চট্টগ্রামে সাগর পাহাড় ছায়াতলে উপচেপড়া ভিড়
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩ এএম
গ্রীষ্মের তীব্র দহনে হাঁসফাঁস জনজীবন। একটু প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটছে প্রকৃতির কাছাকাছি। পতেঙ্গা সৈকতে, পাহাড় টিলা, ডিসি পার্ক, সিআরবির ছায়া সুশীতল বৃক্ষতলে উপচেপড়া ভিড়। নানা শ্রেণী পেশা আর বয়সের মানুষ। প্রকৃতির সাথে মানুষের অন্যরকম মিতালি। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কাটেনি ছুটির আমেজ। মহানগরীর চির চেনা ব্যস্ততা নেই। অফিস আদালতে উপস্থিতি কম। এখনো পুরোদমে চালু হয়নি ইপিজেডসহ কলকারখানার উৎপাদন। শিল্পাঞ্চলে নেই শ্রমিকদের ভিড়।
মহানগরীর রাস্তা ঘাটে নেই যানবাহনের চাপ। অসহনীয় গরমে কাহিল নগরবাসী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তবে বিকেল হতেই মানুষ ছুটছে প্রকৃতির কাছে। নগরীর পতেঙ্গা সৈকতে সারা দিন পর্যটকদের ভিড়। বিকেলে আদিগন্ত বিস্তৃত সৈকতে নামছে মানুষের ভিড়। রাত অবধি মানুষ প্রকৃতির শীতল পরশ পেতে অপেক্ষা করছে সাগর তীরে। সারি সারি জাহাজ, উতাল পাতাল ঢেউ। সেই সাথে সাগরের বুক থেকে আসা হাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি বুলিয়ে দিচ্ছে। কেউ পানিতে গোসল করছে। কেউ আবার সাগরে পা ডুবিয়ে বসে। কেউ আবার বালুতে বসে নিচ্ছেন শীতল পরশ। পতেঙ্গা সৈকত ছাড়িয়ে মানুষের ভিড় সিটি আউটার রিং রোডে। একই দৃশ্য নেভাল সৈকতে। কাট্টলী সৈকত, রাসমণি ঘাট এবং বোট ক্লাবের আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের ভিড়। সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, আনোয়ারার পারকি বীচেও তীল ধারেন ঠাঁই নেই।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে, মাইক্রোবাসে মানুষ আসছে সৈকতে বেড়াতে। মহানগরীর পার্কগুলো এখন মানুষের পদভারে জমজমাট। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ফয়স লেক এখন ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়ে ঠাসা। লেকে নৌকা ভ্রমণে মাতোয়ারা সবাই। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে গোসলে অন্য রকম আনন্দে মেতেছে পর্যটকরা। নগরীর জাম্বুরি পার্ক, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স, শেখ রাসেল পার্ক, ডিসি পার্ক সর্বত্রই ভিড়। চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবির ছায়া সুশীতল এলাকায় সারা দিন মানুষের আনাগোনা। শতবর্ষী সব গাছের তলায় বসে চলছে গল্প আড্ডা। ডিসি হিল, বাটালি হিল, জিলাপির পাহাড়, নেভাল মিউজিয়াম, যুদ্ধ সমাধি, নেভাল টু, কর্ণফুলী সেতুর দুই প্রান্তে মানের ভিড় লেগেই আছে। পাহাড় ঘেরা বায়েজিদ লিং রোড, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মেরিন সড়কে ভিড় করে ছবি তোলা আর ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককে। জেলার মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন পার্ক, সৈকত, প্রাকৃতিক ঝর্ণা, লেক এখন পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত। ঈদে ঘুরে বেড়ানোর এ সময়ে পথে পথে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটন কেন্দ্র আসা যাওয়ার নেই পর্যাপ্ত যানবাহন। পরিবহন সঙ্কটে বেড়েছে ভোগান্তি। আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা ভাড়া। পর্যটন এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলা, যানজট। নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করা হয় হোটেল রেস্তোরাঁর। দাম নেওয়া হচ্ছে বেশি। এসব দেখার যেন কেউ নেই। #
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জোড়া গোলে মিউনিখে বায়ার্নকে রুখে দিলেন ভিনিসিয়ুস
মার্কিন পতাকা নামিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ল ফিলিস্তিনের ঝান্ডা!
ক্যাডবারি চকোলেটের ওপর মিলল ফাঙ্গাস
পেরুতে ৬৫০ ফুট গভীর খাদে পড়ল বাস, হতাহত ৪৫
সেমিকন্ডাক্টর রফতানিতে জাপানের কড়াকড়ি : চীনের উদ্বেগ
সিনচিয়াংয়ের মরুভূমিতে চলছে ধানচাষ
পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ভয়ংকর হাতিয়ার বানাল ইরান
রুকু থেকে উঠার সময় ‘সামিআললাহু লীমান হামিদাহ’ বলা প্রসঙ্গে।
যুক্তরাষ্ট্রে আসামি ধরতে গিয়ে গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
ইন্দোনেশিয়ায় ফের আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত
অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী
জার্মানিতে ৬ বছরের নিখোঁজ শিশুর সন্ধানে ১,২০০ জন
বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ ‘প্রত্যাখ্যান’ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ কি বৈধ?
পান্নুনকে খুন করতে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছিল ‘র’ অফিসার!
জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান প্রেসিডেন্টের
২০৩০ সাল নাগাদ চীনে বাণিজ্যিকভাবে আসবে ৬-জি
কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৯ সেনা নিহত
বহির্বিশ্বে মিলল প্রাণের সন্ধান!
মোদির ভারতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা মুসলিমদের