দোয়ারাবাজারে প্রকাশ্যে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রকাশ্যে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব। উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাঁও গ্রামে টিলার মাটি দিয়ে জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আজিজ নামে এক মাটি খেকোর বিরুদ্ধে। পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে নির্বিচারে টিলা কাটছে স্থানীয় লোকজন। কেউ টিলার মাটি দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করছে। কেউ কেউ আবার মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে। টিলা কাটার ফলে ওই এলাকায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। কেউ কেউ আবার বলছে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই চলছে এই তাণ্ডব।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাঁও গ্রামে টিলা কাটা হচ্ছে। নিরব রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কাটা যাবে না। কিন্তু উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাঁও গ্রামের দেখা গেছ ভিন্ন চিত্র। লোকজন এ আইন লঙ্ঘন করে টিলা কাটছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, আব্দুল আজিজ খুবই প্রভাবশালী। সে প্রায়সময়ই টিলার মাটি বিক্রি করে। এবার টিলা কেটে বাড়ির ভিটা বানানো হচ্ছে এবং মাটি দিয়ে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করে না। প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র আব্দুল আজিজ, আজিজের পুত্র মাহমুদুল টিলার মাটি ও টিলায় থাকা গাছ কেটে বাড়ি তৈরির জন্য ভিটা ভরছে। অন্যদিকে, যোগাযোগ করা হলে আব্দুল আজিজ দাবি করেন, বাড়ি করার জায়গা নেই। তাই টিলা কেটে ঘর তৈরির জায়গা করছি।

উপজেলা ভূমি অফিসের তশিলদার শিব্বির আহমদ ইনকিলাবকে বলেন স্থানীয় একজন ফোন দিয়ে আমাকে অবগত করেছেন। আমি বর্তমানে সিলেট শহরে রয়েছি। অফিসের কর্মকর্তা আবুল হাছানকে কল দিয়েছিলাম। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। আগামী রোববারে এর ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভাগ : জাতীয়