ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯ আশ্বিন ১৪৩১
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চরম ভোগান্তির শঙ্কা

জেগে ঘুমান রেলের কর্তারা

Daily Inqilab রফিকুল ইসলাম সেলিম/ নজির হোসেন নজু/ এম এ জলিল সরকার

০৬ জুন ২০২৪, ১২:২৯ এএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ১২:২৯ এএম

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কয়েকদিন পর শুরু হবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে কর্মজীবী মানুষের গ্রামে ফেরা। খবরে প্রকাশ ইতোমধ্যেই ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা টু রংপুর, ঢাকা টু ময়মনসিংহ মহাড়কে যানজট শুরু হয়ে গেছে। সড়ক পথে বেশির ভাগ মানুষ গ্রামে গেলেও বিকল্প পথ ট্রেনেরও বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদের আগে ঘরে ফেরেন। দুই ঈদে সড়কে দুর্ভোগ স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। কিন্তু বিকল্প রেলপথে যাতায়াতের যে আগাম প্রস্তুতির নেয়ার কথা কার্যত সেটা চোখে পড়ছে না। বরং রেলওয়ের দায়িত্বশীলরা যেন খেয়ালখুশি মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমনিতেই দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক দুর্বল। তারপর রেলওয়ের যেসব কোচ নষ্ট হয় বা মেরামতের প্রয়োজন হয় সেগুলো মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়। ফরে রেলে সব সময় কোচের সংখ্যা কম থাকে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ মেরামতো কারখানা রয়েছে নিলফামারির সৈয়দপুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে। এসব কারখানা আন্তর্জাতিক মানের এবং এগুলোতে রেলের কোচের পাশাপাশি ইঞ্জিন পর্যন্ত তৈরি করা যায়। অথচ সেগুলো সঠিক ব্যবহার না করে ফেলে রেখে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইঞ্জিন আমদানি করা হচ্ছে। রেলওয়ের সুত্রের তথ্য অনুযায়ী অসময়ে বর্তমানে সৈয়দপুর কারখানায় ৬১ কোচ মেরামতের জন্য রাখা হয়েছে। ঈদের আগে সেখান থেকে মাত্র ৩টি কোট রেলে সংযোজন করা সম্ভব হবে। পার্বতীপুরের কারখানা কার্যত বহুদিন থেকে অকেজো করে রাখা হয়েছে। আর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কারখানায় ৭৩টি কোচের মেরামতের কাজ চলছে। কর্মকর্তাদের দাবি ঈদের আগে তারা ৭০টি বগি লাইনে সংযোজন করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের কথা চিন্তু করে আগেই বগিগুলো মেরামত করা যেত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। রেলওয়েকে আরো গতিশীল করতে যেখানে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ ও কারখানাগুলো আরো অত্যাধুনিক করা প্রয়োজন; তখন যারাই দায়িত্ব পাচ্ছেন তারা পুরনো পদ্ধতিতে রেল প্রশাসন চালানোয় চেষ্টা করছেন। রেলওয়েকে নিয়ে নতুন মিশন ও ভিশন না থাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের এই করুণ পরিণতিতে পড়তে হচ্ছে। ভুক্তোভোগীদের আশঙ্কা রেলওয়ের দায়িত্বশীলদের গাফিলতির কারণে এবার ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে আরো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হবে। রেলের কোচগুলো সময়মতো সংস্কার করা হলে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ এড়ানো যেত।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী ইনকিলাবকে বলেন, রেলওয়ে কারখানায় সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়া কোচ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে। কোচগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রডগেজ ও মিটার গেজ লাইনের। ওই কোচগুলোর সুপার স্ট্রাকচার খুলে উপরি অংশ নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। সেখানে দক্ষ শ্রমিকরা কাজে করছেন। তবে যতগুলো কোচ মেরামত হবে সেগুলো দিয়ে ঈদের সময় ট্রেন চলাচলে কাজে আসবে।
পাহাড়তলীর চিত্র: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অতিরিক্ত যাত্রী চাপ মোকাবেলায় বিশেষ ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত ট্রেনে সংযোজন করা হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ বা বগি। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কারখানায় ৯৩টি বগি মেরামত করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৭০টি বগির মেরামত কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান কারখানার কর্মকর্তারা। দুয়েক দিনের মধ্যে বাকি ২৩টি বগিও মেরামত শেষে হস্তান্তর করা হবে। চট্টগ্রামের কারখানায় লোকোমেটিভ মেরামতও চলছে পুরোদমে।
তবে এত আয়োজনের মধ্যেও যাত্রী চাপ সামাল দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকে গেছে। কারণ প্রতিবছর ঈদে বিশেষ করে ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ মোকাবেলা করতে হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় বগি এবং লোকোমেটিভের সংখ্যা কম হওয়ায় যাত্রী চাপ মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হয়। ঘরমুখো মানুষদেরও হতে হয় দুর্ভোগের মুখোমুখি। জানা গেছে, বগি থাকলেও লোকোমেটিভ বা ইঞ্জিনের অভাবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। আর এ কারণে লাভজনক হওয়ার পরও কক্সবাজার লাইনে স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও যাত্রীদের চাপের মুখে সেটি আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এদিকে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি ঈদের মত এবারো পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে একাধিক বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে। ঈদ উপলক্ষ্যে এবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চার জোড়া স্পেশাল ট্রেনসহ দেশের বিভিন্ন রুটের ২০টি বিশেষ ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটে নিয়মিত আন্তঃনগরসহ প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৭১৫ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। আর স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রামে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু করা হয়। ১৭ জুন ঈদের দিন ধরে গত ২ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। এবারো শতভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্বাঞ্চলে আলাদা সময়ে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দিন বিক্রি করা হয় ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ৩ জুন দেয়া হয় ১৩ জুনের টিকিট, ৪ জুন ১৪ জুনের টিকিট বিক্রি হয়। গতকাল দেয়া হয় ১৫ জুনের টিকিট এবং আজ ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
সৈয়দপুরের চিত্র : দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়া ১০০টি কোচ মেরামত কাজ চলছে। রাজস্ব খাতের বাইরে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ওই কোচগুলোর ভারী মেরামত বা পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এর মধ্যে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মাত্র ৩ টি কোচ মেরামত করে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কোচগুলো ঈদের আগে আদৌ মেরামত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কারখানার একটি সূত্র জানায়, ১০০টি সম্পূর্ণ ড্যামেজ কোচ মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়েছে কয়েক মাস আগে। এসবের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ওই কোচগুলো প্রকল্পের আওতায় এনে সম্পূর্ণ সচল করার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কোচগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের ৫০টি ও মিটার গেজ (ছোট) লাইনের ৫০টি। ওই কোচগুলোর সুপার স্ট্রাকচার খুলে উপরি অংশ নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে।
সূত্রটি জানায়, সৈয়দপুর রেল কারখানায় রাজস্ব খাতের আওতায় প্রতিদিন দু’টি করে কোচ মেরামত হয়ে থাকে। এর অতিরিক্ত হিসেবে প্রকল্পের আওতায় কারখানার ক্যারেজ শপে ওই ১০০টি কোচ সম্পূর্ণ পুনর্বাসন হচ্ছে। কারখানা থেকে অবসর নেওয়া দক্ষ শ্রমিকরা স্বাভাবিক কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এজন্য তারা পাবেন বাড়তি মজুরি। একজন প্রকল্প পরিচালকের তদারকিতে চলতি বছরের শুরু থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত ২৫ মে সৈয়দপুর রেল কারখানা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেল মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। এ সময় তিনি কোচগুলোর মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রেডইউনিয়ন নেতা কলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নুতন কোচ নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্ত লোকবল সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেছে কারখানাটি। সেই সাথে রয়েছে কাঁচামাল যোগানের অভাব। তবে এদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই উর্ধতন মহলের। নীতিনির্ধারকদের আগ্রহ নতুন কোচ আমদানিতে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের বিষয়টি প্রধান্য পায়।
দীর্ঘদিন ধরে জনবল-সঙ্কটে ধুঁকছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। চার ভাগের এক ভাগ কর্মচারী দিয়ে চলছে দেশের বৃহত্তম এ রেলওয়ে কারখানার কার্যক্রম। বিকল্প অস্থায়ী নিয়োগ পদ্ধতিতে টিএলআর (কাজ নেই, মজুরি নেই) শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হলেও তা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় রয়েছে কাঁচামালের তীব্র সঙ্কট। এসব কারণে কারখানাটিতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কারখানাটিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর পদ ২ হাজার ৮৫৯টি। এর মধ্যে মাত্র ৭১৬ জন কর্মরত। অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৩ পদ শূন্য রয়েছে। এই জনবল-সঙ্কটের কারণে কারখানায় ক্যারেজ মেরামতের প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হচ্ছে দুটি কোচ। ২৯টি শপে ৭৪০টি যন্ত্র পরিচালনায় নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক। এদিকে কারখানাটিতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দও নেই। বরাদ্দ না থাকায় চাহিদা ও সময়মতো কাঁচামালের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।
কারখানায় রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সম্পাদক শেখ রোবায়তুর রহমান বলেন, অমিত সম্ভাবনা রয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার। আমাদের সক্ষমতা আছে, আমরা চাইলে নতুন কোচ তৈরি করতে পারি। তবে এজন্য প্রয়োজন কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আমরা কোচ বানালে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মব্যবস্থাপক কাজী হাসানুজ্জামান বলেন, নতুন অর্থবছরে আমরা সবগুলো কোচ পুনর্বাসন করে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করতে পারবো। কোচগুলোর হবে অত্যন্ত উন্নতমানের। এরই মধ্যে আমরা তিনটি কোচ পুনর্বাসন করেছি। ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে আরও কিছ কোচ মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত নিশ্চিত হলে সেগুলো ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পার্বতীপুরের চিত্র : পার্বতীপুরে অবস্থিত রেল ইঞ্জিন মেরামতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা। রেলের লোকোমোটিভের জেনারেল ওভারহোলিং (জিওএইচ) ও বিশেষ মেরামোতের জন্য দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান এই কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)। ভয়াবহ জনবল সঙ্কটে এর উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সূত্রমতে কারখানার মোট জনবল ৭১০ জনের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২৬৫ জন। অর্থাৎ জনবল ঘাটতি ৭০ শতাংশ। কারখানার মূল যান্ত্রিক বিভাগে ৫৪৫ মঞ্জুরীর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২০৪ জন। ফিটার গ্রেডে ৬০ জনের স্থলে ২৫ জন, এস এস ফিটার ৬২ জনের স্থলে ১ জন, এসএস ইলেকট্রিশিয়ান ৩০ জনের স্থলে ২ জন, এস এস মেশিনিস্ট ১৪ জনের স্থলে ১ জন, এমএম ড্রাইভার ৮ জনের স্থলে ১ জন, এসএস পেইন্টার ও কামারশালার সব কর্মিই শূন্য। বিগত ৫ বছরে মোট ১৫০ জন দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারি অবসর নিয়েছেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মধ্যে আরও বেশকিছু দক্ষ কর্মকর্তা- কর্মচারি অবসরে যাবেন - তখন আরও ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিবে। রেলপথে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে এই কারখানা এমনই গুরুত্বপূর্ন যে, রেলপথে পথিমধ্যে ট্রেন দুর্ঘটনা অথবা যান্ত্রিক ত্রুটিতে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) বিকল হয়ে পড়লে এই কারখানায় এনেই মেরামত করে তবেই সচল করা হয় ; এই কজের জন্য এই কারখানা ছাড়া দ্বিতীয় কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তাই রেল যোগাযোগ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে এই কারখানা সচল রাখার বিকল্প নেই এমন কথা বলেছেন রেলের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ।
কারখানার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানার উৎপাদন সচল রাখতে শূন্যপদে নিয়োগ অতি জরুরি। তাহলে এই কারখানার উৎপাদন বেশি দিন ধরে রাখা সম্ভব হবেনা।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানির মামলা খারিজ

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানির মামলা খারিজ

ফরিদপুরে স্টার টেইলার্সের মালিক আব্দুল করিম কে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরে স্টার টেইলার্সের মালিক আব্দুল করিম কে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আগামী বছর অন্তত ৫টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে ইরান

আগামী বছর অন্তত ৫টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে ইরান

অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক তিন

অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক তিন

ফুলপুরে ১৬৬ বস্তা ভারতীয় জিরা ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ২

ফুলপুরে ১৬৬ বস্তা ভারতীয় জিরা ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ২

বদলে গেল আইপিডিসি ফাইন্যান্সের নাম

বদলে গেল আইপিডিসি ফাইন্যান্সের নাম

বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে রয়েছে: আইএমএফ

বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে রয়েছে: আইএমএফ

ফরিদপুরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

ফরিদপুরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

শাহজাদপুরে আগাম মেয়র প্রার্থীতা ঘোষনা করলেন বিএনপি'র সাবেক নেতা শামীম।

শাহজাদপুরে আগাম মেয়র প্রার্থীতা ঘোষনা করলেন বিএনপি'র সাবেক নেতা শামীম।

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কা দলে পেইরিস

দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কা দলে পেইরিস

ইফার ডিজি হিসেবে যোগদান করলেন সাইফুল ইসলাম

ইফার ডিজি হিসেবে যোগদান করলেন সাইফুল ইসলাম

খুলনায় ৯৯১ মন্ডপে আনন্দপূর্ণ হবে দুর্গোৎসব-খুলনার জেলা প্রশাসক

খুলনায় ৯৯১ মন্ডপে আনন্দপূর্ণ হবে দুর্গোৎসব-খুলনার জেলা প্রশাসক

সোনারগাঁওয়ে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার

সোনারগাঁওয়ে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার

মেয়াদপূর্তির দিনই মিলবে আসলসহ মুনাফার টাকা  গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে সঞ্চয়পত্রে নতুন নির্দেশনা

মেয়াদপূর্তির দিনই মিলবে আসলসহ মুনাফার টাকা গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে সঞ্চয়পত্রে নতুন নির্দেশনা

পুলিশ স্টেশনে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন, ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে

পুলিশ স্টেশনে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন, ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে

শেয়ার কারসাজির কারণে সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

শেয়ার কারসাজির কারণে সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না -গণসমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না -গণসমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

নেইমারের সমর্থন পেল সউদী আরব

নেইমারের সমর্থন পেল সউদী আরব

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি