কোনো শিশু মারা যায়নি

সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কোনো শিশু মারা যায়নি

স্টাফ রিপোর্টার

০৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোনো শিশু মারা যায়নি। কিশোর মারা গেছে। তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পেছনের শক্তিতেই এমনটা হয়েছে। গুলিতে যারা মারা গেছে তা পুলিশের রাইফেলের গুলি নয়। যুবলীগ বাধা দিতে গেছে, গুলি করতে যায়নি। গতকাল শনিবার রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আন্দোলনকারীদের পড়ালেখায় ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, অসহযোগ আন্দোলন তুলে নেওয়া উচিত। রংপুরের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৩৪ পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছে। কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দল এটা নিয়ন্ত্রণ করছে।
আজ রোববার থেকে কারফিউ শিথিলের সময় আরও বাড়লো। কাল থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে। অন্য জেলায় জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) কারফিউ শিথিল বা বলবৎ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপি সবসময় ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল। শুরু থেকেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল। যে কারণে ছাত্রদের কাছে আহ্বান, তারা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান। কারণ তাদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এরপরেও যদি তাদের কোনো দাবি থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবসময় খোলা আছে।
সম্প্রতি তারা (আন্দোলনকারীরা) আপনিসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। পরিস্থিতি যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে তাতে করে আপনারা চিন্তিত, জনগণও চিন্তিত। যে জায়গায় পরিস্থিতি পৌঁছেছে তাতে আপনিসহ অন্যদের সেই সেক্রিফাইস করার সময় আছে কি না যে মন্ত্রিত্ব থেকে আপনারা সরে দাঁড়াবেন- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে যদি এ রকম কোনো সিচুয়েশন আসে, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন... আমরা সবসময় দেশের জন্য কাজ করি, আমরা সেটা (পদত্যাগ) করব।
মন্ত্রী বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলে দিই, আমাদের শোকের মাস চলছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস। মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শাহাদতবরণ করার পর থেকে এটা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার পতনের দাবিতে আজ রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ প্রেক্ষাপটে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। সর্বশেষ গত বুধবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল।

বিভাগ : জাতীয়