বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর উদ্যোগে উদ্বিগ্ন আবরারের পরিবার
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ জারি করে বুয়েট প্রশাসন। এই ঘটনার চার বছর না পেরোতেই হাইকোর্টের আদেশে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরতে যাচ্ছে। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সায় এবং ছাত্রলীগের দাবির মধ্যে এক ছাত্রলীগ নেতার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
তবে বুয়েটে আবার ছাত্ররাজনীতি ফেরানো নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি শুরু হলে এখন বুয়েটের যে পরিবেশ আছে তা বিঘ্নিত হবে। আমার এক ছেলেকে হারিয়েছি, আরেক ছেলেকেও সেখানেই (বুয়েটে) ভর্তি করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না, বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু হোক। আমার স্ত্রীর দাবিও একই।’
বুয়েটে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ঈদের ছুটিতে কুষ্টিয়া শহরে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। গতকাল সোমবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়।
বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালুর তোড়জোড় চলছে, ওই ক্যাম্পাসের ছাত্র হিসেবে আপনি কী চান, এমন প্রশ্নের জবাবে আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘৫০ জন ছাত্ররাজনীতি চায় না, আর পাঁচজন চায়। অথচ এই পাঁচজনের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি চাচ্ছে, তারা কি আর কাউকে মারার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে? ভাববে না। ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেয়া মানে তাদের একধরনের ইনডেমনিটির ব্যবস্থা করে দেয়া, যাতে এর পর থেকে আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পায়।’
আবরার ফাহাদ ছিলেন ফাইয়াজের বড় ভাই। তাঁদের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। বাবা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিতরা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
আবরার হত্যার জেরে বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে নেয়ার অভিযোগে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হলে তাঁর সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল
ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা
বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা