সহিংসতায় সিলেটে যত ক্ষয়ক্ষতি
২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
কোটা সংস্কারকে ঘিরে আন্দোলনের তোপে সিলেটের বিভিন্ন খাতে ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া সিসিক এলাকায় টাকার হিসেবে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সিসিক সূত্র। বিভিন্ন খাতে ক্ষয়ক্ষতির দাবী করেছেন সিলেটের ব্যবসায়ী নেতারা। এমনকি শুধু মাত্র পর্যটন খাতেই ক্ষতি হয়েছে অন্তত পাঁচশ কোটি টাকার। গত বৃহস্পতিবার মহানগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতান পরিদর্শনের সময় এ তথ্য প্রকাশ করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ।
বন্যা ও অতিবৃষ্টির পর অপ্রত্যাশিত কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষতির মুখে পড়ে সিলেট। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সিলেট জেলায় অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি। বিশেষ করে ১৩টি বর্ডার দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। আন্দোলনে পথেই অন্তত ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। তার মতে, এখন প্রয়োজন সবকিছু সহজ করে দেওয়া, লাইসেন্স মওকুফ করা। বিশেষ করে এক বছরের জন্য ব্যবসায়ীদের ভ্যাট, ট্যাক্স ও ঋণের সুদ মওকুফ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এমনিতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত অথচ এ পরিস্থিতিতেও ভ্যাট অফিস থেকে ফোনে ব্যবসায়ীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে অন্তত এই মাসে কাউকে বিরক্ত করতে না করেছি। সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রিপন বলেন, কারফিউ শিথিল করা হলেও মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। কর্মচারীদের চালানো দায় হয়ে গেছে। কোটা আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন থেকে দোকানপাট বন্ধ। দুই দিন ধরে দোকানপাট খোলা হলেও ক্রেতা নেই। তিনি আরো বলেন, নগরে সাড়ে সাত হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কর্মচারীর বেতন, নানা বিলের পরও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আছেন ঋণের চাপে। ব্যবসায়ীদের ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যাদের দেড়-দুই লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হতো, তারা ১০ হাজার টাকার পণ্যও বিক্রি করতে পারছেন না। সিলেটে জুলাই-আগস্টে প্রবাসীরা বেশি দেশে আসে। কিন্তু এবার বৈরী পরিস্থিতির কারণে প্রবাসীরাও আসছেন না। এটিও ক্ষতির আরেকটি বড় কারণ।
সরেজমিনে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেটের আখালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আম্বরখানা থেকে তেমুখী সড়কের সড়ক বিভাজকগুলো ভাঙা। মাঝখানে সৌন্দর্যবধনের জন্য লাগানো গাছ ও রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। বন্দরবাজার এলাকার ধোপাদিঘীরপাড়েও ভাঙচুর হয়েছে। আখালিয়া এলাকার স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি এ সড়কের পাশেই। ফলে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় অনেকে লোহার গ্রিল দিয়ে বানানো সড়ক বিভাজক ভেঙে নিয়ে গেছে। তাদের ধারণা, আশপাশের এলাকার ভাঙারি দোকানেই এসব লোহার গ্রিল বিক্রি করা হয়েছে। আর দোকান মালিকরা সেগুলো অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর হয়েছে। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার ১০টি প্রাক, ২০০টি ডাস্টবিন ও বিদ্যুতের খুঁটি ভাঙচুর হয়েছে। এতে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত