ভারত উদ্বিগ্ন-সীমান্তে সতর্কতা-ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি -এস জয়শঙ্কর
০৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম
বাংলাদেশে গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনার পলায়ন ও সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে ভারত। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সংসদে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিবৃতি দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। খুব কম সময়ের নোটিশে তিনি সেই মুহূর্তে ভারতে আসার অনুমোদন দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার বিমান ভারতে আসার অনুমোদন চাওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দিল্লিতে এসে পৌঁছান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনের পর সেখানে প্রবল উত্তেজনা, গভীর বিভাজন ও মেরুকরণ হয়। জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের পর পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, সেখানে সহিংসতা বেড়ে যায়। সরকারি ভবন ও পরিকাঠামোর ওপর আক্রমণ হয়। রেল ও ট্রাফিক বিঘ্নিত হয়। বিক্ষোভ চলে। আমরা এ সময় বারবার সবাইকে সংযত হতে বলি এবং জানাই যে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে।
জয়শঙ্কর বলেন, আমরা যে রাজনৈতিক শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, সবাইকে একই কথা বলি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও মানুষের ক্ষোভ কমেনি। বিক্ষোভ চলতে থাকে। এ সময় একটা দাবিতেই আন্দোলন হয়, হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। ৪ আগস্ট পুলিশ আক্রান্ত হয়, সহিংসতা বাড়ে। সংখ্যালঘুদের ব্যবসা ও মন্দিরসহ অনেক জায়গায় আক্রমণ করা হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির এখনো পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, আমি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি... আমরা একটি অন্তবর্তীকালীণ সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মোট ১৯ হাজার ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন। তার মধ্যে ৯ হাজার পড়ুয়া। প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী গতমাসে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে উপ-দূতাবাস আছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা স্বাভাবিকভাবে কাজ করা শুরু করবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা কেমন আছেন, তার দিকেও নজর রেখেছি। বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সংগঠন তাদের নিরাপত্তার জন্য সচেষ্ট। আমরা তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু আমরা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তরক্ষীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঢাকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা গত ২৪ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ রেখেছি। আমরা সংসদের সমর্থন চাইছি। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত বিষয়ে সবসময়ই মতৈক্য হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশের উদ্বেগের কারণে মেঘালয়ে ১২ ঘণ্টার রাতের কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রাখা হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যান ভারতে। অতপর ভারতের মোদী সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও শেখ হাসিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সর্বদলীয় বৈঠক করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ