বন্দরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৭৮ জন বিএনপি, আ. লীগ, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে এক প্লাটুন পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সড়কে অবস্থান করছে। আর বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন মাকসুদসহ বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. ফয়েজের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সড়কে অবস্থান নেন। তিনি জানান, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য সড়কে অবস্থান নিয়েছি। শৃঙ্খলা ফিরে না আসা পর্যন্ত দিন-রাত এ দায়িত্ব পালন করে যাব।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক বন্দরের মদনপুর এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত কয়েক দিনের সহিংসতার ঘটনায় বন্দর থানায় ১৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো হাজারের অধিককে আসামি করে একটি মামলা হয়। এসআই আহাদ বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা রুজু করেন ।
মামলার বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, গত ১৮ জুলাই পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, পুলিশের উপর হামলা, সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৩২ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলায় গত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মদনপুর ফুলহর এলাকার যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ জানান, ছাত্রদের আন্দোলনকে পুঁজি করে জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমার অফিস ভাঙচুর করে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর ও অবমাননা করেছে।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ জানান, আমরা এতদিন শান্তিপ্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছি। কিন্তু জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের অফিস ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর ছবি ধ্বংস ও অবমাননাসহ সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করেছে। এখন থেকে আমরা আর কাউকে ছাড় দেব না। যেখানে পাব সেখানেই আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করব।
এদিকে কয়েক দিনের পরিস্থিতির কারণে থানায় এসে সাধারণ জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত। থানার গেইট বন্ধ করে রাখায় অনেকে থানার গেইটে এসে ফিরে যাচ্ছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ কাউকে থানার ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও তথ্য নিতে পুলিশ থানায় ঢুকতে দিচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার মনির হোসেন, দেলোয়ার ও শরীফা নামের কয়েকজনকে থানার বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়। তারা গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে থানার সামনে এসে বসে আছি। পুলিশ আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ওসিকে ফোন দিলেও তিনি বলেন, থানা পুলিশের নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছি না। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তাই দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে নিরুপায় হয়ে চলে যাচ্ছি। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত