মিলছে না কাক্সিক্ষত ইলিশ উপকূলে জেলেদের হতাশা
২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম
সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই ইলিশ মাছ ধরার প্রস্তুতি শুরু করলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় অধিকাংশ ইঞ্জিনচালিত মাছধরা ট্রলার নিরাপদে ঘাটে বাঁধা রয়েছে। ২৩ জুলাই রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে বরগুনার জেলেপাড়াগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে। বৈরী আবহাওয়া ও কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় জেলেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই মাসের বেশী সময় ধরে বেকার হয়ে ছিল জেলার উপকূলীয় জনপদের জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি সহায়তা দেয়া হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের জেলে মোশাররফ হাওলাদার বলেন, এ উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের বাইরেও অনেক জেলে রয়েছে। নিবন্ধিত হয়েছে কিছুসংখ্যক। যারা নিবন্ধিত হয়েছে তারা নিষেধাজ্ঞার সময় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। বেশিরভাগ জেলে পরিবারের দু’মাস মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে।
বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়নের জেলে শামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ দুমাস পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের কিছুটা উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও ঋণের বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। অনেকের ঋণ রয়েছে। কিন্তু দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এখন মাছ ধরে নিজেও চলতে হবে, ঋণও পরিশোধ করতে হবে। এবার অনেক আশায় নিয়ে আমরা সাগরে নেমেছিলাম। কাক্সিক্ষত ইলিশ মাছ পাচ্ছি না। গত ২/৩ দিন যে মাছ পেয়েছি তাতে খরচই পোষাবে না। গত বছরও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যায়নি। এ বছর ভাগ্যে কি রয়েছে জানিনা।
বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এসব জেলের দাবি, তারা এখন সাগরে কাক্সিক্ষত মাছ পেলে নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
একই এলাকার জেলে মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখন সাগরে যদি মাছ পাই, তবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারব।’
পাথরঘাটার চার ভাইবোন ট্রলারের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারীর আগেও সাগরে তেমন মাছ পাইনি। এর মধ্যে আবার নিষেধাজ্ঞা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চরম অভাব অনটনের মধ্যেই দিনাতিপাত করতে হয়েছে।
বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে উপকূলের জেলেরা কঠিন সময় পার করেছেন। তবে তারা আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে জালে যে হারে ইলিশ ধরা পড়েছে, এখন তার থেকেও বেশি ইলিশ পাবেন। কাঙ্খিত ইলিশ পেলে দুরাবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে।
পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রাজস্ব আদায় বাড়বে এবং যা দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসিন ইনকিলাবকে বলেন, বরগুনা জেলায় মোট ৩৬ হাজার ২২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময়ে অবৈধ জাল বিনষ্ট করা ও অসাধু জেলেদের আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ৬৫ দিন শেষে বরগুনার জেলেরা সমুদ্রে আশানুরূপ মাছ পেলে অর্থনৈতিক দুর্দশা-দৈন্য কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি