ভারতের সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
২৩ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেিেছন, বন্ধুত্বের পথে আমাদের (বাংলাদেশ ও ভারত) নবযাত্রা শুরু হয়েছে। দু’দেশেই নতুন সরকার যাত্রা শুরু করেছে। ভারত একটি বিশাল দেশ, বিরাট অর্থনীতির দেশ এবং ভারতের সহায়তা পাওয়াটা আমাদের (বাংলাদেশ) জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য আমরা অনেক উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছি। গতকাল শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর যৌথ এক সংবাদ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের কারণে শুধু সম্পর্ক দৃঢ় হয়নি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রেখেছে। ভারত আমাদের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু ও আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম নেওয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত মূল্য দেয়। আমরা দেশের উন্নতির জন্য একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছি। যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর আমরা বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ ভারতীয় রুপিতে লেনদেন শুরু করেছে।
এর আগে সকালে দিল্লিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দলিলগুলো বিনিময় করা হয়। সাধারণত এ ধরনের অনুষ্ঠানের আগেই চুক্তিগুলো সই হয় এবং অনুষ্ঠানে সেটি বিনিময় হয়।
দুপক্ষের মধ্যে চুক্তিগুলো হচ্ছে ‘বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ’ এবং ‘বাংলাদেশ-ভারত গ্রিন পার্টনারশিপ’। আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে ‘মেরিটাইম কোঅপারেশন’, ‘মহাকাশ সহযোগিতা’, ‘রেলওয়ে কানেক্টিভিটি’, ‘ওশেনোগ্রাফি সহযোগিতা’ এবং ‘মিলিটারি শিক্ষা সহযোগিতা’। এছাড়াও তিনটি সমঝোতা স্মারক পুনর্নবায়ন করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ‘স্বাস্থ্য ও ওষুধ সহযোগিতা’, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘মৎস্য খাতে সহযোগিতা’।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সাতটি নতুন সমঝোতা স্মারকের মধ্যে, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্র অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ভারত মহাসাগরে সমুদ্রবিজ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ গবেষণার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) এবং ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ডিজিটাল পার্টনারশিপের দুটি পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি ও একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের অভিন্ন ভিশন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে রেল সংযোগের একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে। একটি যৌথ ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারতের জাতীয় মহাকাশ প্রচার ও অনুমোদন কেন্দ্র (ইন-স্পেস) ও মহাকাশ বিভাগ, ভারত প্রজাতন্ত্রের সরকার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (ডিএসসিসি), ওয়েলিংটন ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) মিরপুরের মধ্যে কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজ’র ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়।
তিনটি নবায়নকৃত সমঝোতা স্মারক হলো— মৎস্য সহযোগিতা স্মারক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
শেখ হাসিনা যা বলেছেন : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় এবং উন্নয়ন ও বন্ধুত্বের পথে দুই দেশের নতুন সরকারের নবযাত্রা শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতে নতুন সরকার, আমাদেরও বলতে গেলে নতুন সরকার। আমরা পাঁচ মাস আগে যাত্রা শুরু করেছি। উন্নয়ন এবং বন্ধুত্বের পথে আমাদের নবযাত্রা শুরু হয়েছে এটাই আমি বলতে চাই। বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের কারণে শুধু সম্পর্ক দৃঢ় হয়নি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত একটি বিশাল দেশ, বিরাট অর্থনীতির দেশ এবং তাদের সহায়তা পাওয়াটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য আমরা অনেক উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছি। আমি মনে করি, সারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই উপমহাদেশে আমরা একটি পরিপূর্ণ চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তৈরি করতে পেরেছি এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে হৃদ্যতা ও বন্ধুত্ব এভাবেই গড়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় যার মধ্যে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনায় এসেছে। উভয় দেশই একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আমাদের পথ দেখানোর জন্য ‘রূপকল্প ঘোষণা’ অনুমোদন করেছে। আমরা টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দু’টি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করতে দু’পক্ষই সম্মত হয়েছি।
ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সৃষ্ট সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দুপক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দুদেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।
যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথ-চলা শুরু করেছে, সে প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, দু’দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান আমাদের স্বাধীনতার এবং দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফর করেছিলাম এবং পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আমন্ত্রিত ‘অতিথি দেশ’ বাংলাদেশের নেতা হিসেবে নয়াদিল্লিতে ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেই।
শেখ হাসিনা গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরো কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে নয়াদিল্লি সফরের কথা তুলে ধরে বলেন, আমি এই এক ‘জুন’ মাসেই অভূতপূর্ব দ্বিতীয়বারের মতো নয়াদিল্লি সফর করছি। এসবই আমাদের এই দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই আলোচনাগুলো আমাদের একে অপরকে সহযোগিতার উন্নততর পথ নিরূপণে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেবে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত সরকার ও জনগণের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সেসব বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য : বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি শিগগিরই রংপুরে সহকারী হাই কমিশন খোলার কথা বলেছেন তিনি। দিল্লিতে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা চালু করবে ভারত। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের সুবিধার্থে রংপুরে নতুন সহকারী হাই কমিশন খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে দুই নেতার মধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে জানিয়ে মোদী বলেন, শেখ হাসিনার এই সফরটির বিশেষত্ব হল- এনডিএ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ভারতের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি। গত এক বছরে আমরা ১০ বার বৈঠক করেছি, কিন্তু আজকের বৈঠকটি বিশেষ; কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের তৃতীয় মেয়াদের সরকারের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি। আমাদের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর আমরা বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ ভারতীয় রুপিতে লেনদেন শুরু করেছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে। দুই দেশ পদ্মা চুক্তি নবায়নে কারিগরি পর্যায়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের তিস্তা নদীর সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনের জন্যও (ভারতের) একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
আগরতলা দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ষষ্ঠ রেলপথ চালু হয়েছে জানিয়ে মোদী বলেন, খুলনা-মোংলা বন্দর দিয়ে আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কার্গো সার্ভিস শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ভারতীয় রুপির বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা (পদ্মা) নদীর উপর দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত মৈত্রী পাইপলাইন সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি আঞ্চলিক সহযোগিতার উদাহরণ হয়ে থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য: এদিকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতেও আলোচনা হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও যোগাযোগ,অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। ভারতের হায়দরাবাদ হাউসের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তারা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও যোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এসব সমঝোতা স্মারকের মধ্যে সাতটি নতুন ও তিনটি নবায়ন করা হয়েছে।
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দুই দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৬টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি রাত ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ডেনমার্ক সরকারের আইএফইউ কর্তৃক একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালসে ১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ
রাশিয়ার জনগণকে ভালোবাসেন ট্রাম্প!
বিমানবন্দরে রাতভর তল্লাশিতে মেলেনি কিছুই : শাহজালালে ফের বোমা হামলার হুমকি বার্তা
বিপুল কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো
ইএফডি মেশিনের আগে সব ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের আওতায় আনুন
বিএনপিতে চাঁদাবাজ অত্যাচারী ও দখলবাজের কোনো জায়গা নেই : আমান উল্লাহ আমান
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা শীর্ষক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুইট গ্রেফতার
সোনারগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন
রূপগঞ্জে শীতার্তদের ঘরে ঘরে কম্বল পৌঁছে দিলেন এসিল্যান্ড
চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ধামরাইয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঝুলছে তালা
মাদক চাঁই রুবেল দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার
দুর্নীতির মামলায় খুলনার সাবেক এমপি মিজানুর রহমান কারাগারে
সাধন চন্দ্র মজুমদারের আয়কর নথি জব্দ
জুলাই বিপ্লবে প্রত্যেকটি খুনের বিচার হতে হবে
এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৫ম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট ট্যাম্পা বে-২০২৫
নারায়ণগঞ্জে কিউলেক্স মশার উপদ্রবে নাজেহাল নগরবাসী
স্বতন্ত্র বিধিমালা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান
নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন : নবীন পুলিশদের আইজিপি