বেড়েছে হেলমেটের চাহিদা
১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করে দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সড়কের নানান অসঙ্গতি চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে তাদের আটকিয়ে শাস্তি দিচ্ছেন তারা। ফলে শাস্তির ভয়ে হেলমেট ছাড়া সড়কে বের হচ্ছেন না মোটরসাইকেল চালকরা। এতে বেড়েছে হেলমেট বিক্রি।
২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনের পরও বাইক চালকদের মধ্যে বেড়েছিল হেলমেট পরার বিষয়ে সচেতনতা। তার রেশ গিয়ে ঠেকেছিল রাজধানীর হেলমেটের বাজারেও। ওই সময় বিক্রি ব্যাপক বেড়েছিল। এবার অবশ্য বিক্রি ততটা বাড়েনি। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় হেলমেট বিক্রি বেড়েছে। ঢাকার মালিবাগ, বাংলামোটর ও বংশাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের চেয়ে হেলমেটের দোকানে ভিড় বেশি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, এখন আরোহীর হেলমেটের চাহিদা বেশি। দেশের বাজারে প্রায় ২০টি ব্র্যান্ডের অর্ধশতাধিক মডেলের হেলমেট পাওয়া যায়। তবে সব হেলমেট মানসম্পন্ন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেলমেটের নামে যা বিক্রি হয়, তা প্লাস্টিকের বাটির মতো। এসব হেলমেট ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা দামে পাওয়া যায়। যেগুলো আরোহীরা ব্যবহার করেন, সেসব হেলমেট এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বংশালের এক বিক্রেতা বলেন, বিক্রি বেড়েছে ঠিক, তবে কমদামি হেলমেটের চাহিদা বেশি। আগে যেখানে আমাদের প্রতিদিন হেলমেট বিক্রি হতো দেড় থেকে দুই হাজার পিস। এখন সেখানে আড়াই হাজার পিসের মতো বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কিছুটা বেশি। তবে ঢাকার বাইরে থেকেও এখন হেলমেটের বাড়তি চাহিদা আসছে।
মালিবাগে এক দোকানে জহিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, সহযাত্রীর (আরোহী) হেলমেট না থাকায় রাস্তায় সাজা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সেজন্য হেলমেট কিনতে এসেছি। নিজের হেলমেট থাকলেও আরেকজনের জন্য বাড়তি হেলমেট আগে রাখতাম না। মাঝেমধ্যে কেউ উঠলে সেভাবেই চড়তো। কিন্তু এখন আর হেলমেট ছাড়া যাওয়া যাচ্ছে না। মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক ও আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা থাকলেও আরোহীর ক্ষেত্রে সে আইন বেশিভাগ মানুষ মানতো না। কিন্তু এখন চালকদের পাশাপাশি আরোহীদের হেলমেট পরতে হচ্ছে।
আল আমিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আগে রাস্তায় কড়াকড়ি হলে হেলমেট কেনার হিড়িক পড়ে যেত। এখন চাপ বেড়েছে, কিন্তু অনেকের হেলমেট আছে। যে কারণে আগের কড়াকড়ি সময়ের মতো বিক্রি না বাড়লেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন বিক্রি বেশি।
তথ্য বলছে, দেশে বছরে মোটরসাইকেলের হেলমেট বিক্রি হয় তিন লাখ পিসের বেশি। এতদিন চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করে মেটানো হতো। এখন দেশেই হেলমেট উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর আগে শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশজুড়ে কোথাও হেলমেট ছাড়া বাইকারদের যেন তেল দেওয়া না হয় তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এরপরও সারা দেশে মোটরসাইকের চালকরা পুরোপুরি হেলমেট ব্যবহার করতো না।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানায় আগুন
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন
একনেকে দুই হাজার কোটি টাকায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হামলা হুথিদের, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি নিয়ে জাতীয় সেমিনার
লোহাগড়ায় কাঠ বোঝাই নসিমন উল্টে হেলপার নিহত
বাসার আল-আসাদ ও আসমা’র ডিভোর্সের সংবাদ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার
রাজশাহীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মহানগরী জামায়াতের আমিরসহ আহত ৩
সাধারণ ক্ষমার বিনিময়ে দোষ স্বীকার করছেন আসাদের সৈন্যরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজশাহীতে ছাত্রীনিবাসে নি¤œমানের খাবার, গভীর রাতে রাস্তায় নেমে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত
টিকটক-এ ৭ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওয়েব সিরিজ ‘প্রেমের বিকাশ’
'সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নগরীর যানজট নিরসন করা হবে' ---বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ
অস্তিত্ব সংকটে ট্রাম্প টাওয়ারসহ ৩৫ বিলাসবহুল ভবন
রাজশাহী সীমান্তে গভীর রাতে বিএসএফের দফায় দফায় গুলি বর্ষন
আজীবন সন্মাননা পাচ্ছেন আবদুল হাদি-খুরশিদ আলম
প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক