তীব্র গরমে ঝরছে আমের গুটি
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩ এএম
আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহী অঞ্চলে তীব্র তাপদাহে আমের উপর প্রচন্ড বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। গত মৌসুমের চেয়ে মুকুল এসেছে ত্রিশ ভাগ কম। তারপর হিট ইনজুরিতে আরো ত্রিশভাগ আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। ক’দিন আগেও আমের ডগায় বেশ গুটি দেখা গেলে এখন প্রায় শূন্য। যেটুকু আছে তা বাঁচাতে দিন রাত সেচ, কীটনাশক স্প্রে করে বাঁচানোর প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। মাঠ পর্যায়ে আমচাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের হতাশার কথা।
চলতি বছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরে ৯৩ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে আম বাগান আছে। এগুলোতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর এ অঞ্চলে আম উৎপাদন হয়েছিল ১২ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ টন। এবার উৎপাদনে ভাটা পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আম উৎপাদনকারী আরেক জেলা নওগাঁয় এবার বাগান রয়েছে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এখানে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর রাজশাহীর ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে এবার ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন। হিসাব মতে, ৮৫ শতাংশ গাছে আমের মুকুল এসেছে। এখন আমও আছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন আম ঝরে পড়ছে। তাপাদহ সব লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। সব গাছে এবার মুকুল এসেছিল অনেক দেরিতে। সে সময়ও চাষিরা হতাশ হয়ে গিয়েছিল। এখন আমও কম দেখা যাচ্ছে। যার অধিকাংশ ঝড়ে পড়ছে তীব্র দাবদাহে। আর এতে আবারও হতাশ হয়ে যাচ্ছেন আমচাষিরা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষক কর্মকর্তা উম্মে সালমা ইনকিলাবকে জানান, আমের যত মুকুল আসে, তত আম হলে গাছ তো ধরে রাখতেই পারবে না। অল্প যে মুকুল থাকে, তাতে আম এলেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। পোকার উপদ্রব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তো হপার পোকা ও অ্যানথ্রাকনোজ নামের একটা ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে আম রক্ষার জন্য তারা অনুমোদিত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতেই কাজ হওয়ার কথা। তা ছাড়া এখন খরা শুরু হয়েছে। চাষিরা সেচ দেবেন, মালচিং করবেন, বিকেলে বা সন্ধ্যায় গাছে পানি স্প্রে করবেন। এতেই কাজ হবে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক-কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এবার আম কম হবে। আমের অনেক মুকুল ও গুটি নষ্ট হয়ে গেছে। সেইসাথে টানা খরার পাশাপাশি এবার আমের পরাগায়নে সহায়ক সিনফিড মাছি যথেষ্ট পরিমাণ দেখা যায়নি। এছাড়াও গত মৌসুমে আমের ভালো ফলন হয়েছিল। এবার বেশির ভাগ গাছে নতুন পাতা এসেছে। তাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবার নয়, আগামী মৌসুমে আমের ভালো ফলন হতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে: ম্যাখোঁ
ভেঙেছে শতাধিক এলাকার রেকর্ড, তীব্র তাপদাহে ঝলসে যাচ্ছে ভিয়েতনাম
গুরুতর অসুস্থ নিক, বাতিল করলেন সব কনসার্ট
মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে ২ বাংলাদেশী আহত
আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পেলেন শাকিব খান!
যে কারণে রাজনীতিতে আসতে চান না সোনাক্ষী
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ : সালথায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার
রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় জেলেনস্কি
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি'র মুক্তির দাবীতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা
ইসরাইল হবে বাইডেনের ভিয়েতনাম: সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স
‘যুদ্ধবিরতি না হলে হামাস নেতৃত্বকে বহিস্কার’
গাজীপুরে বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে বিএনপির স্থানীয় নেতারা
পাকিস্তানেও সাড়া ফেলছে ‘হীরামান্ডি’, কী বললেন পরিচালক?
এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আজ বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
বিজেপি নেতার গোপন ভিডিও নিয়ে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ
স্টপেজের দাবিতে ফরিদপুরে ঢাকামুখী চন্দনা কমিউটার ট্রেনের গতিরোধ
রোদে পুড়তে পারে ঠোঁটও, তার যত্ন নেবেন কীভাবে?
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কিশোরকে গুলি করে হত্যা করল পুলিশ
অস্ত্রোপচারে কয়েদির পেট থেকে বের হলো মোবাইল!
কানাডায় তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি