শিক্ষার্থীরা রাজপথে ছাত্রলীগ মধুতে
০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
‘অথচ আমার ভালোবাসার প্রিয় সংগঠনটির সুযোগ ছিলো সারা বাংলার ছাত্রসমাজের মণিকোঠায় জায়গা করে নেওয়ার..! কিন্তু আফসোস!’ চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধাদানের বিষয়ে আক্ষেপ করে কথাগুলো লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। তিনি শাখা ছাত্রলীগের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মো. ওয়ালীউল্লাহ।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে এক গৌরবান্বিত ইতিহাস। তবে তা ছিল আলোচনা সমালোচনা সাপেক্ষে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্তই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংগঠনটির নেতাদের মাঝে সৃষ্টি হয় ক্ষমতালিপ্সা। ফলে ধীরে ধীরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা হারায় সংগঠনটি। সাম্প্রতিক সময়ে শতাধিক বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা হারাতে বসেছে ঐতিহাসিক এ ছাত্র সংগঠনটি।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে সাড়া দিয়ে একই বছর কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে নির্বাহী বিভাগ। ৬ বছর পর ২০২৪ সালে এসে গত ৫জুন নির্বাহী বিভাগের সেই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের রায় দেয় উচ্চ আদালত। ফলে শিক্ষার্থীরা ফের ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিট আবেদন করেছে রাষ্ট্র পক্ষ। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের রায় বহাল রাখায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরো তীব্র হচ্ছে।
আপাতদৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন সরকারের পক্ষেই বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন হয়েও কেন শিক্ষার্থীদের পাশে নেয় ছাত্রলীগ সেই প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। শিক্ষার্থীদের গত কয়েকদিনের আন্দোলনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের অপেক্ষাকৃত অপরিচিত নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও মাঠে নেয় পরিচিতরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পূর্বঘোষিত সময়েই ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে কর্মসূচি রাখছে সংগঠনটি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকালীন সময়ে নিয়মিত মধুতে বসছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতাকর্মীরা। এখন পর্যন্ত আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একটি বিবৃতি কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসও দিতে দেখা যায়নি সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের।
শুধু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকাই নয় বরং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধাদানের অভিযোগও রয়েছে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধাদান করেন হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা। মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের মূল ফটক বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখেন ছাত্রলীগ। সেখানে কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডায়ও জড়ান তারা। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেনকে বলতে শোনা যায়, তাদের (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের) বলে দিয়েন- ছাত্রলীগের চেয়ে ভায়োলেন্সকারী আর কেউ নেই।
গুটিকয়েক ছাত্রলীগ নেতার এমন উদ্ধতপূর্ণ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিজ সংগঠনেরই অনেক শিক্ষার্থী। ফলে দৃশ্যত কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুইভাগে বিভক্ত ছাত্রলীগ। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি উপ সম্পাদক তানভীর হাসান শান্ত ফেসবুকে লিখেন, কিছু কিছু পাতি নেতা আছে শুধু চেটে যায়। এরা জানে না কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায়। কোনটা ন্যায্য দাবি আর কোনটা অন্যায্য দাবি। চাটতে চাটতে আর দালালি করতে করতেই এইগুলার জীবন শেষ। অথচ রাজনীতি করতে হয় বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে। রাজনীতি করা একটা ছেলের কথা হবে তথ্যভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর, যাকে অনেকেই ফলো করবে। শান্তর মতো নিজ সংগঠনের তীব্র সমালোচনা করে এমন স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে ঢাবির আরো অনেক শিক্ষার্থীকে।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার একটি গোপন প্রতিবেদনের সূত্র ধরে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে নেয় ছাত্রলীগ। আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে ইসলামি ছাত্র শিবির, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি ও বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সরকারবিরোধী সংগঠনগুলো এ আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা নিতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। শিক্ষার্থীদের এ আনদোলনকে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে ছাত্রলীগকে শক্ত অবস্থানে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়।
তথ্যমতে ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের অসংখ্য রক্তাক্ত ছবি এখনো ইন্টারনেটে ঘুরছে। সংবাদমাধ্যমেও সেসময়কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতিবাচক কর্মকান্ডের অসংখ্য সংবাদ পাওয়া যায়। ২০২৮ সালের ১ জুলাই দৈনিক প্রথম আলো তাদের প্রধান শিরোনাম করেছিল খুঁজে খুঁজে মারল ছাত্রলীগ। সেসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় নানান গুজব ছড়িয়েছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দীকি নাজমুল আলম বলেছিল, বিএনপির ১২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ এই কোটাবিরোধী আন্দোলন।
১৮ এর আন্দোলনের মতো বর্তমান আন্দোলনকেও বানচাল করার চেষ্টায় ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী গুজব ছড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন আন্দোলনকারী ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম ছাত্রলীগের নেতারা হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের হতে দিচ্ছে না এই বলে যে, এই আন্দোলনে একটি মহল ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে আমাদের আন্দোলনকে স্তিমিত করতে চায় ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের বাধাদানের বিষয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জেনেছি বৃহস্পতিবার সূর্যসেন হলসহ বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আসতে বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ। এবং বিভিন্ন হলে তারা গেইটে তালা দিয়েছে। আমাদের সমন্বয়কদের একজন সারজিস আলমকে রাতে হল থেকে বের করে দিতে চেয়েছে। পরে হল প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাকে হলে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
আন্দোলনের আরেক সংগঠক ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে আন্দোলনে না আসার জন্য। বিভিন্ন হলে বৃহস্পতিবার রাতেও তালা লাগিয়েছে। মেসেঞ্জার গ্রুপে নির্দেশনা দিচ্ছে কেউ যেন কোটা নিয়ে কোনো কথা না বলে। আমাকেও বিভিন্নভাবে বুঝানো হচ্ছে যাতে হলে না যাই। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন করতে গিয়ে পূর্বেও আমি এমন হুমকিধামকির সম্মুখীন হয়েছিলাম।
তবে এসব গুজব ও মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধাদানের বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। একটি মহল যারা সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে তারাই এই গুজব ছড়িয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথে শক্ত অবস্থানে ছিল সৈকত। সেসময় আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের আক্রোশের শিকারও হয়েছেন বর্তমানের এই ছাত্রলীগ নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গণরুমে গেস্টরুম নির্যাতন নিয়েও বেশ সরব ছিল সৈকত। শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে গণরুমে অবস্থান করতেও দেখা গেছে তাকে। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের নিকট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন সৈকত। ফলে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ভোটে ডাকসুর সদস্য নির্বাচিত হয়। তবে গত ২০২২ সালে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে মুখোশ পাল্টে ফেলেন সৈকত। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর মতো সাদামাটা সেই জীবন আর নেই। চলেন গাড়িতে, পাশে রাখেন অনেক নেতাকর্মী। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ঘোষণার পর থেকে ঢাবিতে যত ধরনের সহিংসতা হয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি ঘটনায় নাম এসেছে সৈকতের।
একসময়ের জনপ্রিয় এ ছাত্রলীগ নেতাকে এখন পাশে পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি বলেন, আন্দোলনে না গেলেও কোটা সংস্কার চায় বলে মন্তব্য করেন সৈকত। তিনি বলেন, আমি আন্দোলনে যাচ্ছি না মানে এই নয় যে আমি এইটা চাচ্ছি না। আমি একটা সাংগঠনিক দায়িত্বে আছি, আমার নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় এবং সুযোগ থাকলে আমারও অনেক সামাজিক কাজ করার সুযোগ হতো।
২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শক্ত অবস্থায় থাকা এই ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, সেসময়কার আন্দোলন এ এই সময়ের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এক নয়। সেসময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে এবং সরকার তা মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কোটা বাতিল করেছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২০১৮ সালের সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। সেই রায়ের পর কিন্তু সরকারই আবার আপিল বিভাগে রিট করে। অর্থাৎ সরকারই চাচ্ছে এই কোটা বাতিল হোক এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল থাকুক। সুতরাং যখন সরকারই একটা বিষয় চাচ্ছে সেখানে একই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এ আনদোলনের অতটা প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।
মাঠের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা না গেলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন মহলে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে ছাত্রলীগ কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। তিনি বলেন, আমরা সরকারের সমস্ত মহলে শিক্ষার্থীদের যে চাওয়া সেগুলো তুলে ধরেছি।
শয়ন বলেন, শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে সেটা তো সরকারের পক্ষেই আন্দোলন করছে। এখানে ছাত্রলীগ মনে করে সরকার আদালতের প্রক্রিয়া অনুযায়ী আবেদন করবে এবং তারপর আদালত যে রায় দেয় সে রায়ের প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ মন্তব্য করবে। আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে কোনো বিবৃতি এখন পর্যন্ত প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বাধাদানের বিষয়টি অস্বীকার করে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি যেখানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে। কয়েকটি হলে বিচ্ছিন্নভাবে যা ঘটেছে সেসব ছিল ভুল বোঝাবুঝি। সূর্যসেন হলে তালা লাগানোর বিষয়টিও একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। কাউকে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক ভবনের সামনে পেনসন প্রত্যয় স্কিম নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছিল। পাশাপাশি কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের একটা মিছিল হলের সামনে আসলে একটা আতঙ্ক বিরাজ করে এবং দারোয়ানরা ভয়ে গেইটে তালা দেয়। ছাত্রলীগের অবস্থান সর্ম্পকে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে ফোনে পাওয়া যায়নি।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুজিবনগরে তারুণ্যের উৎসব উৎযাপনে আন্ত: ইউনিয়ন ফুটবল টূর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত
ফ্যাসিস্ট হাসিনা হটানোর আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা : হযরত আলী মিঞা
থানার ওসিদের অলিগলিতে পদচারণা থাকতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
পাত্র বিদেশে থাকাবস্থায় দেশে তার জন্য পাত্রী ঠিক করে রাখা প্রসঙ্গে।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পাম্প হাউজে পানি সেচ উদ্বোধনের ১০ মিনিটেই বন্ধ
রামগড়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আন্ত ইউনিট কাবাডি প্রতিযোগিতার ফাইনাল
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল হতে পারে না: ড. মোশাররফ
টিকটক ও ক্যাপকাটকে টক্কর দিতে মোক্ষম চাল মেটার!
৩৩ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধের ঘোষণা
ফেরার সময় তিন ইসরাইলি বন্দীকে কী উপহার দিল হামাস?
মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে : আমিনুল হক
পিঠার নাম হৃদয়হরণ, মুখচাহনি
শেরপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে যুবদলের কম্বল বিতরণ
গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে চুরি হচ্ছে বাণিজ্যিক মিটার