মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের
দরবারে লাখ লাখ জাকরান-
আশেকান ও মুসল্লিয়ান বুক ফাটা
কানড়বা আর আহাজারী নিয়ে দোয়া
মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব জাকের
মঞ্জিলে মহাপবিত্র ফাতেহা শরিফ
সম্পনড়ব হয়েছে।
গত বুধবার ফজর নামাজ বাদ
ফাতেহা শরিফ ও খতম শরিফ
আদায়ন্তে পবিত্র কোরআন
তেলাওয়াত এবং মিলাদ শেষ বিশ্ব
জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু.ছে.আ.) ছাহেবের কবর জিয়ারতের নিয়তে পুনরায় ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার মাগরিব নামাজ থেকে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে মহাপবিত্র ফাতেহা শরিফের কার্যμম শুরু হয়।
ফাতেহা শরিফ উপলক্ষে সারা দেশ ছাড়াও বিশে^র বিভিনড়ব দেশ থেকে আগত লাখ লাখ জাকেরান ও আশেকানবৃন্দ বিশ^ জাকের মঞ্জিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর ইবাদত বন্দেগী শেষে বুধবার সকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে এক সামিয়ানার নিচে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের দরবারে হাত তোলেন। এসময় সবাই অতীতের গোনাহ থেকে পানাহ চেয়ে মহান আল্লাহ পাকের বিশেষ অনুগ্রহ কামনা করেন। দোয়া মোনাজাতে ইসরাইলি বর্বরতা থেকে ফিলস্তিনি মুসলিমদের রক্ষার জন্যও আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ কামনা করা হয়। পাশাপাশি সারা বিশে^র নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষায়ও আল্লাহ পাকের রহমত কামনা করেন সমবেত জাকেরান ও আশেকানবৃন্দ। দোয়া মোনাজাতে বুকফাঁটা আহাজারী ও কানড়বা নিয়ে সমবেত মুসল্লিয়ানসহ জাকেরান ও আশেকানবৃন্দ অব্যাহত তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টির জন্যও মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের রহমত কামনা করেন।
পীর ছাহেবের ফাতেহা শরিফ উপলক্ষে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও সনিড়বহিত প্রায় ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মঙ্গলবার আসর নামাজ থেকে লাখ লাখ জাকেরান-আশেকান ও মুসল্লিয়ানবৃন্দ ইবাদত বন্দেগীতে সময় ব্যয় করেন। এ উপলক্ষে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দও বিশ^ জাকের মঞ্জিলের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে সমবেত হন।
ফাতেহা শরিফে সমবেতদের বহনকারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পুকুরিয়া থেকে দশ কিলোমিটার রাস্তা ছাড়াও তালমা মোড় এবং ঢাকা-খুলনা মহাড়কের ভাঙ্গা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম মোড় থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। বুধবার বিকেল পর্যন্ত এসব সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা অব্যাহত ছিল।
বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু.ছ.আ.) ছাহেব আপন পীর হজরত মাওলানা শাহ সুফী সৈয়দ খাজা এনায়েতপুরী (কু.ছে.আ.) ছাহেবের নির্দেশে বাংলা ১৩৫৪ সালে ফরিদপুরের আটরশীতে এসে ইসলাম প্রচার শুরু করেছিলেন। তিনি এখানে ‘জাকের ক্যাম্প’ প্রতিষ্ঠা করে একটানা প্রায় ৫৫ বছর ইসলাম প্রচার করে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতের পরে ওফাত লাভ করেন। পীর ছাহেবের ওফাত দিবসে প্রতি বছরই বিশ^ জাকের মঞ্জিলে ফাতেহা শরিফে লাখ লাখ জাকেরান ও আশেকানসহ মুসল্লিয়ানগণ সমবেত হয়ে ইবাদত বন্দেগীতে অংশ নেন। পীর ছাহেবের প্রতিষ্ঠিত ‘জাকের ক্যাম্প’, ‘জাকের মঞ্জিল’ থেকে আজকের ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল’ হিসেবে সারা বিশ্বে ইসলামের আলোক বর্তিকা ছড়াচ্ছে।