ভারতের দয়ায় আমরা ক্ষমতায় বসিনি -ওবায়দুল কাদের
১১ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
নৈরাজ্য করে বিএনপি নেতারা ‘একটা শিক্ষা’ পেয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আবার নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করলে এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়বো। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর(উত্তর-দক্ষিণ), ঢাকা জেলা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক যৌথসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি বিএনপি নেতারা জামিনে মুক্তি হওয়ায় আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ কী করবে এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা ছাড়া পাচ্ছেন। দেশের আদালত, বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে।
ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না বলে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু, পরীক্ষিত বন্ধু। কিন্তু ভারতের দয়ায় আমরা ক্ষমতায় বসি নি। অ্যামেরিকা নির্বাচনের সময় যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন ভারত একটা কথাও বলেনি, কোনও ভূমিকা রাখেনি। একেবারে নিরপেক্ষ ভূমিকা তখন ভারত পালন করেছে এবং আমাদের ভোটাররা ভোট দিয়েছে। ভারতে খুশি করার তো আমাদের দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরদেরই মানায়।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ চলছে। আমরা কয়েক বার বলেছি, দুষ্টু ছেলে ইজরায়েল এখন আমেরিকাকেও মানে না। এখন বাইডেন (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) নির্দেশ দেয়, তাঁর নির্দেশও মানে না। তিনি আরো বলেন, হিটলারের হলোকাস্টের মতো আজকে নেতানিয়াহু গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। বাইডেন বলে অস্ত্র বন্ধ করে দেব। অ্যামেরিকা সাহায্য না করলে ইসরালেলে কিছুই করার নেই। অ্যামোরিকা অস্ত্র না দিলেও এখন নেতানিয়াহু একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা জাতিসংঘেকেও পাত্তা দেয় না। এর মধ্যে দিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধংদেহী মনোভব দেখাচ্ছে। যা সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সারাবিশ্ব এ নিয়ে সোচ্চার। অ্যামেরিকা, ইউরোপে গাজার প্রতি সহমর্র্মিতা জানিয়ে কর্মসূচি করছে। এ অবস্থায় আমাদেরকেও আরো সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলছে না। ছাত্রলীগ বড় সমাবেশ করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।
১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ মে উদযাপনে যথাযথ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সকল সংগঠন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে অনুসরণে এবং সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নে একই কর্মসূচি পালিত হবে। কারণ শেখ হাসিনা না এলে দেশে গণতন্ত্র থাকতো না।
দলের প্রতিষ্ঠার হীরক জয়ন্তীর কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম হবে ২৩ জুন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, হীরক জয়ন্তী সারাদেশে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করবো।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন খুব ভাল বলতে পারছেন না জানিয়ে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি ক্যাজুয়ালিটি কিংবা প্রাণহানির একটি ঘটনাও নেই। এ রকম একটা নির্বাচন আমরা করেছি। তাহলে এ কৃতিত্বটা নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, সরকারকে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ রকম একটা নির্বাচন আমরা করেছি। আপনারা (বিএনপি) আসবেন না, অন্য দল আসবে না, সে রকম অবস্থায় যখন পরেছে এটা আমি খুব ভাল বলবো না, মোটামুটি সন্তাষজনক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বানকে দলে নেতা-কর্মীরাই প্রত্যাখান করে অনেকে নির্বাচন করেছে। এবং বিএনপির সিদ্ধান্তকে তাদের নেতা-কর্মীরাই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এখন উদ্ভট গাল গল্পে পরিণত হয়েছে। দলে কেউ কারো কথা শোনে না। কেউ কাউকে মানে না। আর আমাদের নেত্রী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে উন্নত করেছেন, শক্তিশালী করেছেন। এখন গ্রামগুলোকে বাংলাদেশে শহর মনে হয়।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কোন কিছুই আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে চৌকশ কথার ফুলঝুড়ি ছড়াবে, ভেতরে ভেতরে চরম হতাশা তাদের নেতাদের আচ্ছন্ন করেছে। তারা হাস্যকর কথা বলে, চেষ্টা করছে ঠান্ডা করার। কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না। যতদিন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে না আসবে, তত দিন তারা আরো জনবিচ্ছিন্ন হবে।
মূল্যস্থিতি নিয়ে দেশ সফল উল্লেখ করে ক্ষমতাশীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন প্রতিদিন হু হু করে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। তারা কখনো নিয়ন্ত্রণে আসতে পারেন নি। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্বক চেষ্টা করছি, সফলতা আসবেই, কারণ উদ্যোগটা আন্তরিক। শেখ হাসিনার উদ্যোগে সততা এবং আন্তরিকরা আছে। সে জন্য সফলতাও আশা করতে পারি।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাহফুজকে উপদেষ্টা থেকে বাদ দেওয়া উচিত? যা বললেন ড. জাহেদ
৬ বছরের মধ্যেই চীনের হাতে হাজার পরমাণু বোমা! উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
`বিগত সময়ে দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে পুলিশ, এ জন্য আমরা লজ্জিত'
ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ দিনেও খোঁজ মিলেনি নিখোঁজ সোহাগের
কসবায় পাহাড় কাটার অপরাধে ২ জনের অর্থদণ্ড
নরসিংদীতে মাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামকে বিদায় করে টিকে রইল খুলনা
পলাতক ১৯ বাংলাদেশি নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফ্রিজে রাখা বাসি ভাতে উপকার দ্বিগুণ!
আ.লীগ দেশটাকে গোরস্থানে পরিণত করেছিল : জামায়াত আমির
সেনবাগে মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ভাগ্নে নিহত : মামা আহত
কুষ্টিয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধুকে নির্যাতন
রাজশাহীর বাগমারায় পুকুর থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার
‘জনশক্তি’ নামে কোনও রাজনৈতিক দল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি
কুষ্টিয়ায় ট্রাক ও নছিমন সংঘর্ষে গরু ব্যবসায়ী নিহত
র্যাবকে সমাজে রাখা ঠিক হবেনা -রাজশাহীতে নূর খান
নওগাঁয় ৩ জনকে পিটিয়ে জখম, আহতদের উদ্ধার করলো পুলিশ
মাদারীপুরে গুড়ি বৃষ্টি আর হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির
দুমকীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ দাফনে বাঁধা
দুবাই মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীর অ্যাওয়ার্ড লাভ