠার আগেই মুহুর্তের মধ্যেই অপর তিনটি কক্ষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিভিন্ন রুমে থাকা নান্নুসহ স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে গুরুত্বর দগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও প্রতিবেশীরা দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়।

ওই ভবনের ভাড়াটিয়া আনন্দ সরকার জানান, নিচ তলায় ডাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে দেখি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নুর কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে দ্রুত অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ওই ইউনিটে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের চুলার সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে বিভিন্ন রুমে ছড়িয়ে পড়ার কারণে গ্যাসের চুলায় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেই। পরিবারের ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।