বছরের ৬ মাসই বিদ্যালয়ে জমে থাকে কাদা-পানি
২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম
বিদ্যালয়ের আশপাশে গড়ে উঠেছে বসতি। কিন্তু পানি বের হওয়ার পথ নেই। বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। পুরো বর্ষা মৌসুমজুড়েই থাকে হাঁটুপানি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি শুকালেও বছরের অন্তত ছয় মাস থাকে স্যাঁতসেঁতে কাদা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এমনই চিত্র দেখা গেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৯১ নম্বর তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, প্রায় ৩০ বছর ধরে বিদ্যালয়ে মাঠে এমন পানিবদ্ধতা। কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবছর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ফলে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়ের সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি)। চলাচল, খেলাধুলাসহ নানান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পানি অপসারণে দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাটি ভরাটের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে বরাদ্দ না পাওয়ায় পানিবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরতলির তরুণমোড়-তারাপুর বাজার সড়ক ঘেঁষে ৯১ নম্বর তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়ের চারপাশ পাকা দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। দেওয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বসতি। আর বিদ্যালয়ের পুরো মাঠে হাঁটুসমান পানি জমে আছে। চলাচলের জন্য ইট পেতে সরু পথ তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের ভেতরেও জমে আছে পানি।
এ সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আলামিন (রোল নম্বর ১) বলে, ‘বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ে মাঠে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। আমরা চলাচল ও খেলাধুলা করতে পারি না। পানিতে পড়ে গিয়ে অনেকেরই বই, জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।’
একই শ্রেণির মাহিয়া খাতুন বলে, ‘পানি মাড়িয়ে চলাচল করলে ঘা, চুলকানিসহ নানান রোগ হয়। সেজন্য অনেকে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।’
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪২ শতাংশ জমির ওপর ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৯১ নম্বর তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৬ জন। শিক্ষক রয়েছেন ছয়জন। তাদের মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় এক পা হারিয়েছেন। পানিবদ্ধতার কারণে তিনি বিদ্যালয়ে আসতে পারেন না।
সহকারী শিক্ষক মুসলিমা খাতুন বলেন, দিনে দিনে বিদ্যালয়ের চারদিকে বসতি গড়ে উঠেছে। পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। সেজন্য বছরে ছয় মাস কাদা-পানি জমে থাকে। এতে বন্ধ রয়েছে সমাবেশ, খেলাধুলাসহ নানান কাজ।
২২ বছর ধরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন আলপনা রানী ঘোষ। তিনি জানান, যোগদানের পর থেকেই তিনি দেখছেন পুরো বর্ষা মৌসুমে মাঠে হাঁটুসমান পানি থাকে। আর অন্যান্য সময় থাকে কাদা-মাটি। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সবাই। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতেও বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পানিবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তির কথা স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারিভাবে বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত