লং মার্চ টু ঢাকা আজ
০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:১২ এএম
রাজধানী ঢাকাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলছে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিস্ফোরণোন্মুখ সারাদেশ। অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে রক্ত ঝরেছে। অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী-জনতার সঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের কোথাও দ্বিমুখী, কোথাও ত্রিমুখী সংঘাত-সংঘর্ষে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে আন্দোলনে অংশ নেয়া অর্ধশত ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। ১৩ জন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন নিহত হন। আন্দোলনকারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে লাশ নিয়ে মিছিল করে শাহবাগ হয়ে বাংলা মোটরের দিকে গেলে মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, রামদা হাতে সরকারদলীয় সমর্থকদের দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের বেপারোয়া গুলি এবং আইনশৃংখলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মী সমর্থদের প্রতিরোধের মুখে ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাধ্য হয়েই অফিস-আদালত বন্ধের ঘোষণা দিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কারফিউ প্রত্যাখ্যান করে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি একদিন এগিয়ে এনে আজ ৫ আগস্ট করার ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী না দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেন, এ কারফিউয়ে আপনারা দেশ এবং দেশের জনগণের পক্ষে থাকুন। কোনো খুনী সরকার এবং রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না। কারণ খুনি সরকার ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী করতে চায়। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সেনাবাহিনী সেই ষড়যন্ত্রে পা দেবে না। শুধু তাই নয়, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সেনাবাহিনী খুনী সরকারের গুণ্ডা বাহিনীকে প্রতিহত করবে দেশবাসী সেটাই চায়।
অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ ছিল বিস্ফোরণোন্মুখ। সর্বত্রই ছিল যুদ্ধাবস্থা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশে সংঘাত-সংঘর্ষ, গুলি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া দিনভর সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৮ জন, ফেনীতে ৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ১১ জন, সিরাজগঞ্জে ২২ জন (১৩ পুলিশসহ), কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৬ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৫ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় ৩ জন (একজন পুলিশ সদস্য), শেরপুরে ২ জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসাধীন কয়েকজন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
আজ লং মার্চ টু ঢাকা ডেকেছে আন্দোলনকারীরা। এগিয়ে আনা হয়েছে তারিখ। গতকাল রোববার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারা দেশ থেকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয় জনতাকে। ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ সফল করতে সারা দেশের ছাত্র-নাগরিক-শ্রমিকদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়। তবে বিকালে আরেক ঘোষণায় এ লংমার্চ এগিয়ে সোমবার ৫ আগস্ট নিয়ে আসার কথা জানায় আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ জানান, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো। অর্থাৎ সোমবার সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ইতিহাসের অংশ হতে ঢাকায় আসুন সকলে। যে যেভাবে পারেন ঢাকায় কালকের মধ্যে ঢাকায় চলে আসুন। ছাত্র-জনতা এক নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাবো’।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেন, এ কারফিউয়ে আপনারা দেশ এবং দেশের জনগণের পক্ষে থাকুন। কোনো খুনী সরকার এবং রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না। কারণ সরকার ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী করতে চায়। কিন্তু আমি বিশ্বাস করে সেনাবাহিনী সেই ষড়যন্ত্রে পা দেবে না।
আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেকে সমবেত হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে আসুন। বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে সকলে ঢাকায় জড়ো হন। সেখান থেকেই চূড়ান্ত নির্দেশনা দেয়া হবে।
ঢাকা ছিল বিস্ফোরণোন্মুুখ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে গতকাল সারাদেশ ছিল বিস্ফোরণোন্মুখ। ঢাকাসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে সর্বাত্মক অসহযোগ। জেলায় জেলায় সংঘাত-সংঘর্ষ-গুলিতে প্রাণহাণির ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জোরালো অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতা। কার্যত শিক্ষার্থীদের দখলে চলে যায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে থাকে ছাত্র-জনতা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। এতে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাজধানীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ কোথাও ছিল মারমুখী, কোথাও ছিল নীরব। তবে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের একসঙ্গে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করতে দেখা গেছে। এতে করে গোটা রাজধানী জুড়েই উত্তাপ ছড়ায়। থেমে থেমে সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, উত্তরা, মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর, রামপুরা, বাড্ডা, পল্টন, প্রেসক্লাব, যাত্রবাড়ি-কাজলা, সাইন্সল্যাব, যমুনা ফিউচার পার্ক, কুড়িলসহ নানা জায়গা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মহাখালি ডিওএইচএস এ অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা ও তাদের পরিবার বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল তিনটা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ, শনির আখড়া, নয়াবাজার, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, প্রেসক্লাব এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৫৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাজধানী উত্তরায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ একজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরের আশপাশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা হয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। যাত্রাবাড়ী থেকে রায়েরবাগ এলাকার সড়কে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতেও দেখা গেছে। বেলা পৌনে একটার দিকে বিক্ষোভকারী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরে সড়ক অবরোধ করা হয়।
শাহবাগ : সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সেই মঞ্চ ঘিরে চারদিকে অবস্থান নিয়ে সেøাগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ঢাকা ক্লাব, টিএসসি, জাতীয় জাদুঘর, কাঁটাবন, বিএসএমএমইউ এর সামনের অংশে অবস্থান নিয়ে পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত তিনজনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা শহীদ মিনারে যান। সেখান থেকে একজনের লাশ নিয়ে শাহবাগে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একদফা সমর্থনে রাস্তায় নামে সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবী আমজনতা। একই সময় বিভিন্ন স্থানে সরকার সমর্থক, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করলে বাধে সংঘর্ষ। শাহবাগ মোড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে ঢাকা পিজি হাসপাতালের ভিতর থেকে কয়েকজন সরকার সমর্থক ‘জয় বাংলা’ সেøাগান দিয়ে শাহবাগের দিকে এগোতে থাকলে শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ধাওয়া খেয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা হাসপাতালের ভেতরে চলে যায়। এরপরই হাসপাতালের ভেতরে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন দেখা যায়।
পল্টন মোড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় অবিভাবক ফোরামের ব্যানারে একটি সমাবেশ চলাকালীন সময় হঠাৎ করেই লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এসময় দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা প্রেসক্লাবে দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেন। উত্তরা-১১ নাম্বার সেক্টরে শিক্ষার্থী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয় বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীর প্রায় বেশিরভাগ স্থান আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে।
রাজধানীর গ্রিন রোড : রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি গলিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা ও সেøাগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘এক দফা এক দাবি’, ‘আমার ভাইয়ের রক্তের জবাব দে, জবাব দে’সহ বিভিন্ন ধরনের সেøাগান দেন। গ্রাফিতিতে ‘গর্জে ওঠো আরেকবার’সহ নানা ধরনের বিষয় উঠে এসেছে। এই গলির কাছেই সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছেন।
বাংলামোটর : রাজধানীর বাংলামোটরে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ার পর কারওয়ান বাজার থেকে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল সেদিকে যায়।
সায়েন্স ল্যাব : রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা। দুপুরে সায়েন্স ল্যাব মোড়ের পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ভাঙা লোহালক্কড় একজনকে রিকশায় করে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন সেøাগান দেন। সায়েন্স ল্যাব হয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। আশপাশ এলাকায় পুলিশের অবস্থান দেখা যায়নি। ওই এলাকার সড়ক বিভাজক ভাঙচুর করা হয়েছে। সড়কে ইটের ভাঙা অংশ ছড়িয়েছিটিয়ে আছে।
উত্তরা আজমপুর : রাজধানী উত্তরার আজমপুরে বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীরা বিএনএস থেকে আজমপুর পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করছেন। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মিরপুরে আ. লীগের সমাবেশ : মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে মিরপুর-১৪ নম্বরের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিলকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমাবেশ করতে দেখা গেছে। গতকাল বেলা ১১টার আগে এ সমাবেশ দেখা গেছে। এ সময় তাদের অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। মিরপুর-১০ নম্বরে রাস্তাঘাটে যানবাহন কম চলতে দেখা গেছে।
দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসান আজমপুরের একটি ক্যাম্পে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ছিলেন সড়কে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আগুন : রাজধানীর পরিবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দিনভর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ ও যুগলীগের নেতাকর্মীদের আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সংঘাত সংর্ঘষে অংশ নিতে দেয়া গেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হাসিনাকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী
গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ
পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল