ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠু সিকদারের বিরুদ্ধে সরকারের কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন থেকে ১০ কেজি করে ৬ বস্তা আউশ বীজ ও ৫০ কেজি করে ৭ বস্তা সার এবং অপর একটি বাসা থেকে ৬ বস্তা ব্রি-ধান জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন অটোরিকশায় পরিষদের গোডাউন থেকে সার ও বীজ গোপনে বিক্রির জন্য স্থানান্তর করার সময় স্থানীয় লোকজন তা দেখে ফেলেন। এসময় তাঁরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন পরিষদে অভিযান চালান। তিনি পরিষদের গোডাউন থেকে সার ও বীজ জব্দ করেন। পরে স্থানীয় সাতানী বাজারের দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ৬ বস্তা ব্রি-ধান জব্দ করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান বিন ইসলাম জানান, খরিপ মৌসুমে উফসি আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। এ বছরের এপ্রিল মাসে উপজেলার ৩ হাজার ৭৫০ জন কৃষকের মাঝে কেজি আউশ বীজ, ড্যাপ সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়।

আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ইউনিয়নে বরাদ্দ ৬২৫ জন কৃষকের তালিকা অনুযায়ী ১০ জনের গ্রুপ অনুযায়ী অফিস থেকে সার ও বীজ বুঝে নেয় কৃষকরা। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সেই সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ না করে তার পরিষদের গুদামে এবং স্থানীয় সাতানী বাজারের দীপক হাওলাদারের বাসায় ৬ বস্তা ধান মজুত রাখেন।
কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কৃষি বিভাগ একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ঘটনায় কে বা করা জড়িত তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠু সিকদার বলেন, কৃষকদের দেওয়ার জন্য সার ও বীজ পরিষদের গোডাউনে রাখা ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা সময়মতো বিতরণ করা হয়নি। এগুলো কৃষকের প্রাপ্য, তাদের মাঝেই বিতরণ করা হবে।