চট্টগ্রামে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক র্যালিতে পুলিশের বাধা
২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে হামলা এবং পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রায় ২০৬ জন ছাত্রজনতার হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এই হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল শুক্রবার নগরীর পুরাতন স্টেশনে চট্টগ্রামে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক র্যালি পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। শোক র্যালির পূর্বে একটি শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড শফি উদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সভাপতি কমরেড অশোক সাহা, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রমিকনেতা কমরেড মৃণাল চৌধুরী, বাসদ জেলা ইনচার্জ কমরেড আল কাদেরি জয়, বাসদ নেতা জসিমউদ্দিন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কমরেড সত্যজিৎ বিশ্বাস।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এক গভীর অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এত অল্প সময়ে আর কখনো এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেনি। নিজেদের দলীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ইত্যাদি সরকারি বাহিনী ব্যবহার করে সরকার জনগণের উপর চড়াও হয়েছে। পত্রিকার তথ্য বলছে, আজ পর্যন্ত ২০৬ জন মানুষ হত্যা করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। সর্বশেষ কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামিয়ে দমন-পীড়ন চালাতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেনি। এখন চলছে নির্বিচার গণগ্রেফতার। সরকার যদি ভাবে এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে তারা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবে তবে তারা ভুল পথে হাঁটছে। এই আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্ররা শুরু করলেও বাস্তবে এ আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকা সরকারের দুর্নীতি-লুটপাট, স্বৈরাচারী নীতি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জনতার পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ। আন্দোলনের যে আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা দমন-পীড়ন করে বন্ধ করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ শোক সমাবেশ থেকে দাবী উত্থাপন করে বলেন, অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে, সেনাবাহিনী-বিজিবিকে ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে, ছাত্র-জনতার উপর সংঘটিত বর্বর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, স্বাধীন কমিশন গঠন করে অংশীজনের মতামত নিয়ে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্ভূত সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে, অবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দিতে হবে, ক্যাম্পাসগুলো থেকে সন্ত্রাসীদের বিতাড়ন করে আন্দোলনকারীসহ সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার কোনভাবেই এই হত্যাকাণ্ড ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির দায় এড়াতে পারে না। এই হত্যাকাকাণ্ড ও ধ্বংসকাণ্ডের দায় নিয়ে অবিলম্বে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করেই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত