পাবনার সুজানগরে দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চার পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব ও শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামানের কয়েকজন সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা একই স্থানে অবস্থান নেয়। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ দেখতে পায়। এ সময় দুই পক্ষকে থামাতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি ছোড়েন। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এতে স্থানীয় বাদশা প্রামানিক, মতিন শেখ ও আব্দুল আউয়াল গুলিবিদ্ধ হলে তাদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আউয়াল চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহাবের সমর্থক এবং বাদশা ও মতিন শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, আমার এক সমর্থক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশকেও মানছে না। অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃৃত্বে আব্দুল মজিদ নামে আমার এক সমর্থককে মারধর করা হয়। এটা নিয়েই উত্তেজনা।

পরে আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃৃত্বে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।