কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে গিয়ে তার স্বামীর পিটুনিতে মারা গেছেন যুবলীগ নেতা। ওই গৃহবধূর দাবি, মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তার স্বামীর সঙ্গে যুবলীগ নেতার হাতাহাতি সৃষ্টি হয়। ঘরের ভেতর মারামারির এক পর্যায়ে ওই যুবলীগ নেতা মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামে। নিহত যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া একই গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সহ-সভাপতি। গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা তানভীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী সেলিম কে আটক করেছে পুলিশ।

আটক সেলিমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রাবেয়া বেগম দাবি করেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গনিপুর গ্রামের তানভীর তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার স্বামী সেলিম স্ত্রীকে রক্ষায় তানভীরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও মারামারিতে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে সেলিমের মার খেয়ে তানভীর অচেতন হয়ে ঘরেই মারা যায়।
এদিকে সন্তানের মৃত্যুর বিষয়ে নিহত তানভীরের মা নিলুফা বেগম জানান, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারী যা বলছেন তা মোটেও সত্য নয়। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয়দের কেউই মুখ খুলছেন না। এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। এ নিয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছে না।’ চান্দিনা থানার এসআই সুজন দত্ত বলেন, নিহত তানভীরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ে কাটা চিহ্ন আছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূ রাবেয়ার স্বামী সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে।