রাজধানীতে জমে উঠেছে বৃক্ষমেলা
০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ইট পাথরের রুক্ষ রাজধানীতে চলছে জাতীয় বৃক্ষমেলা। আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) সংলগ্ন সাবেক বাণিজ্য মেলার মাঠে গত ৫ জুন বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলা চলবে আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় ঢুকতে কোন প্রবেশ ফি লাগে না। রয়েছে বিনামূল্যে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা।
বিশাল মাঠের এই বৃক্ষমেলায় প্রবেশ করলেই সবুজের হাতছানিতে দু’চোখ জুড়িয়ে যায়। এলাকাজুড়ে লাখো গাছে ঝুলছে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, বেল, লটকন, খুরমা খেজুর, মাল্টা, সুইট লেমনসহ শত শত প্রজাতির ফল। আছে বনজ, ঔষধি, সৌন্দর্যবর্ধকসহ হাজারও প্রজাতির দেশি-বিদেশি গাছ। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে রয়েছে ১২ লাখ টাকা দামের গাছও।
শুরুর দিকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও এখন শেষের দিকে বেশ জমে উঠেছে মেলা। হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বৃক্ষপ্রেমিরা। অফিস থেকে ফেরার পথে অনেকেই ঢুঁ মারছেন এ মেলায়। হারিয়ে যাচ্ছেন সবুজের ভিড়ে। হাতে করে বা গাড়ির ব্যাকডালায় ভরে গাছ নিয়ে ফিরছেন বেলকনি বা ছাদের জন্য। ১২০টি স্টলের মাধ্যমে সরকারি-সেরকারি ৮০টি প্রতিষ্ঠান ও নার্সারি এবারের বৃক্ষ মেলায় দেশি-বিদেশি ২ শতাধিক প্রজাতির ফলজ, বনজ ও শোভাবর্ধক গাছের পসরা সাজিয়ে বসেছে। তবে, বেশি বিক্রি হচ্ছে ছাদ-বাগান ও ঘর সাজানোর গাছ। গাছের পাশাপাশি বীজ, সার, মাটি, কীটনাশক, টব, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, টব বা গাছ রাখার বিভিন্ন আসবাবপত্রও বিক্রি করা হচ্ছে।
মেলায় অংশ নেওয়া রেনোভা নার্সারির স্বত্বাধিকারী ফাতেমা বলেন, আমাদের স্টলে আউটডোর প্লান্টের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উপকারী ইনডোর প্লান্ট রয়েছে। এসব ইনডোর প্লান্ট ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। দর্শনার্থীদের আমরা কোন গাছের কী উপকারিতা তা জানাচ্ছি। মানুষও দিন দিন সচেতন হচ্ছে। বেচাকেনা ভালো।
বিক্রেতারা বলছেন, ঢাকায় বড় গাছ লাগানোর মতো জমি আছে খুব কম মানুষের। এজন্য ফুলগাছ, ক্যাকটাস, পাতাবাহার, বেগুন, মরিচ, ক্যাপসিকামের মতো ছোট গাছের চাহিদা বেশি। তবে যাদের ছাদ বা কিছুটা জমি আছে তারা আম, কাঁঠাল, লিচু, মাল্টা, কমলা, সফেদাসহ বিভিন্ন ফল গাছ কিনছেন।
মেলায় কথা হয় শ্যামলীর বাসিন্দা রোখসানা আক্তারের সঙ্গে। স্কুল পড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন বৃক্ষমেলায়। তিনি বলেন, প্রতি বছর বৃক্ষমেলার জন্য অপেক্ষা করি। এখানে আসলে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। চোখ দুটো যেন শীতল পরশ পায়। আমি গ্রামে বড় হয়েছি। ছোট বেলা গাছে চড়ে আম খেয়েছি, পেয়ারা খেয়েছি। অথচ আমার বাচ্চারা এখন গাছই দেখেনা। তাদের মেলায় নিয়ে আসি। বিভিন্ন গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। লাগানোর জায়গা নেই, তবুও বেলকনি ও ঘরের ভিতরে রাখার জন্য কিছু গাছ কিনে নিয়ে যাই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল হতে পারে না: ড. মোশাররফ
টিকটক ও ক্যাপকাটকে টক্কর দিতে মোক্ষম চাল মেটার!
৩৩ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধের ঘোষণা
তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে হাসিনার মত স্বৈরাচার সরকার আর যাতে আসতে না পারে - ব্যারিস্টার মীর হেলাল
ফেরার সময় তিন ইসরাইলি বন্দীকে কী উপহার দিল হামাস?
মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে : আমিনুল হক
পিঠার নাম হৃদয়হরণ, মুখচাহনি
শেরপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে যুবদলের কম্বল বিতরণ
গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে চুরি হচ্ছে বাণিজ্যিক মিটার
রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে: মির্জা ফখরুল
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের বিশেষ নির্দেশনা শাহজালাল বিমানবন্দরের
দলে মেধাবীদের দেখতে চান তারেক রহমান
গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
শরণখোলায় হোলি কুরআন অ্যাওয়ার্ড ও হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
ইসরাইল ছাড়া অন্য কোন দেশের জাহাজে হামলা করবে না হুথিরা
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভ কামনা জানালেন ড. ইউনূস
সুন্দরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিকলীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
শেরপুর সরকারি কলেজের ২১ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলো