আগুন ছড়িয়েছে সবখানে
০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম
এ যেন বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার। কোনো বাঁধাই মানছেন না বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা ‘বল বীর- বল চির উন্নত মম শির/ আমি চিরদুর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস/ মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ভেঙে করি সব চুরমার/ আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন’ এর মতো জেগে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। সেনা ক্যাম্প- ব্যাঙ্কার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনীর টহল এবং বিজিবির যুদ্ধংদেহী উপস্থিতি এবং রাতে ‘ব্লক রেইড’ এর মধ্যেই হত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা ও গুমের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সারা দেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আইন শৃংখলা বাহিনীর মারমুখী অবস্থানে বিভিন্ন জায়গায় লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করলেও মুহূর্তেই তারা ফের গর্জে উঠেন। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, বাবা-মা, দেশের শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী, ক্রিকেটার, গৃহবধূ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা সামিল হয়েছেন। এমনকি বিদেশে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও প্রবাসী শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। শিক্ষার্থীরা একদিকে শ্লোগান দিচ্ছেন অন্যদিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে গৃহিণীরা রাজপথে শিক্ষার্থীদের পানি-শুকনা খাবার খাওয়াচ্ছেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করতে গেলে অভিভাবক ও সহপাঠীরা ঢাল হিসেবে তাদের ছাড়িয়ে দিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। আন্দোলনের মুখে সরকার এতো বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যে, ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে দায়িত্বশীল নেতাদের। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দলীয় কার্যালয়ে দলের নেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া ভুয়া’ সেøাগান দেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে অনলাইন অফলাইনে স্মৃতিচারণ ও প্রচারণা চালানো হবে। সারাদেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে, জাতিসংঘের তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালিত। কর্মসূচিতে নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণ, শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাংকন/গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোর্ট্রেট তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচী পালনে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে গতকাল রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার গেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা একত্রিত হলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ বেলা একটার দিকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের দিকে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে তারা দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পরে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশ করেন। এ সময় আইনজীবীদের সঙ্গেও পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনসংলগ্ন মহুয়া মঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। শিক্ষার্থীরা বাধা পেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যেতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পাল্টায় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। সাতরাস্তা মোড়, রয়েল মোড়সহ পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বরিশালে নগরের সদর রোডসংলগ্ন কাঠপট্টি সড়কের মুখে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে ৪ সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রাজশাহীতে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করতে শিক্ষার্থীরা আদালতের সামনে সমাবেশ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। চট্টগ্রামে আদালত পাড়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও আইনজীবীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করে।
ঢাবিতে পুলিশি বাধা, শিক্ষিকার গায়ে হাত
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হামলায় সারাদেশে নিহত শহীদ শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। দেশব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের বিপরীত পাশের সড়কে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি। এসময় এক ছাত্রকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষিকার গায়ে হাত তুলেন পুলিশ। ওই শিক্ষিকার নাম শেহরীন আমিন ভূঁইয়া।
বুধবার দুপুর ১ টার দিকে হাইকোর্টের অদূরে কার্জন হলের বিপরীত পাশের শিশু একাডেমির সড়কে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এদিন শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শিক্ষকরা মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে যোগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে একত্রে বের হয়ে তারা হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা দেন। এসময় তাদের সাথে আশপাশের কয়েকটি কলেজ ও বুয়েটের কিছু শিক্ষার্থীও যোগ দেয়।
এসময় শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে যোগদানের উদ্দেশে হাইকোর্ট মোড়ের দিকে আসার সময় এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক পুলিশ আটক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ঘটে শিক্ষার্থীদের। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর নুসরাত জাহান চৌধুরী এবং প্রভাষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া বাধা দেন।
সেখানে রমনা জোনের এসি (এডিশনাল কমিশনার) মোহাম্মদ ইমরুল পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন। তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ঘটে শিক্ষকদের। একপর্যায়ে ইমরুল ছাত্রটির কলার ধরে শিক্ষকদের বলতে থাকেন, ‘আপনি তাকে ছাড়েন’। এ সময় শিক্ষক শেহরীন আমিন বলেন, ‘সে কী করছে বলেন’। ইমরুল তখন বলেন, ‘তার ফোন চেক করে ছেড়ে দেব’। তখন শিক্ষক বলেন ‘আপনি তার ফোন চেক করতে পারেন না’। ইমরুল ছাত্রের কলার ধরে টেনে নিয়ে আসেন।
তবে শেহরীন আমিন ছাত্রটির হাত ধরে রাখলে ইমরুল বলেন, ‘আপনি হাত ছাড়েন নইলে আমি ফোর্স অ্যাপ্লাই করব’। শেহরীন আমিন ছাত্রটিকে ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে পুলিশ ধাক্কা দিলে শেহরীন আমিন মাটিতে পড়ে যান। পুলিশ ছাত্রটিকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরে শেহরীন আমিন গণমাধ্যমে বলেন, বোরহানুদ্দীন কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমি ও আমার একজন সহকর্মী নুসরাত জাহান গিয়ে বাধা দেই। পুলিশকে বললাম তার অপরাধ কী? পুলিশ বললো তাকে চেক করব। তখন আমি পুলিশকে বলি চেক করার থাকলে এখানে করেন। আমাদের ব্যাগ, ফোন চেক করেন। পুলিশ তখন বারবার বলছিল, আমি কিন্তু বলপ্রয়োগ করব। এরপর পুলিশ ধস্তাধস্তি করে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, আমি ওই শিক্ষার্থীর হাত শক্ত করে ধরে রাখছিলাম। তখন একজন পুলিশ আমার হাত ধরে মুচড়ে দেয় ও আমাকে ধাক্কা দেয়। হাত মুচড়ে দেওয়াতে হাতে একটু বেশি ব্যথা পেয়েছি। এর বেশি বলার মত শক্তি আমার নেই।
প্রফেসর নুসরাত জাহান বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় শিক্ষক হিসেবে আমার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে আমরা পারিনি। আমরা যখন তাদের পাশে দাঁড়াতে পারব না, ১২০ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস নেওয়ার নৈতিক অধিকার আমার থাকবে না।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সকল শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষিকা শেহরীন আমিন মোনামী ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি।
আমরা মনে করি এই ঘটনা স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমূলে আঘাত করেছে। আমরা আরও মনে করি, বিভাগীয় প্রশাসন, সিন্ডিকেট কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না। আমরা এই হামলায় জড়িত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পর দণ্ডবিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করি। অবশ্যই বাংলাদেশ পুলিশকে এই আক্রমণের জন্য দাপ্তরিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার পর শিক্ষকবৃন্দের উপরও এমন বেআইনী ও অমানবিক আক্রমণ কোনোভাবে মেনে নিতে বা কোনো সহাবস্থানে যেতে আমরা রাজি নই।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের, আমার বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামী ম্যাম পুলিশের আক্রমণে আহত হয়েছেন তাও আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে! ২ টাকার পুলিশ! আমার লাখ টাকার শিক্ষক! আমার হৃদয়ে স্থান যাদের! ওরা আমার শিক্ষকদের গায়েও হাত দিতে ছাড়লোনা! আমার শিক্ষক আহত কেন? জবাব চাই না আর, খোদার কসম প্রতিশোধ চাই!
তবে প্রতিক্রিয়া জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাকসুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে হাইকোর্ট অভিমুখে পদযাত্রার জন্য শিক্ষার্থীরা নানাদিক থেকে জড়ো হয়ে মৎস্য ভবনের মোড় থেকে মিছিল নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে তাদেরকে আটকে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের বাধায় শিক্ষার্থীরা ফিরে যাওয়ার সময় মৎস্য ভবন মোড়ে মিছিলের পিছন দিক থেকে হঠাৎ দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আটক দুই শিক্ষার্থীর নাম নাহিদ ও আরিফ। তারা নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-আইনজীবীদের তোপের মুখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রায় জনতার ঢল
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের গতকাল বুধবার নগরীর পরীর পাহাড়স্থ আদালত ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শুরু হয় পদযাত্রা। গগণ বিদারি সেøাগানে পদযাত্রা মিছিলটি নগরীর আদালত ভবন হয়ে, কোতোয়ালী মোড় থেকে নিউমার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। তার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশী ব্যারিকেড ভেঙ্গে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর এক বিশাল মিছিল লালদীঘি মোড়ের জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বর থেকে আদালত প্রাঙ্গণে আসে। সেখানে টানা তিন ঘণ্টা অবস্থান করে বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে যোগ দেন। আদালত অঙ্গনে আসা বিচারপ্রার্থীসহ শত শত মানুষ ছাত্রদের সমাবেশ এবং পদযাত্রার সামিল হন। পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে পুলিশ বাধা দিলেও ছাত্র-জনতার বিশাল উপস্থিতি দেখে তার পিছু হটেন। সমাবেশ চলাকালে পুলিশ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এবং আদালত এলাকার বাইরে অবস্থান নেন। কর্মসূচি চলাকালে আদালত ভবনের আশপাশের সড়কে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল দেখা যায়। এসময় আদালত এলাকার আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা নিয়ে আদালত ভবন এলাকা ত্যাগ করলে সরকার সমর্থিত আইনজীবীরা মিছিল ও সমাবেশ করেন।
বরিশালে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ আহত ২০
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালে কর্মসূচি নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে যাবার পথে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রীলীগের কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৩ সাংবাদিক সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারীদের আটক করেছে। পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে তাদের পরিচয় জেনে ছেড়ে দেয়া হবে। সাধারণ মানুষের ভয়ের কিছু নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যাদেরকে দোষী মনে হবে তাদেরকেই ধরা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল দুপুরে আগে এ গোলযোগ সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীর ফজলুল হক এভেনিউ অনেকটা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। কোটা বিরোধী ছাত্ররা মিছিল বের করলে প্রথমে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নগর ভবনের দিক থেকে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক এসে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় বরে অভিযোগ করেছে আন্দোলকারীরা।
সিলেটে পুলিশের বাধা আহত ৩০ শিক্ষার্থী
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল ছুঁড়ে পুলিশ। এর জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে নগরের সুবিদবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সারাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটে কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টায় শাবির গেট থেকে শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে বন্দরবাজারের দিকে রওয়ানা দেয়। সুবিদবাজার এলাকায় আসলে সড়কে পুলিশ ব্যারিকেট দেয়। শিক্ষার্থীরা তখন ব্যারিকেটটি ভেঙে সামনে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে ফের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল ছুঁড়ে পুলিশ। এর জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নিপিড়ন বিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে প্রতিবাদ র্যালি ও সংহতি সমাবেশ করেছে শিক্ষকরা।
রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে হামলা আটক ১০
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বুধবার বেলা ৩টার দিকে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি পিকআপ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। পরে আশপাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত ১০ জনকে আটক করে। পুলিশ জানায়, কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বুধবার রাজশাহীর আদালতের সামনে সমাবেশ করার একটি তথ্য ছিল। এ জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালত চত্বর এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ছিল। বেলা ৩টার দিকে মহিষবাথান এলাকার একটি গলি সড়কের ভেতর দিয়ে পুলিশের টহলে থাকা গাড়িটি আসছিল। তখন দুর্বৃত্তরা গাড়িটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কোনো পুলিশ সদস্য আহত না হলেও গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে যায়। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ এসে দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু করে।
যশোরে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাটিচার্জ
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এছাড়া অন্তত ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এ লাটিচার্জের ঘটনা ঘটে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা হত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে যশোরের শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে যশোর পৌরসভার সামনে জড়ো হয়। এসময় মিছিলের চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শহরের ইদগাহ মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় পুলিশ একদফা বাঁধা দিলে তারা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে মিছিলটি পৌছালে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকা থেকে রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিম নামে ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
খুলনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা মহানগরীর সাতরাস্তা মোড়ে বিক্ষোভকালে বেলা সোয়া দুইটার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি দুই দিক দিয়ে আটকে রাখে। এতে উত্তেজনায় এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে সারাদেশে ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে কর্মসূচি চলাকালে ২৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর রয়েল মোড় ও ময়লাপোতা মোড়ে মিছিলের চেষ্টাকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ওই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এসময় পুলিশকে মোবাইল চেক করতে দেখা যায়। আটক করা হয় অনেককে। মোট কতো শিক্ষার্থীকে আটক হয়েছে, সেই তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। এদিকে পুলিশে ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আহসানুল্লাহ কলেজে আশ্রয় নেয়। তারা ভবনের ভেতর প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে তালা ভেঙে তাদের আটক করে পুলিশ। দুপুর দেড়টার পরে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ডালমিল মোড় থেকে লাঠি নিয়ে মিছিল বের করে। পুলিশ আন্দোলনকারী ভেবে তাদের ধাওয়া দিলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পয়ে। পরে শেরেবাংলা রোড থেকে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিল ময়লা পোতা হয়ে সাত রাস্তার দিকে চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল।
ময়মনসিংহে ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান ছাত্রলীগের
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহ নগরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিদের কর্মসূচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংলগ্ন নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই কর্মসূচি শুরু করে। এ সময় জিরো পয়েন্টের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় কোটা বিরোধীদের বিপক্ষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা ছাত্রলীগের মিছিলটি সরিয়ে দেয়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফ ছাত্রলীগের ওই বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। পরে জিরো পয়েন্টে কোটা আন্দোলনকারিরা অবস্থান নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করে কাচারি সড়ক হয়ে নগরীর টাউন হল মোড়ে গিয়ে ফের অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে। পরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন শেষে পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা টাউনর হল মোড় থেকে সরে যায়।
বগুড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ
বগুড়া ব্যুরো জানায়, চলমান ঘটনায় ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১১টার পর শিক্ষার্থীরা শহরের জলেশ্বরীতলার শহীদ আব্দুল জব্বার সড়কে সমবেত হতে থাকেন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে কালি মন্দিরের সামনে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ, গণসাক্ষর
জাবি সংবাদদাতা জানান, বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা এতে অংশ নেন।
গতকাল দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবন সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়ক, নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। পরে একই স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিয়নসহ গ্রেফতারকৃত সব শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করেন।
চবি শিক্ষকদের মানববন্ধন
চবি সংবাদদাতা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা, গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকরা। গতাকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনারে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্যের ব্যানারে এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৮০ শিক্ষক।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয় সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবীদের ওপরও গুলি চালানো হয়েছে, যারা কি-না পরিবারের প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছিলো। এতে করে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করা হয়েছে। প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, দেরীতে হলেও আমরা সংহতি জানাতে পেরেছি। চলমান নিপীড়নের প্রতিবাদে সরব হতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের প্রতিবাদ চলমান থাকবে।মানববন্ধন শেষ দোয়া পরিচালনা করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক।
চাঁদপুরে আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী সেখানে অবস্থান নেন। ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের সকল আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায় চাঁদপুরের আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ছাত্র জনতা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরে আদালত চত্বরে ও শহরের বাগবাড়ি এলাকায় পৃথক স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।
আদালত চত্বরে ছাত্রদের পক্ষে কিছু আইনজীবী বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের আইনজীবিরা বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ দু’পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বাগবাড়ি এলাকায় সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। সেখানেও পুলিশের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীকেও শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ড করতে দেখা যায়। ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘিরে লক্ষ্মীপুর আদালত প্রাঙ্গণসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, আদালত চত্বরে কোন বহিরাগতরা যেন বিক্ষোভে অংশ নিতে না পারে, সেদিকে পুলিশের কঠোর অবস্থান রয়েছে। এছাড়া কিছু সময় আইনজীবীদের মধ্যে উত্তোজনা থাকলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া শহরের বাগবাড়ি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
ফরিদপুরে আন্দোলনকারীদের মিছিল
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলন কারীদের উদ্যোগ এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শামসুল উলুম মাদরাসার সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে মিছিলকারীরা বিভিন্ন রকমের সেøাগান প্রদান করে।
পুলিশি বাধায় ঝিনাইদহে কর্মসূচি পন্ড
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সংবাদদাতা, ঝিনাইদহে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে গেছে। গতকাল বিকালে ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ সড়কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে আদালত চত্বরের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন। ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবে।
মাগুরায় গনতান্ত্রিক জোটের মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় পুলিশী বাধায় ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের দাবিতে বাম গনতান্ত্রীক জোট ও জাসদের মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ। দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের দাবিতে ও নিহতদের স্মরণে, মানববন্ধনে দাঁড়ায়। মানববন্ধনের কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ তাদের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং পুলিশ ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এসময় জাসদের আহবায়ক এটিএম মোহাব্বত আলী গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশি বাঁধায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মানববন্ধনে পূর্ব অনুমতি না থাকায় কর্মসূচি বিরত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা
মনোহরদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা জানান, পুলিশের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করাসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নরসিংদীর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুর ১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নরসিংদী শহরের উপজেলা মোড় এলাকায় এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে ২৫ থেকে ৩০জন আন্দোলনকারী। এসময় আন্দোলনকারীদের সাথে দেখা যায় নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন এবং নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজিবি শিরিন সুলতানাকে। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভকারীরা টাওয়াদি মোড় হয়ে আদালত প্রাঙ্গণের দিকে আসতে থাকলে সদর উপজেলা মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা প্রদান করে। পরে, পুলিশের বাঁধার মুখে আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছাতে না পেরে উপজেলা মোড়েই দুপুর একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে ফিরে যায় বিক্ষোভকারীরা ।
নোয়াখালীতে শিক্ষার্থীদের বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ
নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা শহরের মাইজদী বাজার এলাকা থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হাতে হাত রেখে বিভিন্ন সেøাগানে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নোয়াখালী জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে সমবেত হয়। পরে সেখানে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইল শহরের ডিস্ট্রিক হেলিপ্যাড এলাকায় এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার জন্য আহবান জানান। পরে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নিকট তাদের দাবীদাওয়া জানিয়ে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
কিশোরগঞ্জে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে কর্মসূচি
কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জে লাল কাপড় বেঁধে সড়কে কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনকারীরা। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে শহরের পুরানথানায় অবস্থান নেন। এ সময় আন্দোলকারীরা মাথায় লাল কাপড় বেঁধে সড়কে বসে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন এবং বিভিন্ন দাবিতে সেøাগান দিতে থাকেন।
নরসিংদীতে পুলিশি বাধার সম্মুখীন আন্দোলনকারীরা
নরসিংদী জেলা সংবাদদাতা জানান, নরসিংদীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা আদালতের সম্মুখে আসার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে আন্দোলনকারীরা। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপজেলা মোড়ে ভেরিগেট সৃষ্টি করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তখন আন্দোলনকারী ছাত্রীরা বিভিন্ন লেখা বেষ্টিত প্লে কার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেরি গেটের সম্মুখে অবস্থান করে। সকল সমন্বয়কারীদের সাথে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন নরসিংদী জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা।
গাজীপুরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী এলাকায় কয়েক দফা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ছাত্র ভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা গাজীপুর শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষিপ্ত মিছিল বের করেন। মিছিলটি শিববাড়ির দিকে গেলে বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীরা যোগ দেন। পরে মিছিলটি শিমুলতলী রোড হয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায়। এ সময় তারা প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন সেøাগান দেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে
৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?
মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,
আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!
সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ
চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২
স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড