সমবায় অধিদপ্তরে নিয়োগে প্রতিমন্ত্রীর ছেলে ও সাবেক ডিজির দুর্নীতি নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা

জড়িতদের বাদ দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ

Daily Inqilab পঞ্চায়েত হাবিব

১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম

সমবায় অধিদপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১১ পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন ভাবে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ গঠিত মন্ত্রণালয়ের পৃথক তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সমবায় অধিদপ্তরে ৫১১টি পদে নিয়োগ বাণিজ্যে ঘটনায় জড়িত সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছেলে ও সাবেক ডিজি,অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন) ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুল হায়দার চৌধুরী এবং উপনিবন্ধক (প্রশাসন), নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ না করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের ছেলে শুপ্রীয় ভট্টাচার্য্য শুভ এবং সাবেক ডিজি ড. তরুণ কান্তি শিকদার জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি। সমবায় অধিদপ্তরে ক্লার্কসহ কয়েকটি পদে পদোন্নতিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতি ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করে প্রাথমিক কিছু সত্যতাও পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

গত ৫ জুন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির মতামত বিবেচনায় নিয়ে পূর্বের পরীক্ষার ফল বাতিল করে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াটি নতুনভাবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের আদেশ দেওয়া হলো। তবে অভিযোগ আছে, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া কোটি কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ভয়ে চেপে রাখা হয়েছে পরীক্ষা বাতিলের তথ্য। গায়েব করে ফেলা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন। এ অবস্থায় ৩ জুলাই মন্ত্রণালয়ের আরেক পত্রে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেছে মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন ইনকিলাবকে বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমবায় অধিদপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১১ পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এবার নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ৯ জুলাই সমবায় অধিদপ্তরের ৫১১ পদে কর্মচারী নিয়োগ ঘিরে ‘শতকোটি টাকা বাণিজ্যে মরিয়া সিন্ডিকেট’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। রিপোর্ট প্রকাশের পরই নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছিল মন্ত্রণালয়। কমিটির তদন্তে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ নানা অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সমবায় অধিদপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১১ পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এসব পদে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার গভীরে না গিয়ে দায়সারা কাজ করে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষার কারণে সরকারের প্রায় চার কোটি টাকা গচ্চা গেলেও তদন্ত প্রতিবেদনে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়নি। উলটো তাদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িতদের নাম ও তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ জমা দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। অভিযোগে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠকের কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ ১০(৮) এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমবায় অধিদপ্তরে ‘৫১১টি পদে নিয়োগ, শতকোটি টাকা বাণিজ্যে মরিয়া সিন্ডিকেট’ শীর্ষক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছিল। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে তদন্ত দলের সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব মো. শাহাদাৎ হোসেন এবং সহকারী সচিব গোলাম সরোয়ার একটি দায়সারা তদন্ত করেন। তারপরও ছয়টি অভিযোগের মধ্যে তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে সব অভিযোগই প্রমাণিত হতো। ৫১১টি পদে নিয়োগে এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন) ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুল হায়দার চৌধুরী এবং উপনিবন্ধক (প্রশাসন), নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কোনো সুপারিশ নেই তদন্ত প্রতিবেদনে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সমবায় অধিদপ্তরের নিয়োগ কমিটির সভাপতি হবেন একজন অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন, মাসউ ও ফাইন্যান্স)। কিন্তু সে সময়ে সমবায় অধিদপ্তরে এই পদে কেউ কর্মরত ছিলেন না। নিয়োগ বাণিজ্য কবজা করতে এ পদে কাউকে পদায়ন না করে অবৈধভাবে তৎকালীন যুগ্মনিবন্ধক হাফিজুল হায়দার চৌধুরীকে (বর্তমানে অতিরিক্ত নিবন্ধক) অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কাউকে ঊর্ধ্বতন পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া যায় না। এছাড়া, ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা থাকলেও তদন্ত দল তা করেনি। উপসচিব ড. অশোক কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রণালয়ের পৃথক তদন্ত কমিটি নিয়োগ বাণিজ্যে অবৈধ অর্থের লেনদেনের প্রমাণ পেলেও উপসচিব মো. শাহাদৎ হোসেন ও সহকারী সচিব গোলাম সরোয়ারের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-নিয়োগ বাণিজ্যে অর্থ লেনদেনের সত্যতা পাওয়া যায়নি। সাবেক মহাপরিচালকের পথ অনুসরণ করে ‘হাফিজ-আতিক’ সিন্ডিকেট দিয়েই বর্তমান নিবন্ধক ও মহাপরিচালক। এজন্য তিনি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করে নতুনভাবে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা সংক্রান্ত পত্রটি জারি করিয়েছেন।

এ বিষয় সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এটা ঠিক। তবে এখনো নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।’ পরীক্ষা বাতিল হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো না-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে দেখতে হবে কারা জড়িত ছিল। তবে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু হলে আগের নিয়োগ কমিটিতে যারা ছিলেন তারা কেউ থাকবেন না।’ আপনার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ‘হাফিজ-আতিক’ সিন্ডিকেট আগের মতোই বদলি ও সংযুক্তি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন-এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বদলি চলমান প্রক্রিয়া। এ নিয়ে কেউ বাণিজ্য করছে কিনা তা আপনি কিভাবে বুঝলেন।’ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।

সরকারি অর্থের অপচয়: অনিয়মের কারণে পরীক্ষার ফল বাতিল করলেও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরের কথা, প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত সুপারিশও নেই। এতে তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং নিয়োগ পরীক্ষার খরচ বাবদ সরকারি কোষাগারের ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা গচ্চা গেছে। যা সরকারি অর্থের অপচয়। তাহলে অপচয়কারীদের বিচার কেন হবে না-অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা এই প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেন, যাদের লালসার কারণে সরকারি অর্থের এ অপচয় বর্তমান মহাপরিচালক তাদেরকেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

বাতিল পরীক্ষায় আবেদনই করেননি এমন প্রায় ১০০ জনের নাম ছিল উত্তীর্ণদের তালিকায়। তাদের নাম ও ইউজার আইডি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে জমা দেয়া অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। অথচ তাদের খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। এ নিয়োগের জন্য টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হয়। কিন্তু টেলিটক থেকে পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে হাজিরা শিট তৈরি না করে পরীক্ষার্থীর তথ্য টেম্পারিং করে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়। এমনকি কোনো কোনো পদে ছেলেকে মেয়ে বা মেয়েকে ছেলে বানিয়ে উত্তীর্ণ করা হয়। ফলে একই রোল নম্বরের অধীনে একাধিক পরীক্ষার্থী পাওয়া যায়। আবার ওই সব প্রার্থীর টেলিটক ইউজার আইডিও ভিন্ন ভিন্ন। এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি তদন্ত কমিটি।

পরীক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের জন্য কালো তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানকে কোনো চুক্তি ছাড়াই ওএমআর শিট সরবরাহ ও মূল্যায়নের দায়িত্ব দেয় নিয়োগ কমিটি। উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় বিভিন্ন ব্যক্তি গোপন কক্ষে ঢুকে উত্তরপত্রের নম্বর জালিয়াতি এবং অনুত্তীর্ণ, অযোগ্য প্রার্থীদের রোল ফলাফল শিটে অন্তর্ভুক্ত করে। যেখানে এমসিকিউ পরীক্ষার ফল পরীক্ষার পরদিনই দেওয়া যায়, সেখানে ২ সপ্তাহের বেশি সময় পর ফল প্রকাশ করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে দেরিতে ফল প্রকাশের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং দেরিতে ফল প্রকাশ সমীচীন হয়নি বলে উল্লেখ করলেও এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেনি। নিবন্ধকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ : সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে জমা দেওয়া কার্যপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার দুর্নীতিবিরোধী কঠোর মনোভাব দেখালেও সমবায় অধিদপ্তরে ‘দুর্নীতির ভূত’ দূর হচ্ছে না। অধিদপ্তরে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন খোদ বর্তমান নিবন্ধক শরিফুল ইসলাম। অভিযোগ আছে, হাফিজ-আতিক’ সিন্ডিকেট নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিসহ নানা বাণিজ্য জড়িত। সমবায় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, গত ১ বছরে ২৩৪ জনকে বদলি করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি এমন আরও ৬০-৭০ জনের বদলির আদেশ। প্রতিটি বদলি থেকে সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে মোটা টাকা। সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার বা উপসহকারী নিবন্ধকের কোনো পদ নেই। কিন্তু সংযুক্তিতে এ পদের প্রায় ৩৪ জন প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন সমবায় কার্যালয়ে অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদ না থাকলেও শুধু অর্থের বিনিময়ে তিনি সংযুক্তি দিয়েছেন। অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখায় শাখা প্রধান পদে দুজন কর্মরত থাকা সত্ত্বেও সেখানে আরও দুজন উপসহকারী নিবন্ধককে সংযুক্ত করেছেন। যারা মূলত হাফিজ-আতিক সিন্ডিকেট’র কালেক্টর।

এসব বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক (প্রশাসন) ও বাতিল হওয়া নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আতিকুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন) ও বাতিল হওয়া নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুল হায়দার চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
কী আছে তৌফিকার লকারে?
আরও

আরও পড়ুন

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম

বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক

মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

কী আছে তৌফিকার লকারে?

কী আছে তৌফিকার লকারে?