মতিউর পরিবারের শতাধিক অ্যাকাউন্ট, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
ছাগলকা-ে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দুর্নীতিবাজ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে সাভারে মতিউরের নামে ১২.৫৮ শতাংশ, লায়লা কানিজের নামে ১৪ শতাংশ, ভালুকায় ছেলে অর্ণবের নামে ১০৪ শতাংশ, ভালুকায় মতিউরের ভাই এ এম কাইউম হাওলাদারের মালিকানাধীন গ্লোবাল সুজের ৯৫৮ শতাংশ জমি, গাজীপুরে মতিউর, ফারজানা, অর্ণব, মনোয়ার ও আপন ভুবন লিমিটেডের নামে ৮৭৫. ৯৫ শতাংশ জমি, নরসিংদীর শিবপুরে মতিউরের স্ত্রী লায়লার নামে ৩৮ শতাংশ, ছেলে অর্ণবের নামে ১২৬ শতাংশ, মেয়ে ফারজানার নামে ৭২ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় লায়লা কানিজের নামে ১৬৬ শতাংশ জমি।
স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও শেয়ার বাজারে তাদের ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট, ১১৬টি ব্যাংক হিসাবের ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মতিউর ছাড়া তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব, মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা, ভাই এম এ কাইয়ুম হাওলাদার, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিভলী, মহিউদ্দিন মোল্লা, মাহফুজা ইউনুস, মো. বজলুর, তোফাজ্জল হোসেন, ফরহাদ আহমেদ, তাছাদ্দিক আহমেদ ফারাবি, একেএম বখতিয়ার আলম, শরিফ আহসান, মো. শফিকুল ইসলাম, , হাওয়ানুর বেগম, রুমা কুমকুম, আবিদা সায়মা মাহমুদা, কাজী সাইফুর রহমান ও আইনুল কবিরের ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
দুদকের পক্ষে এ আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ নামে বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাইকোর্টে চিন্ময়ের জামিন আবেদন, শুনানি সোমবার
পুলিশ লাইন্সে ফ্যানের সঙ্গে নারী কনস্টেবলের লাশ ঝুলছিল
দাউদকান্দির গৌরীপুর চররায়পুর আসমানিয়া সড়কে বড় বড় গর্ত, জনদুর্ভোগ চরমে
লৌহজংয়ে যানবাহন চলাচলে জন্য বালিগাঁও সেতু উন্মুক্ত করা হয়েছে
নারায়ণগঞ্জে পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি, ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার
ভারতের প্রথম মহিলা নৃবিজ্ঞানী ইরাবতী কারভে, সাহসী গবেষক ও সংস্কারক
মুজিবনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন
ভয়ঙ্কর প্রেমের ফাঁদ!
মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে যাবে? সারজিস আলম
যুদ্ধবিরতি স্থগিত করে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখল ইসরাইল
দাউদকান্দিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত
টেকনাফমুখী ৪টি পণ্যবাহী জাহাজ এখনো ছাড়েনি আরাকান আর্মি
বাঁওড়ের ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ টিকটক, আমেরিকা প্লাটফর্মটি প্রত্যাশা করেঃ মি.বিষ্ট
আমাদের রক্ত ঝরবে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইনকিলাবে রিপোর্টের পর সরিয়ে দেয়া হলো তিন কর্মকর্তাকে
জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার শেষ করবে : মির্জা ফখরুল
ঘাটতি পূরণে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে: কবির উদ্দিন
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ডিবিসিসিআই’র নতুন সভাপতি মামুন, সেক্রেটারি রিসালাত